বাইরে বের হতে পারছেন না তাই ঘরেই শুয়ে বসে দিন কাটাচ্ছেন? ভরপেট খাবার খাওয়া আর সুযোগ পেলেই বিছানায় গড়াগড়ি? এদিকে বেড়েই চলেছে পেটের চর্বি আর ওজন। এমনটা হলে এখনই সতর্ক হোন। কারণ, মোটা মানুষের মধ্যে করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি। অন্তত সংক্রমণের ইতিহাস সেকথাই বলছে।



বাড়তি ওজন মানে শরীরে রোগ-ব্যাধি বাসা বাঁধার ভয়ও বেশি। কারণ মোটা মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের তুলনায় অনেকটাই কম হয়। সম্প্রতি মার্কিন গবেষকরা পরিসংখ্যান তুলে দাবি করেছেন, অন্য রোগের মতো স্থূলকায়দের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনাও অনেকটা বেশি।



মার্কিন গবেষকদের দাবি, যাদের BMI ২৫ থেকে ৪০ বা তারও বেশি তাদের COVID-19 সংক্রমণের সম্ভাবনা অনেকটা বেড়ে যায়। সে কারণেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনার সংক্রমণ বেশি বলে মনে করছেন গবেষকরা।



সম্প্রতি প্রকাশিত এক সমীক্ষা বলছে, আমেরিকার প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ স্থুলতার শিকার। তাছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মোট করোনা আক্রান্তের ৬৪ শতাংশ রোগীর BMI ২৫ থেকে ৪০ এর মধ্যে। ৭ শতাংশের BMI চল্লিশের বেশি। তাদের অবস্থা সংকটজনক। শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নয়, এর আগে চিন এবং ইতালির পরিসংখ্যানও একই রকম ইঙ্গিত দিয়েছে।



এখন প্রশ্ন হলো কী এই BMI? Body Mass Index হলো মানবদেহের উচ্চতা এবং ওজনের অনুপাতের সূচক। কোনো ব্যক্তির ওজনকে তার উচ্চতার বর্গফল দিয়ে ভাগ করে BMI নির্ণয় করা হয়।



যাদের BMI ১৮ থেকে ২৪-এর মধ্যে তাদের স্বাভাবিক বলে মনে করা হয়। যাদের BMI এর থেকে কম তাদের পাতলা এবং যাদের উচ্চতা ২৫ থেকে চল্লিশের মধ্যে তাদের স্থুল বলে গণ্য করা হয়।



স্থূলকায়দের মূল সমস্যা হলো তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম। মোটা মানুষের শরীরে স্থুলকায়ত্বের কারণে দীর্ঘস্থায়ী রোগ বাসা বাঁধার সম্ভাবনা আরও বেশি। যা কিনা এদের আরও দুর্বল করে। তাই আর দেরি না করে শিগগির মেদ ঝরানোর চেষ্টা করুন।



এইচএন/এমএস



নারীরা মি’ল’নের চেয়েও বেশি পছন্দ করে যে বিষয়গুলো
প্রেম-ভালোবাসার ক্ষেত্রে পুরুষদের কাছে যৌ’নতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কিন্তু এমন কিছু বিষয় আছে যা নারীদের কাছে যৌ’নসুখের চাইতেও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কেবল যৌ’ন সুখ নয়, নিজেদের একান্ত সম্পর্কে পছন্দের পুরুষের কাছ থেকে এই বিষয়গুলোও আশা করেন নারীরা।



কী করলে আপনার সঙ্গিনী খুশি হবেন, তারই কিছু সহজপাঠ এখানে দেয়া হলো। ব্যক্তি বিশেষে এই চাহিদার রকমফের হলেও দেখা গিয়েছে কমবেশি এই ব্যবহারই কামনা করেন অধিকাংশ নারী।



০১. যার মধ্যে প্রথমেই রয়েছে আলতো চু’ম্বন। জোর করে নয়, দুপক্ষের সম্মতিতেই এই চু’ম্বন হওয়া বাঞ্ছনীয়। ০২. দ্বিতীয়ত, স্প’র্শ। পোশাকি ভাষায় যাকে বলে গুড টাচ।



০৩. গভীর আ’লি’ঙ্গন। যাতে থাকবে সারাজীবন পাশে থাকার ইঙ্গিত। এই বিষয়গুলি নারীদের কাছে যৌ’ন’তার থেকেও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।



০৪. যৌ’ন মিলনের পর গভীর আ’লি’ঙ্গনে পরস্পরকে জড়িয়ে ঘুমোনোটাও অধিকাংশ নারীই পছন্দ করেন। ০৫. একান্ত মুহূর্তে আবেগঘন প্রশংসা নারীদের খুবই প্রিয়।



০৬. পাশাপাশি হাত ধরে হাঁটা, উপহার, বিশেষ মুহূর্তে “ভালোবাসি” বলা, মজার খুনসুটি, মজার কোন ইঙ্গিত ইত্যাদি ব্যাপারগুলো নারীদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।



