করোনার নতুন লক্ষণে পায়ে দেখা দিতে পারে ক্ষত ও র্যাশ। ব্রিটিশ গণমাধ্যম ডেইলি মেইলর প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে। স্পেনের চিকিৎসকরা জানান, করোনা সংক্রমণের লক্ষণ হিসেবে পায়ে অথবা পায়ের আঙ্গুলের উপর চিকেনপক্সের মতো ক্ষত তৈরি হতে পারে।



চিকিৎসকরা আরো জানান, ইতালির এক করোনা আক্রান্ত শিশুর পায়ে প্রথম এমন উপসর্গ দেখা দেয়। তবে এখন পর্যন্ত এটি শুধু শিশু ও কিশোরদের মাঝেই উপসর্গ হিসেবে দেখা দিচ্ছে বলেও জানান তারা।



ইতালিতে প্রতি পাঁচজন করোনা আক্রান্তের একজনের মধ্যে এই উপসর্গ দেখা যাচ্ছে বলে জানান চিকিৎসকরা। স্পেনের পোডিয়াট্রিস্ট এবং চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের মতে শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে এই উপসর্গ ক্রমশ শনাক্ত করা হচ্ছে।



সিঙ্গাপুরের মত যে দেশে বাংলাদেশী আক্রান্তের সংখ্যা বেশি



বাংলাদেশীরা শুধু দেশেই আক্রান্ত হচ্ছেনা। আক্রান্ত হচ্ছে বিদেশেও। সাম্প্রতি সময় দেখা গেছে সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশিদের আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজারের কাছাকাছি। এদিকে সিঙ্গাপুরের প্রায় কাছাকাছি সংখ্যা অবস্থান করছে কাতার। সেখানে প্রায় পাঁচ শতাধিক বাংলাদেশি করোনায় আক্রান্ত। এপর্যন্ত মারাও গেছে ৩ জন। কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসুদ আহমেদ মঙ্গলবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।



বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) তথ্য অনুসারে, করোনাভাইরাসে কাতারে মোট সাতজনের মৃত্যু হয়েছে এবং মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৪২৮ জনে।



করোনায় সুখবর দিল তাইওয়ান!



নভেল করো’না ভা’ইরাস যে মা’রাত্মক আ’কার ধারণ করবে সে ব্যাপারে বিশ্ব স্বা’স্থ্য সংস্থাকে (ডব্লিউএইচও) ডিসেম্বরেই সত’র্ক করে দিয়েছিল তাইওয়ান। এদিকে বিশ্ব যখন করো’না র প্র’ভাবে নাজেহাল অবস্থা সেখানে তাইওয়ান সুখবর দিল। তাঁরা জা’নাচ্ছে, বিগত ১ মাস ধ’রে তাঁদের দ্বীপে আর কেউ করো’না আক্রা’ন্ত হননি বা তেমন কোনও লক্ষণও বাসিন্দাদের মধ্যে ধ’রা প’ড়েনি।



তাইওয়ান কীভাবে এই মা’রণ ভা’ইরাসের বি’রুদ্ধে মো’কাবিলা করে আপাতত ভাবে জয়লাভ করেছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে জা’নানো হয়েছে, ৩১ ডিসেম্বরের আগে থেকেই চীনের উহান থেকে আগত লোকদের স্বা’স্থ্য পরীক্ষা করাচ্ছিল তাইওয়ান। এই উহানেই গত বছরের শেষ দিকে প্রথম করো’না র ঘ’টনা সামনে এসেছিল।



তাইওয়ানে এখন পর্যন্ত মোট ৩৯৩ জনের আক্রা’ন্ত হওয়ার খবর সামনে এসেছে। এর মধ্যে ৬ জনের মৃ’ত্যু হয়েছে। এরমধ্যে ৩৩৮ জন বাইরে থেকে এসেছিল, মনে করা হচ্ছিল এরাই স্থা’নীয় স্তরে সংক্র’মণ ছ’ড়িয়ে দিতে পারে। ওই লোকেদের আগে থেকেই করো’না সংক্র’মণ ছিল বলে খবর।



দ্বীপে ভা’ইরাসের কথা বলতে গিয়ে স্বা’স্থ্যমন্ত্রী বলেন, “আম’রা আশা করি এটিঅবশ্যই শেষ হয়ে গেছে।” পাশাপাশি তিনি জা’নিয়েছেন, আমাদের এখনও সত’র্ক থাকা দরকার। এবং একই স’ঙ্গে তার বক্তব্য, কোনও নতুন সংক্র’মণ না হওয়াতে আম’রা খুশি।



তাইওয়ানের প্রশা’সন জা’নাচ্ছে, বিগত ৯ মা’র্চের পর থেকে তাইওয়ানে নতুন কোনও সংক্র’মণ হয়নি। কিন্তু ইউরোপ ও আমেরিকা থেকে মাঝে কিছু লোক আসাতে একবার ভা’ইরাসের সংক্র’মণ বৃ’দ্ধি পেয়েছিল বলে জা’নানো হয়েছে। একই স’ঙ্গে তাইওয়ানের সরকার জানিয়েছে, তাঁদের দেশে সু’স্থ হয়েছেন ১২৪ জন।