মা’রাত্মক ছোঁয়াচে করো’নাভাই’রাসে কাঁপছে পুরো দুনিয়া। মা’রণ এই ভাই’রাস নিয়ে চরম আতঙ্কিত মানুষ। কী’ থেকে ভাই’রাস ছড়াচ্ছে, কী’ভাবে অ’সুখ বাড়ছে, কাদের আ’ক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, লক্ষণগুলো কী’—এই সব নানা রকম বিষয়ই আ’লোচিত হচ্ছে। সাধারণত শুষ্ক কাশি ও জ্বরের মাধ্যমেই শুরু হয় উপসর্গ, পরে শ্বা’স প্রশ্বা’সে সমস্যা দেখা দেয়। সাধারণত রোগের উপসর্গগুলো প্রকাশ পেতে গড়ে পাঁচ দিন সময় নেয়। সাধারণ এসব লক্ষণের পাশাপাশি এবার করো’নার আরও নতুন তিনটি লক্ষণ পাওয়া গেছে। বিশ্বজুড়ে অনেক করো’না রোগীর মাঝেই নতুন এই লক্ষণগু’লি দেখা যাচ্ছে।



বর্তমানে করোনভাই’রাসে আ’ক্রান্তরা আগের লক্ষণগুলো ছাড়াও নতুন এই তিনটি হালকা উপসর্গের কথা বলছেন। যেহেতু ভাই’রাসটি এখন যু’ক্তরাজ্যের মহামা’রি আকার ধারণ করেছে। সেহেতু দেশটির স্বাস্থ্য কর্মক’র্তারা জনগণকে নতুন এই তিনটি উপসর্গের বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন।



১) ত্বক জ্ব’লা
যু’ক্তরাজ্যে অনেক কভিড-১৯ রোগীর শরীর জ্ব’লাপোড়া দেখা যাচ্ছে। এটা করো’নার সম্পূর্ণ নতুন একটি লক্ষণ। ইতোপূর্বে এই লক্ষণটি দেখা যায়নি। যদিও যু’ক্তরাজ্যের স্বাস্থ সংস্থা এটিকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। আনুষ্ঠানিক এখনও লক্ষণ হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হয়নি। জ্বালাপোড়ার পাশাপাশি অনেকে আবার ত্বকে ঠান্ডা অনুভব করছেন।



তারানা বার্ক নামের একজন টুইটারে লিখেছেন,যে তার সঙ্গীর অ’সুস্থতায় ত্বকে সংবেদনশীলতা দেখা দিয়েছিল। ত্বক জ্বলছে এমন অনুভব হয়েছিল। মিয়াফি নামের আরেকজন লিখেছেন, আমা’র ত্বকে বৈদ্যুতিক শকের মতো অনুভূতি রয়েছে।



মা’র্কিন যু’ক্তরাষ্ট্রে প্রোহেলথ কেয়ার অ্যাসোসিয়েটসের সংক্রামক রোগের প্রধান ডা. ড্যানিয়েল গ্রিফিন পরাম’র্শ দিয়েছেন যে এই অনুভূতিটি রোগীদের স্নায়ুতন্ত্রের প্রতি অটো-ইমিউন প্রতিক্রিয়ার অংশ হতে পারে। স্পষ্টতই এটি সনাক্ত করা গেছে, তবে এটি কতটা বিস্তৃত তা আম’রা এখনও নিশ্চিত নই।



২) ঘন ঘন টয়লেট যাওয়া
করোনভাই’রাসের আরও একটি হালকা লক্ষণ হল প্রায়শই টয়লেটে যাওয়ার প্রয়োজন। নতুন অনেক রোগীর ক্ষেত্রে এই উপসর্গটি দেখা যাচ্ছে। বিষয়টি স’ম্পর্কে ডা. ডায়ানা বলেন,হ’জমের সমস্যা এবং অন্ত্র অভ্যাসের পরিবর্তনগু’লি – বিশেষত পাতলা মল এবং টয়লেটে আরও ঘন ঘন যাওয়া কখনও কখনও করো’নার প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে। অনেক রোগীর ক্ষেত্রে এটা দেখা গেছে। অনেকের ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে ডায়রিয়ার লক্ষণ দেখা গেছে, পরে পরীক্ষায় দেখা গেছে তারা কভিড-১৯ পজেটিভ।



৩) অণ্ডকোষে ব্যথা
করোনভাই’রাসটির তৃতীয় হালকা লক্ষণ হল টেস্টিকুলার ব্যথা বা অণ্ডকোষে ব্যথা। হার্ভা’র্ড মেডিকেল স্কুলের গবেষকরা অন্ডকোষে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে হাসপাতা’লে ভর্তি হওয়া ৪২ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে পরীক্ষা করে দেখেছেন তিনি করো’না পজেটিভ। যদিও ডাক্তাররা তার অণ্ডকোষে কোনও সমস্যা খুঁজে পাননি। তবে সিটি স্ক্যানে তার ফুসফুসের ক্ষতি দেখা গিয়েছিল। এর দু’দিন পর লোকটির কভিড-১৯ পজেটিভ ধ’রা পড়ে।



সূত্র- ডেইলি মিরর।