করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মাহামারীর কারণে বাংলাদেশ থেকে ১০০ টনের বেশি খাবার, ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম নিয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একটি জাহাজ বুধবার মালদ্বীপের উদ্দেশে রওনা দিচ্ছে।



প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মালদ্বীপে এই ত্রাণ সহায়তা পাঠানো হচ্ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং মালেতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস এই ত্রাণ সহায়তার সমন্বয় করছে।



বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।



বাংলাদেশ নৌবাহিনী, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন ও কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় কিছু ওষুধ কোম্পানি যৌথভাবে মালদ্বীপের জন্য এই ত্রাণ সামগ্রী সংগ্রহের জন্য কাজ করেছে।



সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন মালদ্বীপের পররাষ্টমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করে সংহতি প্রকাশ করে বলেছেন, বাংলাদেশ করোনাভাইরাস প্রার্দুভাব মোকাবেলায় মালদ্বীপের পাশে আছে।



বাংলাদেশ গত ১৫ মার্চ সার্ক নেতাদের ভিডিও কনফারেন্সে এই অঞ্চলের কোভিড-১৯ মোকাবেলায় ভারত প্রস্তাবিত সার্ক তহবিল গঠনে দেড় মিলিয়ন ডলার প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।



জে’নে নিন এখনই করোনার নতুন লক্ষণ!
মহামা’রী করো’না ভা’ইরাসে আক্রা’ন্ত রো’গীর কয়েকটি নতুন লক্ষণ শনা’ক্ত ক’রেছেন ফ্রান্সের চর্ম বিশেষজ্ঞরা। এর মধ্যে রয়েছে চামড়ার উপরিভাগে অবস অনুভূতি, চুলকানি ও ব্য’থাসহ চামড়া লাল হয়ে যাওয়া। গত সপ্তাহে ফ্রেঞ্চ ন্যাশনাল ইউনিয়ন ডারমাটোলজিস্ট-ভেনেরিওলজিস্টস (এসএনডিভি) এ তথ্য জা’নিয়েছে।



সংস্থাটি করো’না য় আক্রা’ন্ত বিপুল সংখ্যক ব্য’ক্তির কাছ থেকে এ ধ’রনের স’মস্যার কথা জানতে পেরেছেন। করো’না র সাধারণ লক্ষণ শ্বা’সকষ্টজনিত স’মস্যা এই রো’গীদের অনেকেরই ছিল না। হোয়াটস অ্যাপে চার শতাধিক চর্ম বিশেষজ্ঞের একটি গ্রুপে এসএনডিভি এই লক্ষণগুলো নিয়ে আলোচনা করেছে।



গত সপ্তাহে ফ্রান্সের স্বা’স্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক জে’রম স্যালমনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমা’র জা’না নেই। করো’না ভা’ইরাস স’স্পর্কে সবকিছু এখনও জা’না যায়নি। তবে চর্মবিশেষজ্ঞদের এই মতামত নিয়ে আমি কোনো লেখা এখনও দেখিনি।’



এর আগে গত মাসে ব্রিট্রিশ রিনোলোজিকাল সোসাইট এবং দ্য আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব অটোলেরাইঙ্গোলোজি জা’নিয়েছিল, তারা জানতে পেরেছেন করো’না আক্রা’ন্ত রো’গীর মধ্যে স্বাদ-গন্ধ হারিয়ে ফেলার লক্ষণ পাওয়া গেছে।



রাতের আধারে খাবার নিয়ে ঘরে ঘরে হাজির হচ্ছে সেনাবাহিনী
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থেকে দেশকে বাঁচাতে সারা দেশে সেনাবাহিনী মোতায়েনের পর থেকে সারা দেশের মত শরীয়তপুরের সর্বত্র জনসচেতনতায় প্রচার প্রচারণাসহ সেনা বাহিনীর টহল অব্যাহত রয়েছে। শুধু করোনা মুক্ত পরিবেশ সৃষ্টিতেই নয়, তারা কাজ করছেন মনবতার সেবায়ও।



করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে নিজ গৃহে অবস্থান নেওয়া মানুষেরা বেকার জীবন যাপন করায় দরিদ্র পরিবারের পাশাপাশি অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারে দেখা দিয়েছে খাদ্যের অভাব। এদের অনেকেই লোকলজ্জায় ত্রাণের জন্য ছুটতে পারছে না। এমন মানুষের মধ্যে রাতের আঁধারে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।



সেনাবাহিনীর কর্মরত অফিসারগণ শরীয়তপুরের স্থানীয় সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে এবং সেনা সদস্যরা গ্রামে গিয়ে গিয়ে তালিকা তৈরি করে খাদ্য সামগ্রী ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছেন। এতে উপকৃত হচ্ছেন শরীয়তপুরের বিভিন্ন এলাকার মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো।



সেনাবাহিনীর খাদ্য সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন ২৮ ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের লেঃ কর্ণেল সামি উদদৌলা চৌধুরী। তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতি সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এই খাদ্য সহায়তা তালিকাভুক্ত সকল পরিবারের জন্য প্রতি মাসেই অব্যাহত থাকবে।



শরীয়তপুর জেলা শহরের ঢোকার মুল পথ প্রেমতলা, শরীয়তপুর জেলা শহরের চৌরঙ্গি, মনহর বাজারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানো হয় সেনাবাহিনীর চেক পোষ্ট। এছাড়াও সম্পূর্ণ জেলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেনাবাহিনীর টহল অব্যাহত রয়েছে।



সেনাবাহিনীর গাড়ির সাথে করোনা মোকাবেলায় সচেতনতা ব্যানার লাগানো রয়েছে। তাতে লেখা আছে, ‘আতংক নয়, সচেতনতায় প্রতিরোধের মুল হাতিয়ার।’ প্রতিদিন একাধিকবার জেলা শহর ও উপজেলা শহরে মানুষকে ঘরে রাখতে নিরাপদে রাখতে টহল দিয়ে যাচ্ছে সেনাবাহিনী।



এছাড়াও যাতে করোনা আক্রান্ত লকডাউন করা পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে মানুষ অবাধে না আসতে পারে সেই লক্ষ্যে সড়কপথে ও নদীপথের দিকেও নজর রাখছে সেনাবাহিনী। গুরুত্বপূর্ণ সকল স্থানেই বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। পদ্মা সেতু এলাকা, মঙ্গলমাঝীর ঘাট, কাঠালবাড়ী ঘাট, বালার বাজার ঘাট এলাকায় রয়েছে সেনাবাহিনীর নজরদারী।