করোনাভাইরাস বাংলাদেশে ১০ থেকে ১৫ গুণ বেশি ভয়ঙ্কর হবে: আমেরিকার চিকিৎসাবিজ্ঞানী করোনা ভাই’রাসে আ’ক্রা’ন্ত হয়ে দিনদিন মৃ’’তের সংখ্যা বেড়েই চলছে। এখন পর্যন্ত এই ভাই’রাসে মৃ’’ত্যু হয়েছে ৩ হাজার ২৮৫ জনের। বিভিন্ন দেশে দেড় লক্ষ মানুষ এ ভাই’রাসে আ’ক্রা’ন্ত হয়েছে।



এছাড়া চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৫৩ হাজার ৬৮৮ জন। ইতোমধ্যে বাংলাদেশে করোনাভাই’রাসে আ’ক্রা’ন্ত তিনজন রোগী শ’নাক্ত হয়েছে।



এমতাবস্তায়, মা’র্কিন সংক্রমক রো’গ বিশেষজ্ঞ মাইকেল অস্টারহোম বলেন,‘এটা তো কেবল শুরু। আ’ঘা’ত, ব্যাথা, দুর্ভোগ, সংক্রমণ ও মৃ’’তের সংখ্যার কথা বিবেচনা করলে বোঝা যায় যে, এটা কেবল আসলেই শুরু। এই অবস্থা সামনের মাসগু’লোতেও অব্যা’হত থাকবে। আর মানুষও আ’ক্রা’ন্ত ‘হতেই থাকবে।’



তিনি আশ’ঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, সবচেয়ে মা’রাত্মক সিজনাল ফ্লু’র তুলনায় করোনাভাইরাস আরো ১০ থেকে ১৫ গু’ণ বেশি ভয়ঙ্কর ‘হতে পারে। করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার যেভাবে মানুষ সুরক্ষিত থাকার পরাম’র্শ দিচ্ছে,



তাতে মনে হচ্ছে না যে- এসব পরাম’র্শ মেনে চললে করোনাভাইরাসে আ’ক্রা’ন্ত হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যাব’ে। করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে মাস্ক ও হাত মোজা ব্যবহারের বি’ষয়টিকে ‘বোকামি’ (ননসেন্স) বলেও মত দেন তিনি।



নতুন করোনা প্রতি’ষেধক দিয়ে ১৫ রোগীর জীবন রক্ষা – যুক্তরাষ্ট্রের দুই শীর্ষ চিকিৎসক জানিয়েছেন যে, একটি পরীক্ষামূলক ওষুধের মাধ্যমে করোনভাই’রাসে আ’ক্রা’’ন্ত রো’গীদের জীবন বাঁ’চানো সম্ভব হয়েছে। মোট ১৫ গু’রুতর রো’গীর উপরে এই ওষুধ প্রয়োগ করা হয়েছে এবং প্রত্যেকেই সুস্থ হয়ে উঠছেন বলে জানা গেছে।



করোনায় আ’ক্রা’ন্ত এক মা’র্কিন মহিলার উপরে প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে এই প্রতিষেধক ওষুধ প্রয়োগ করা হয়। ওই মহিলার শরীরে গত ফেব্রুয়ারি মাসের ২৬ তারিখে করোনার উপস্থিতি ধ’রা পড়ে। তার অবস্থা ছিল গু’’রুতর।



এই প্রতিষেধকের গবেষণা দলে ছিলেন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভিস মেডিকেল সেন্টারের সং’ক্রা’মক রো’গ বিশেষজ্ঞ জর্জ থম্পসন। গত শুক্রবার এক বিজ্ঞান ম্যাগাজিনে দেয়া সাক্ষাতকারে তিনি জানান, ‘আম’রা ভেবেছিলাম তিনি মা’রা যাব’েন, তিনি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম করোনাভাই’রাসে আ’ক্রা’’ন্ত ব্যক্তি।’



ওই মহিলাকে হাস’পাতালে ভর্তি করার ৩৬ ঘন্টা পরে, ডাক্তাররা তাকে রেমডেসিভির দিয়ে চিকিৎসা করার সি’দ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এই ওষুধ ‘আইভি’ বা ইঞ্জে’কশনের মাধ্যমে সরাসরি র’ক্তে প্রবেশ করানো হয়।



এটি শরীরে থাকা ‘আরএনএ পলিমেরাজ’ নামের একটি এনজাইম বি’কল করে দেয়। অনেক ভাইরাস নিজেদের অনুলিপি তৈরি করতে এই এন’জাইম ব্যবহার করে।



রো’গীর অবস্থা আশ’ঙ্কাজনক হওয়ার কারণে চিকি’ৎসকরা কোন ক্লিনিকাল ট্রায়াল ছাড়াই এই প্রতি’ষেধক ব্যবহারের জন্য এফডিএর কাছ থেকে ‘বিশেষ বিবেচনায়’ ব্যবহারের অনুমতি পেতে সক্ষম হন।



এটি প্রয়োগের পরে একদিনের মধ্যেই মহিলা’টির শরীরে ভাই’রাসের পরিমাণ কমতে থাকে ও তার অবস্থার উন্নতি ‘হতে শুরু করে। গো’পনীয়তার কারণে রো’গীকে হাস’পাতাল থেকে ছাড়ানো হয়েছে কিনা তা প্রকাশ করেননি ডাক্তার থম্পসন, তবে তিনি জানিয়েছেন যে, রোগী ভাল আছেন।



সংবাদটি গু’রুত্বপূর্ণ মনে হলে শেয়ার করতে ভুলবেন না