ভুলেও এই সাত খাবার ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করবেন না!
করো’না আতঙ্কে বর্তমানে সবাই ঘরের মধ্যেই আ’ট’কে রয়েছেন। অযথা এই সময়ে বাইরে বের হওয়ার ঝুঁ’কি না নেয়াটাই উত্তম। এজন্য অনেকেই বেশি করে বাজার করে ফ্রিজে খাবার সংরক্ষণ করে রেখেছেন। তবে জানেন কি? সব ধরনের খাবার কিন্তু ফ্রিজে রাখা উচিত নয়। বিশেষ করে এই সাত খাবার ডিপ ফ্রিজে একদমই রাখবেন না-
দুগ্ধজাত দ্রব্য
বেশিদিন দুধ ফ্রিজে সংরক্ষণ করলে এর পুষ্টিগুণ হারিয়ে যায়। তেমনি পনির বা দইও ক্রমাগত ডিপ ফ্রিজে রাখলে আর বের করলে একসময় খাদ্যগুণ হারায়।
ভাজা পো’ড়া
চিকেন ফ্রাই, পাকোড়া বা নাগেটসের মতো ভাজা’পোড়া খাবার অনেকেই নিত্যদিন খেয়ে থাকেন। তবে কখনো এই ভাজা খাবারগুলো ডিপ ফ্রিজে রাখবেন না। কারণ এগুলো ফ্রিজে রেখে খাওয়া মানে বিষ গ্রহণ করা।
নুডলস
রান্না করা নুডলস এবং পাস্তা ফ্রিজের নরমালে রাখলে দুই একদিন ভালো থাকে। তবে তা ডিপে রাখলে নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
শসা
বরফ ঠাণ্ডা শসার টুকরো কেবল চোখের জন্য ব্যবহার করুন। খাবার হিসেবে নয়। ঠাণ্ডা শসা ফ্রিজের বাইরে আনলেই স্বাদ বদলে যায়। এই শসার সালাড খাওয়া শরীরের জন্যও ঠিক নয়। অর্থাৎ শসা কখনো ডিপ ফ্রিজে রাখবেন না
ফল
কেবল শুকনো ফল ডিপ ফ্রিজের মধ্যে সংরক্ষণ করা নিরাপদ, তা’জা ফল নয়। এগুলোকে হিমায়িত করলে তাদের গঠন, স্বাদে পরিবর্তন আসে। পুষ্টিগুণও কমে যায়।
কফি
কফি বীজ বা গুঁড়ো ফ্রিজে রাখলেই তা ফ্রিজারের গন্ধ ধরে নেয়। স্যাঁতসেঁতে হয়ে পড়ে। স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। কেবল কফি ব্যাগ বা প্যাকেট কয়েক সপ্তাহ ধরে ফ্রিজে সংরক্ষণ করা যেতে পারে।
টমেটো সস
স্যান্ডউইচ, চিপস, স্ন্যাকস টমেটো সস ছাড়া খাওয়া চলেই না! তবে ভুলেও এটি দীর্ঘীদিন সংরক্ষণের আশায় ডিপ ফ্রিজে রেখে দেয়ার পরিকল্পনা করবেন না। এটি বরফ হয়ে জমা’র পর টমেটো পেস্ট, পানি এবং ভিনেগার আলাদা হয়ে যায়।
সূত্র: এনডিটিভি
করো’নায় পুরুষরা কেন বেশি আ’ক্রান্ত হচ্ছেন?
বিশ্বেজুড়ে করো’নাভাই’রাসের প্রাদুর্ভাবের পর থেকে দেখা যাচ্ছে, নারীদের তুলনায় পুরুষরা এ রোগে বেশি আ’ক্রান্ত হচ্ছেন। তবে পুরুষদের এই রোগে আ’ক্রান্ত হওয়ার কারণ নিয়ে চিকিৎসকদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। এর প্রধান কারণ হিসেবে চিকিৎসক সুব্রত কুন্ডু মনে করেন, পুরুষরা অনেক বেশি বাইরের কাজ করেন।
তিনি বলেন, ‘আসলে পুরুষরা নারীদের চেয়ে অনেক বেশি বাইরে বের হন। তাই তারা বেশি করে আ’ক্রান্ত হয়েছেন। যেহেতু তারা বাইরে বের হচ্ছেন, তাই তারা করো’নায় আ’ক্রান্তদের সংস্প’র্শে আসছেন। সেখান থেকে আ’ক্রান্ত হচ্ছেন। ডাক্তার সাত্যকি হালদার এ বিষয়ে ডয়েচে ভেলেকে বলেছেন, ‘বিশ্বের অন্য জায়গাতেও একই ধরনের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
করো’না হচ্ছে সামাজিক অ’সুখ। ভাই’রাসটি সংক্রমক, অর্থাৎ ছোঁয়াচে। তাই যিনি বাইরে যাচ্ছেন ও আ’ক্রান্ত হচ্ছেন, তিনিই আ’ক্রান্ত হচ্ছেন। পুরুষরা বাইরে যাওয়ায় বেশি আ’ক্রান্ত হচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, যে কোনো ভাইরসের একটি জেনেটিক কাঠামো থাকে। করো’নার ক্ষেত্রে সেই গঠন এখনও বোঝা যায়নি। পুরুষ ও নারীদের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা কারও বেশি কারও কম। করো’না কী’ করে এই প্রতিরোধ ক্ষমতা ভাঙছে, তা এখনও জানা যায়নি। জানা গেলে বোঝা যাবে কেন পুরুষরা বেশি আ’ক্রান্ত হচ্ছেন।
আইসিএমআরের সমীক্ষায় বলা হয়েছে, করো’নায় আ’ক্রান্ত অধিকাংশ লোকের বয়স ৪০ বছরের বেশি। সমীক্ষা অনুসারে ৫০ বছরের বেশি বয়স্করা তুলনায় অনেক বেশি আ’ক্রান্ত হচ্ছেন।
আইসিএমআরের মতে, মধ্যরেখা হলো ৫৪ বছর। এর কারণ নিয়ে অবশ্য চিকিৎসকরা একমত। তাদের মতে, ৫০ বছরের পর থেকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে থাকে। তাই সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি হয়।
সাত্যকি হালদার মনে করেন, ৫০ বছর বয়সীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমলেও ৬০-৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত বাইরে বেরোনোর প্রবণতা আগের মতোই থাকে। তাই তারা আ’ক্রান্ত হচ্ছেন বেশি।