কেউ জানে না কবে থামবে মহামা’রি ‘করো’না’ ঝড়। কী’ আছে শেষে। যত দিন যাচ্ছে পরিস্থিতি খা’রাপ থেকে খা’রাপের দিকে যাচ্ছে। মনে হচ্ছিল, এই বুঝি আরেক সপ্তাহ, অথবা দুই সপ্তাহ, তারপর সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু, দিন দিন সবকিছু আরও ভ’য়াবহ হচ্ছে। এখন সবার মনে একটাই প্রশ্ন, কবে এর শেষ হবে?



অল্প কথায় এই প্রশ্নের উত্তর হলো, কেউ নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারছে না। এটা সম্পূর্ণ নতুন একটি ভাই’রাস, যার চরিত্র স’ম্পর্কে কারও কোনো ধারণা নেই। উপরুন্ত এই ভাই’রাস খুবই ইন্টিলিজেন্ট, জিনের গঠন বদলে প্রতিনিয়ত নিজের চরিত্রই বদলে ফেলছে। অ’তীতে যেকোনো মহামা’রি ১২ থেকে ৩৬ মাস স্থায়ী হয়েছে। কিন্তু বর্তমান বাস্তবতায় ‘করো’না’ কত দিন স্থায়ী হতে পারে, সেটা অনেকখানি নির্ভর করছে ভ্যাকসিন আবিষ্কার ওপর।



ফিলিপাইনের স্বাস্থ্যবিষয়ক সচিব মা’রিয়া রোজারিও ভা’র্জায়ার সোমবার (১৩ এপ্রিল) বলেছেন, কোনও প্রতিষেধক আবিষ্কার না হলে ২০২১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত দেশে করোনভাই’রাস মহামা’রিটি স্থায়ী হতে পারে।



ভা’র্জায়ার রাষ্ট্র পরিচালিত পিটিভি -৪ এ প্রচারিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলছিলেন, অ্যাং আতিন পং এর গণনা বিজ্ঞানীরা আমাদের জানিয়েছেন, সবচেয়ে খা’রাপ পরিস্থিতি পরের বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। আমাদের গণনা বিজ্ঞানীরা গাণিতিক চিহ্ন ও বৈজ্ঞানীক পরিসংখ্যান মিলিয়ে অনুমান করে থাকেন। তাদের গবেষণার ভিত্তিতে, মহামা’রিটির সবচেয়ে খা’রাপ পরিস্থিতি আগামী বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত স্থায়ী হতে। টিকা আবিষ্কার না হলে এটি ঘটবে।’



বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা টিকা আবিষ্কারের চেষ্টা করছে। অনেকেই সফলতার দ্বারপ্রান্তে বলা হলেও ভা’র্জায়ারের মতে, ‘অন্যান্য দেশগু’লি যেসব করোনভাই’রাস ভ্যাকসিন তৈরি করছে সেগুলো সফল হলেও বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত হতে প্রায় ৬ থেকে ১২ মাস বা এমনকি এক থেকে দেড় বছর সময় নিতে পারে।’



সোমবার পর্যন্ত ফিলিপাইনে করো’নায় আ’ক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার ৯৩২ জন। এদের মাঝে মৃ’ত্যু হয়েছে ৩১৫ জনের। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৪২ জন। দেশটির স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা অনুমান করেছেন যে, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ফিলিপাইনে করো’নায় আ’ক্রান্তের সংখ্যা ২৬ হাজার থেকে ৭৫ হাজারে পৌঁছে যেতে পারে।



ফিলিপাইন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি পৃথক সমীক্ষা আরও বলেছে যে, এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে দেশে করোনভাই’রাস সংক্রমণের সংখ্যা বিপুল পরিমাণে বেড়ে যেতে পারে। কেবল মেট্রো ম্যানিলায় প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার থেকে ৫ লাখ ৫০ হাজার মানুষ আ’ক্রান্ত হতে পারে।



এমন পরিস্থিতিতে করো’নাভাই’রাস প্রতিরোধে জনগণকে স্বাস্থ্যকর জীবন ব্যবস্থা মেনে চলা এখন সবচেয়ে জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যেটা দীর্ঘ মেয়াদে কাজে দেবে। পর্যাপ্ত ঘুম, সুষম খাবার, গরম পানি পান, হাত পরিষ্কার রাখা, ভিটামিন সি যু’ক্ত খাবার খাওয়া, ব্যায়াম করা ইত্যাদি বাড়িয়ে দিতে হবে। যার ইমিউনিটি সিস্টেম শক্তিশালী সে এই ভাই’রাসের মোকাবিলা করবে। বাকিরা পৃথিবী থেকে বিদায় নেবে।