কোয়ারেন্টিনে একঘেয়েমি কাটাবেন কিভাবে?
বিশ্বজুড়ে ত্রাস সৃষ্টি করেছে করোনাভাইরাস যার পোশাকি নাম কোভিড-১৯। এর আঘাতে প্রতিদিন বিশ্বজুড়ে মারা যাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। আক্রান্ত হচ্ছেন প্রতিদিন ৫০ -৬০ হাজার থেকে শুরু করে কখনও কখনও লক্ষাধিক মানুষ। আর এটি থেকে বাঁচতে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই চলছে লকডাউন বা ঘরবন্দি জীবন।



আর কারও মধ্যে করোনার সামাণ্য লক্ষণ দেখা দিলেই তিনি নিজেকে করছেন কোয়ারেন্টিন। এর অর্থ হচ্ছে পরিবার ও আশপাশের সবকিছু থেকে নিজেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা যাতে তার দ্বারা অন্য কেউ সংক্রামিত না হন। অর্থাৎ এই অবস্থায় থাকা মানুষটি সম্পূর্ণ একা। তার পাশের ঘরেই হয়তো সবাই মিলে হাসছে বা গল্প করছে, অথচ তার কাছে কেউ নেই। এ অবস্থায় হতাশা বা বোরিংনেস আপনার অনেক ক্ষতি করতে পারে, শারীরিক ও মানসিক দু দিক দিয়েই।



তাই কোয়ারেন্টিনে থাকা লোকজনকে স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করতে হবে। পাশাপাশি নিজেকে উৎফুল্ল রাখতে হবে। ভুলে যান করোনা নামক দানবের কথা। কীভাবে ভুলবেন? চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক কিছু টিপস:



সবার আগে স্বাস্থ্য: এ অবস্থায় নিজের স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিন যাতে আপনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন এবং আপনার নিঃসঙ্গ জীবনের অবসান ঘটে। সারাক্ষণ শুয়েবসে থাকার দরকার নেই। যতটা সম্ভব নিজের ঘরেই হাঁটাচলা করুন। হাঁটাচলা কম করলে আবার অন্য অসুখে আকান্ত হতে পারেন। চাইলে ঘরের মধ্যেই খেলাধূলা করারও চেষ্টা করতে পারেন। করতে পারেন হালকা কিছু ব্যায়াম।



কমিকস পড়ুন: মন হালকা রাখতে কমিকস বা কৌতুক পড়ুন। কারণ রসবোধ মানুষের আয়ু বাড়ায়। এছাড়া হাস্যরস আপনার জীবনের আকর্ষণ ধরে রাখতে সাহায্য করবে এবং দূর করবে কোয়ারিন্টিনের একাকীত্ব। সুতরাং পরিস্থিতিকে সহজভাবে দেখার চেষ্টা করুন।



মন ভালো রাখুন: আপনাকে মনে রাখতে হবে সমস্যার সূত্রপাত হবে আপনার মনের ভিতর থেকে। তাই মন ভালো রাখার বিকল্প কিছু নাই। কোয়ারেন্টিনে আপনি যদি সারাক্ষণ খারাপ দিকগুলো নিয়ে ভাবেন তাহলে তো একে জেলখানা বলে মনে হবে। তাই ভালো কিছু চিন্তা করুন। হতে পারে সেটা অতীতের কোনও আনন্দদায়ক স্মৃতি বা প্রিয় কোনও মানুষের সঙ্গে কাটানো সময় ।



মোবাইল বা নেটে যোগাযোগ করুন: আপনার এমন অনেক আত্মীয় ও বন্ধুবান্ধব রয়েছে যাদের সঙ্গে আপনি অনেকদিন যোগাযোগ রাখেননি। কেননা আপনি এতদিন খুব ব্যস্ত ছিলেন। এই সুযোগে তাদের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করুন।



বই ও ভিডিও: অনেকের বই পড়ার অভ্যাস আছে। যাদের নেই তারাও এই সুযোগে অভ্যাসটি রপ্ত করে নিতে পারেন। প্রিয়জনদের বলুন আপনার জন্য পছন্দনীয় কিছু বই জোগাড় করে দিতে। পাশাপাশি ভিডিওতে ভালো মুভি বা নাটক দেখতে পারেন। আমাদের দেশেই অনেক ভালো মানের নাটক হচ্ছে আজকাল, তাছাড়া হাসির নাটকও কিন্তু কম হয়নি। এগুলোর ভিডিও জোগাড় করে দেখুন। স্মার্টফোনেও পেয়ে যাবেন এমন অনেক নাটক।



এভাবে চললে কোথায় কখন যে কেটে যাবে কোয়ারেন্টিনের ১৪ দিন টেরই পাবেন না। বেশি বেশি কমিকস পড়ুন আর হাসুন



সূত্র: বিবিসি’র ভিডিও অবলম্বনে