সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করেছে। ইতোমধ্যে বিশ্বজুড়ে লাখো মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে এই ভাইরাস। পুরো বিশ্ব অসহায় হয়ে পড়েছে এই ভাইরাসের কাছে। এই ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে নানা ধরণের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বিশ্বের নানা গবেষণা কেন্দ্র। তবে এখনও কার্যকরী কোন প্রতিষেধক তৈরী করতে সক্ষম হয়নি কোন দেশ।



তবে ভ্যাকসিন আবিষ্কার করা সম্ভব না হলে কিংবা জরুরি স্বাস্থ্য সেবা দেওয়ার ক্ষমতা না বাড়লে যুক্তরাষ্ট্রে আগামী ২০২২ সাল পর্যন্ত মানতে হতে পারে সামাজিক দূরত্ব বা সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং। এর ফলে নাগরিকদের ঘরে থাকা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের মতো নির্দেশনা দীর্ঘ সময় ধরে মেনে চলতে হবে।



মঙ্গলবার হার্ভাডের টি.এইচ. চ্যান স্কুল অব পাবলিক হেলথের গবেষণায় এমনটা বলা হয়েছে। Projecting the transmission dynamics of SARS-CoV-2 through the postpandemic period শিরোনামে গবেষণার ফলাফল সায়েন্স সাময়িকীতে প্রকাশ হয়েছে।



গবেষণায় বলা হয়েছে, করোনার সংক্রমণ রোধ দেয়া নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নিলে এটি দ্রুতই আরও আগ্রাসী রূপ ধারণ করতে পারে। পাশাপাশি ২০২৪ সাল পর্যন্ত এ ভাইরাসকে পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে বলেও তারা জানিয়েছেন। এ গবেষণার রিপোর্ট যদি বাস্তবে প্রতিফলিত হয় তবে বিশ্বকে অস্তিত্ব সংকটের মুখে পড়বে তাতে কোন সন্দেহ নেই। তবে, বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন গবেষণা সফল হয়ে করোনাকে পরাস্ত করে আবারও প্রাণচাঞ্চল্য ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হবে এমনটাই প্রত্যাশা করেন প্রতিটি মানুষ।-সিএনএন



একসঙ্গে করোনার ভ্যাকসিন বানাবে জিএসকে-সানোফি



মহামারী করোনার বিস্তার রোধে ভ্যাকসিন তৈরি করতে একসঙ্গে কাজ করবে ওষুধ প্রস্তুতকারক দুই জায়ান্ট কোম্পানি গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন (জিএসকে) ও সানোফি। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।



এখন পর্যন্ত অনেক ওষুধ কোম্পানিই কোভিড-১৯–এর ভ্যাকসিন তৈরির কাজে এগিয়ে এসেছে। তবে এটি তৈরিতে সফল হলেও আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ের আগে ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে না।



জিএসকের প্রধান নির্বাহী এমা ওয়ালএমসেলি মঙ্গলবার বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, একটি ভ্যাকসিনের তৈরি ও পরীক্ষা করতে সাধারণত এক যুগ সময় লেগে যায়। একটি ভ্যাকসিনকে ১৮ মাসের মধ্যে আনার মানে হলো সাধারণ নিয়মের চেয়ে কাজ ব্যাপক গতিতে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।



সরকারকে সাহায্য করার জন্য যুক্তরাজ্যভিত্তিক জিএসকে ইতিমধ্যে যুক্তরাজ্যের আরেক জায়ান্ট কোম্পানি অস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে করোনা পরীক্ষায় কাজ করছে। এপ্রিলের শেষ নাগাদ এক লাখ পরীক্ষা করার লক্ষ্য তাদের। এমা ওয়ালএমসেলি আশা করছেন, তাঁরা দুই কোম্পানি মিলে মে মাস থেকে প্রতিদিন ৩০ হাজার পরীক্ষা করতে সক্ষম হবে।



জিএসকের প্রধান নির্বাহী জানান, ভ্যাকসিন প্রোগ্রাম থেকে তাঁরা যে মুনাফা পাবেন, তা ভবিষ্যতে ভাইরাসের বিস্তার রোধে ও গবেষণার কাজে সরবরাহ করা হবে। কোভিড-১৯ প্রতিরোধে বিশ্বজুড়ে কমপক্ষে ২০টি প্রতিষ্ঠান ও গবেষণা সংস্থা ভ্যাকসিন তৈরিতে কাজ করছে।



সিঙ্গাপুরের মত যে দেশে বাংলাদেশী আক্রান্তের সংখ্যা বেশি



বাংলাদেশীরা শুধু দেশেই আক্রান্ত হচ্ছেনা। আক্রান্ত হচ্ছে বিদেশেও। সাম্প্রতি সময় দেখা গেছে সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশিদের আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজারের কাছাকাছি। এদিকে সিঙ্গাপুরের প্রায় কাছাকাছি সংখ্যা অবস্থান করছে কাতার। সেখানে প্রায় পাঁচ শতাধিক বাংলাদেশি করোনায় আক্রান্ত। এপর্যন্ত মারাও গেছে ৩ জন। কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসুদ আহমেদ মঙ্গলবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।



বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) তথ্য অনুসারে, করোনাভাইরাসে কাতারে মোট সাতজনের মৃত্যু হয়েছে এবং মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৪২৮ জনে।