Breaking News

নিজের অজান্তেই পুরু’ষত্ব হারিয়ে ফেলছেন এই দৈনন্দিন কাজগুলোর কারণে!

পুরুষরা পুরুষত্ব হারাচ্ছে কেন?
বেশির ভাগ পুরুষের পুরুষত্বহীনতা সাময়িক। খুব বেশি মাত্রায় উদ্বি’গ্ন থাকলে বা কোনো কিছু নিয়ে দুশ্চিনতাগ্রস্ত থাকলে যৌ’নমিলনের সময় পুরুষ তার যৌ’ন উত্তেজনা হারাতে পারে। আবার খুব বেশি মাত্রায় এলকোহল সেবনের ফলেও পুরুষের লিঙ্গের দৃঢ়তা নষ্ট হয়ে যায়। সাইকোজেনিক অথবা অর্গানিক নানা কারনে পুরুষের পুরুষত্বহীনতা সৃষ্টি ‘হতে পারে।

সাইকোজেনিক কারনে সৃষ্ট পুরুষত্বহীনতা :
দাম্পত্য সমস্যা। ধ’র্মীয় কুসংস্কার। কঠিনভাবে পিতা বা মাতার অনুশাসনের নিয়ন্ত্রনে থাকা। পূর্বের যৌ’ন অমতার জন্য পাপবোধ। অকাল বীর্যপাত। যৌ’নতার ব্যাপারে অনাগ্রহ। যৌ’নমিলনে সফলতা আসবে কিনা এই নিয়ে ভয় ও দুশ্চিতা।

অর্গানিক কারনে সৃষ্ট পুরুষত্বহীনতা :
এনাটোমিকাল বড় হাইড্রোসেল টঙিকুলার ফাইব্রোসিস। কার্ডিওরেসপেরেটোরী মায়োকার্ডিয়াল ইনফ্রাকশন ইনজিনা ফাইমোসিস। জেনিটো ইউরিনারী প্রিয়াপিজম প্রোসটাটিটিস ইউরেথ্রিটিস প্রোসটাটেকটমী। এন্ড্রোক্রাইনাল, ডায়াবেটিস থাইরোটঙিকোসিস স্থুলতা ইনফ্যান্টালিজম ক্যাসট্রেশন এক্রোমেগালি। নিউরোলজিক্যাল, মাল্টিপোল, সিরোসিস, অ’পুষ্টি, পারকিনসন্স অসুখ, টেমপোরাল লবের সমস্যা, স্পাইরাল কর্ডের আঘা’ত ই.সি.টি।

ইনফেকশন, টিউবারকিলোসিস, গনোরিয়া, মাম্পস। ড্রা’গ নির্ভরতা, এলকোহল সেবন, স্নায়ু শিথিলকারী ওষুধ, এন্টিহাইপারটেনসিভ ওষুধ, সাইকোট্রপিকস ওষুধ, যেমন- ইমিপ্রামিন, ডিউরেটিঙ, রেজারপাইন।

রোগ নির্ণয় :
যে কোনো ধরণের পুরুষত্বহীনতার চিকিৎসার জন্য তার রোগ নির্ণয়ের প্রয়োজন রয়েছে। ডাক্তারকে জানতে হয় পুরুষের ক্রমাগত যৌ’ন সমস্যা কেন সৃষ্টি হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় মনোদৈহিক কারনের চাপ শরীরের উপর এসে পড়ে এবং এই জন্য পুরুষত্বহীনতা সমস্যায় ভোগে। রোগ নির্ণয়ের জন্য ডাক্তারকে যে বি’ষয়গু’লো জানতে হয়-

রোগীর পারিবারিক ডাক্তারী ইতিহাস।রোগীর ব্যক্তিগত ডাক্তারী ইতিহাস। রোগীর শারীরিক পরীক্ষা। রোগীর লিঙ্গ পরীক্ষা। ল্যাব’টেষ্ট। মিনেন সোটা মালটিফেজিক পারসোনালিটি ইনভেনটোরি।

রোগীর পারিবারিক ডাক্তারী ইতিহাস এবং রোগীর ব্যক্তিগত ডাক্তারী ইতিহাস জানা এই জন্য জরুরী যে, এতে করে রোগ নির্ণয় করা সুবিধা হয়। ডাক্তার বুঝতে পারেন পুরুষত্বহীনতার এই সমস্যাটি কারণ শারীরিক নয় মানসিক। অনেক ক্ষেত্রে অতিরিক্ত এলকোহল সেবনজনিত কারনে পুরুষের পুরুষত্বহীনতা দেখা দেয় এবং অনেকের অকাল বীর্যপাতের সমস্যা দেখা দেয় দিতে পারে। রোগীর শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষার মধ্যে প্রধান বিবেচ্য বি’ষয় থাকে তার রেসপিরেটোরী এবং কার্ডিওভাসকুলার ঠিকমত কাজ করছে কিনা তা লক্ষ্য করা।

এছাড়াও স্নায়ু এবং তলপেট ব্যবস্থা কতটুকু সুস্থ আছে এটিও ডাক্তারদেরকে জানতে হয়। লিঙ্গ পরীক্ষার সময় ডাক্তার যে বি’ষয়গু’লো লক্ষ্য করেন-

প্রিপিউজ-ফাইমোসিসের জন্য। মূত্রনালীর মুখ স্টেনোসিসের জন্য। অন্ডথলি-হাইড্রোসেলের জন্য। bকরপরা কেভারনোসা- যে কোনো প্রকার ফাইব্রেসিসেন জন্য। ল্যাব’রেটরী টেষ্ট।

