করোনা ভাইরাসের আরো দুটি পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন দিয়েছে চীন। মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) দেশটির কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা।চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রলালয়ের কর্মকর্তা উ ইউআনবিন নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, এই দুটি ভ্যাকসিন করোনার নিষ্ক্রিয় অণুজীব দিয়ে তৈরি। আর এ অনুমোদন মানব শরীরে প্রাথমিক ট্রায়ালের সুযোগ করে দেবে।



তিনি বলেন, বেইজিং ভিত্তিক নাসদাক গ্রুপের সিনোভাক বায়োটেকের তৈরি একটি ভ্যাকসিন চীনের রাষ্ট্রীয় খাদ্য ও ঔষধ প্রশাসন সোমবার অনুমোদন দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, উহান ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্টস এবং উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির তৈরি অপর ভ্যাকসিন রোববার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।



উ বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় এটি বিশ্বের প্রথম ভ্যাকসিন যা ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার দ্বিতীয় ধাপ শুরু করতে যাচ্ছে।চীন গত ১৬ মার্চ যে ভ্যাকসিনটিকে প্রথম ট্রায়ালের অনুমোদন দেয় সেটি সেনা সমর্থিত একাডেমি অব মিলিটারি মেডিক্যাল সায়েন্স এবং হংকং এর তালিকাভুক্ত বায়োটেক ফার্ম ক্যানসিনো বায়ো’র তৈরি। চীন বর্তমানে সম্ভাব্য তিনটি ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল নিয়ে কাজ করছে



করো’না ভ্যাকসিন কবে আসছে অবশেষে জানিয়ে দিলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
সারা বিশ্বে মহামা’রীতে ছড়িয়ে পড়া করো’নাভাই’রাস নিয়ে আতঙ্কে আছে ইউরোপ-আ’মেরিকার মতো উন্নত দেশগুলো। এসব দেশগুলোতে মৃ’ত্যুর হার বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি। করো’নার এ মহামা’রী ঠেকাতে ইতিমধ্যেই অনেক দেশ



টীকা তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছে। অনেক দেশ সফল পরীক্ষার চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছে। চীন ইতিমধ্যে তিনটি টীকা মানব দেহে পুশের অনুমতি দিয়েছে। এর একটি টীকা পরীক্ষার দ্বিতীয় ধাপে রয়েছে। খুব শিগগিরই কী’ পাওয়া যাচ্ছে করো’নাপ্রতিরোধী টিকা? এমন প্রশ্ন বিশ্বের প্রায় দেশের। তবে এনিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে ভিন্ন কথা। তারা বলছে টিকা এখনই নয়, এটি পেতে সময় লাগবে এক বছর বা তার বেশি।



মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, ইতালি ও স্পেনসহ ইউরোপের কয়েকটি জায়গায় কোভিড -১৯ এর নতুন আ’ক্রান্তের সংখ্যা হ্রাস পেলেও ব্রিটেন এবং তুরস্কে এখনও এর প্রকোপ বাড়ছে। জেনেভায় এক ব্রিফিংয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখপাত্র ড. মা’র্গারেট হ্যারিস বলেন,



এটি গোটা বিশ্বে প্রাদুর্ভাব ছড়িয়েছে। ইউরোপ ও আ’মেরিকা থেকে ৯০ শতাংশ আ’ক্রান্তের খবর আসছে।সুতরাং আম’রা অবশ্যই এর এখনো শিকড় দেখতে পাচ্ছি না। ভ্যাকসিন নিয়ে হ্যারিস বলেন, আম’রা সত্যিকার অর্থে ১২ মাস বা তার বেশি সময় ছাড়া ভ্যাকসিন দেখার আশা করা উচিত না। এ সময় সদস্য দেশগুলোকে কোনো এলাকা লকডাউনের আওতায় আনার আগে ছয়টি পদক্ষেপ নিশ্চিত করার বিষয়টিও গুরুত্বসহকারে উল্লেখ করেন।



তিনি বলেন, এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ আপনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ।তিনি এই মুহূর্তে যু’ক্তরাষ্ট্রকে সবচেয়ে বেশি সংক্রমক দেশ হিসেবে উল্লেখ করেন।পাশাপাশি দেশটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বড় দাতা বলেও জানান হ্যারিস। এদিকে সোমবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেডরোস আধানম ভ’য়েচ কনফারেন্সে বলেন, মা’র্কিন যু’ক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের এ সংস্থাটিকে প্রতিনিয়ত অনুদান চালিয়ে যাবে। তা সত্ত্বেও মা’র্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রা’ম্প কোভিড-১৯ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিচালনা নিয়ে সমালোচনা করেছেন। সূত্র: রয়টার্স