শবে বরাতের নামাজ :
শবে বরাতের নামাজ দু’রাকাত করে যত বেশি পড়া যায় তত বেশি ছওয়াব। নামাজের প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহা পড়ার পর সূরা ইখলাছ, সূরা ক্বদর, আয়াতুল কুরছী বা সূরা তাকাছুর ইত্যাদি মিলিয়ে পড়া অধিক ছওয়াবের কাজ। এভাবে কমপক্ষে ১২ রাকাত নামাজ আ’দায় করা উত্তম। এর বেশি যত রাকাত আ’দায় করা যায় ততই উত্তম।



প্রতি ৪ রাকাত পর পর কিছু তাসবিহ্-তাহলীল আ’দায় করে মহান আল্লাহর কাছে দোয়া কামনা করা অতি উত্তম। এভাবে সারা রাত নামাজ আ’দায় করা যেতে পারে। পবিত্র শবে বরাতে এভাবে নামাজ আ’দায় করে মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যেতে পারে। তাই আসুন এই পবিত্র রাতে আমর’া বেশি বেশি করে নফল নামাজ আ’দায় করি।



শবে বরাতের নফল নামাজ:
১। দুই রকাত তহিয়াতুল অযুর নামায।



নিয়মঃ প্রতি রকাতে আল হা’ম’দুলিল্লাহ ( সূরা ফাতিহা) পড়ার পর , ১ বার আয়াতুল কুরসী এবং তিন বার ক্বুলহু আল্লাহ শরীফ ( সূরা এখলাছ) । ফযীলতঃ প্রতি ফো’টা পানির বদলে সাতশত নেকী লিখা হবে।



২। দুই রকাত নফল নামায।



নিয়মঃ ১নং নামাযের মত, প্রতি রকাতে সূরা ফাতিহা পড়ার পর, ১ বার আয়াতুল কুরসী এবং ১৫ বার করে সূরা এখলাছ শরীফ, অতপর সালাম ফিরানোর পর ১২ বার দুরূদ শরীফ। ফযীলতঃ রুজিতে রবকত, দুঃখ-কষ্ট ‘হতে মুক্তি লাভ করবে, গু’নাহ ‘হতে মাগফিরাতের বখসিস পাওয়া যাব’ে।



৩। ৮ রকাত নফল নামায, দু রকাত করে পড়তে হবে।



নিয়মঃ প্রতি রকাতে সূরা ফাতিহার পর , সূরা এখলাছ ৫ বার করে। একই নিয়মে বাকি সব। ফযীলতঃ গু’নাহ থেকে পাক হবে , দু’আ কবুল হবে এবং বেশী বেশী নেকী পাওয়া যাব’ে।



৪। ১২ রকাত নফল নামায , দু রকাত করে।



নিয়মঃ প্রতি রকাতে সূরা ফাতিহার পর, ১০ বার সূরা এখলাছ এবং এই নিয়মে বাকি নামায শেষ করে , ১০ বার কলমা তওহীদ, ১০ বার কলমা তামজীদ এবং ১০ বার দুরূদ শরীফ।



৫। ১৪ রকাত নফল নামায, দু রকাত করে।



নিয়মঃপ্রতি রকাত সূরা ফাতিহার পর যে কোন একটি সূরা পড়ুন। ফযীলতঃ যে কোন দু’আ চাইলে তা কবুল হবে।



৬। চার রকাত নফল নামায, ১ সালামে পড়তে হবে।



নিয়মঃ প্রতি রকাতে সূরা ফাতিহা পর ৫০ বার সূরা এখলাছ শরীফ। ফযীলতঃ গু’নাহ থেকে এমনভাবে পাক হবে যে সদ্য মায়ের গ’র্ভ ‘হতে ভুমিষ্ঠ হয়েছে।



৭। ৮ রকাত নফল নামায, ১ সালামে।



নিয়মঃ প্রতি রকাতে সূরা ফাতিহার পর ১১ বার সূরা এখলাছ শরীফ।



এর আগে শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞ’প্ত িতে সরকারি সংস্থাটি জানায়, করোনাভাইরাসের এ সংকটকালীন পরিস্থিতিতে দেশের নাগরিকদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার স্বার্থে এ আহ্বান জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক ঘোষিত নির্দেশনা এবং প্রধানমন্ত্রীর দেয়া নির্দেশনা মেনে ইসলামিক ফাউন্ডেশন এ আহ্বান জানাচ্ছে।



সতর্কতা:
মনে রাখতে হবে ফরজ নফলের চেয়ে অনেক বড়। শবে বরাতের নামাজ যেহেতু নফল সেহেতু নফল পড়তে পড়তে ফরজ পড়া ভুলে গেলে বা ঘু’মের কারণে পড়তে না পারলে কিন্তু সবই শেষ। অর্থাৎ নফল নামাজ পড়ে পড়ে ক্লান্ত হয়ে ঘু’মিয়ে পড়লেন আর এই দিকে ফজরের নামাজ পড়তে পারলেন না। সাবধান এ যেন না হয়। ভাল হয় শবে বরাতের নফল শেষ করে বেতের নামাজ পড়ে এর পর ফজর পড়া। যাই করেন নামাজ পড়েন আর ঘু’মান সমস্যা নেই, ঠিক সময় মত উঠে ফজর নামাজ যেন পড়তে পারেন সেই দিকে খেয়াল রাখবেন।



শিয়া মতাবলম্বী মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরাও জাকজমকের সাথে এ বিশেষ রাতটি উদযাপন করে থাকেন। মহিমান্বিত ও বরকতময় হিসেবে এ রাত উদযাপনের পাশাপাশি এ পূর্ণিমা তিথিটি শিয়া বিশ্বা’সের ১২ ইমামের একজন, ইমাম মাহদির জন্ম’দিন হিসেবে পালিত হয়ে থাকে।



শিয়াগণ বিশ্বা’স করেন যে, এ তিথিতেই মুহা’ম্মা’দ মাহদি ধ’রাধামে এসেছিলেন। শবে বরাত পালনের মধ্যে রয়েছে রোযা, দোয়া-মাহফিল ও আলোচনা অনুষ্ঠান। শবে বরাতের রাতে ইরানের নগরগু’লো আলোকসজ্জায় রাঙানো হয়।



পবিত্র এই রজনীতে মুসলিম ভাই-বোনেরা সারা রাত জেগে নামাজ আ’দায় করবেন। আ’ত্মীয়-পরিবার-দেশ-জাতির জন্য মঙ্গল কামনা করবেন। আল্লাহর দরবারে দুহাত উঁচিয়ে বিশ্ববাসীর জন্য শান্তি প্রার্থনা করবেন। আল্লাহ্ সব বান্দার দোয়া কবুল করুন।