ল্যাব’রেটরীতে ডাক্তার রোগীর বিভিন্ন শারীরিক বি’ষয় পরীক্ষা নিরীক্ষা করে থাকেন। এতে করে দ্রুত সমস্যা নির্ণয় করা সহজ হয়। ল্যাব’রেটরীতে পুরুষত্বহীনতার জন্য যে সমস্ত টেষ্ট করানো হয় সেগু’লো হলো-

সি.বি.সি। ই.এস.আর। মূত্র পরীক্ষা। লিভারের এনজাইম পরীক্ষা। বীর্য পরীক্ষা। থুথু পরীক্ষা। এস এম এ ১২। টেসটোসটেরন স্তন পরীক্ষা। প্রেল্যাকটিন স্তন পরীক্ষা।

পুরুষত্বহীনতার চিকিৎসা :
পুরুষত্বহীনতার চিকিৎসা ব্যাপারে অধিকাংশ পরামর’্শ এসেছে মাস্টার এবং জনসনের কাছ থেকে। তারা তিনটি বি’ষয় গবেষণা করে থাকেন যে কোনো একজন পুরুষ পুরুষত্বহীনতার ভোগে। এই তিনটি কারণকে বিশ্লেষণ করে তারা এমন কিছু কৌশল এবং প’দ্ধতির কথা বলেন যাতে করে পুরুষত্বহীনতা সমস্যা কাটানো যায়। তাদের গবেষণার বি’ষয তিনটি হলো-

১। যৌ’নতার ব্যাপারে পুরুষ এবং নারীর ভ্রান্ত ধারণা।
২। পুরুষের পুরনো চিন্তা ভাবনা এবং উঁচু মাত্রার শারীরিক এবং মনোদৈহিক চাপ। বিশেষ করে স্বামী স্ত্রীর মধ্যকার যৌ’নতার ব্যাপারে আলোচনা কম হওয়া। মনে রাখা উচিত স্বামী স্ত্রীর মধ্যকার যৌ’ন আলোচনা যৌ’ন উদ্দীপনা বাড়াতে পারে।

৩. পুরুষত্বহীন পুরুষের মানসিক চাপ বেশি থাকে সেই কারনে স্ত্রীর বা যৌ’ন সঙ্গিনীর উচিত তাকে আশ্বস্ত করা যে এটি কোন রোগ নয়। মাস্টার এবং জনসনের পুরুষত্বহীনতার ব্যাপারে দেয়া পরামর’্শগু’লো হলো।

✔যৌ’ন সঙ্গী এবং সঙ্গিনীর মধ্যে খোলামেলা যৌ’ন আলোচনা করা উচিত। এটি পরস্পরের যৌ’নানুভূ’ত িকে চাঙ্গা করতে পারে এবং পুরুষের লিঙ্গের দৃঢ়তা সৃষ্টি করে। যৌ’নতার ব্যাপারে কোনো প্রকার ধারণা পোষণ করা উচিত নয়।

✔এবং নারী পুরুষ উভয়েরই উচিত যৌ’নতার ব্যাপারে একজন অন্যজনকে সাহায্য করা। এর ফলে যৌ’ন অনুভূ’ত ি এবং পুরুষের লিঙ্গের দৃঢ়তা তৈরী ‘হতে পারে।

✔যদি নারী বা পুরুষের যে কোনো একজনের যৌ’নতা ব্যাপারে কোনো প্রকার সন্দে’হ ভয় ভীতি বা দুশ্চিন্তা কাজ করে তাহলে সাথে সাথে তা ডাক্তারকে জানান উচিত।

✔অনেক নারী যৌ’নতার ক্ষেত্রে পরিচ্ছন্নতা খুব পছন্দ করে। হয়তো তার যৌ’ন সঙ্গী বা স্বামী ওরাল সে’ক্স পছন্দ করছে অথচ নারী সেটি পছন্দ করছে না। এতে করে উভয়ের যৌ’ন অনুভূ’ত ির মধ্যে একটা পার্থক্য তৈরি ‘হতে পারে। এ ব্যাপারটির দিকে খেয়াল রাখা উচিত।

✔পরস্পরের সাথে গভীর স্পর্শের সম্পর্ক থাকা উচিত। পুরুষদের যদি উত্তেজনা কম থাকে সে ক্ষেত্রে নারীর উচিত পুরুষকে উত্তেজিত করে তোলা। নারী বিভিন্ন ভাবে পুরুষকে উত্তেজিত করে তুলতে পারে।

✔পুরুষত্বহীনতা সমস্যা মোকাবেলায় নারীর ভূমিকা রয়েছে খুব বেশি। নারী পুরুষকে বিভিন্ন ভাবে উত্তেজিত করে আবার তাকে শিথিল করে তার লিঙ্গের দৃঢ়তা বাড়াতে পারে। স্ত্রী দিনে অন্তত তিন চার বার স্বামীর দৃঢ়তা বাড়াতে এ কাজটি করতে পারে।

✔লিঙ্গের উত্তেজনা দীর্ঘসময় ধরে না রেখে পুরুষের উচিত একবার লিঙ্গ শিথিল করে আবার লিঙ্গের উত্তেজনা তৈরি করা। এতে করে পুরুষত্বহীনতা সমস্যা কিছুটা কমতে পারে।

Check Also

শি’খে নিন ডাল রান্নার পারফেক্ট কৌশল

ডাল তো আপনারা সবাই বাসায় রান্না করেন। অনেকে আবার প্রতিদিনও বাসায় ডাল রান্না করে থাকেন। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *