দ্রুতগতিতে পৃথিবীর দিকে এগিয়ে আসা প্রকা’ণ্ড এক গ্রহাণুর সন্ধান পেয়েছেন নাসার বিজ্ঞানীরা, যার আকার চার কিলোমিটারেরও বেশি।
বিজ্ঞানীদের হিসাবে, এক কিলোমিটার আকারের একটি গ্রহাণু পৃথিবীতে আ’ঘা’ত হানলেই মানবসভ্যতা ধ্বং’স হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেখানে এর প্রায় চারগু’ণ আকারের পাথরখণ্ডটি মানবজাতির জন্য অনেক বড় হু’মকি বলে মনে করছেন তারা।



সোমবার (০২ মা’র্চ) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি এক্সপেস জানায়, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত সেন্টার ফর নিয়ার আর্থ অবজেক্ট স্টাডিজ (সিএনইওএস) ৪ দশমিক ১ কিলোমিটার আকারের প্রকা’ণ্ড গ্রহাণুটির সন্ধান পায়। এর নাম দেয়া হয়েছে ৫২৭৬৮ (১৯৯৮ ওআর২)।



নাসার হিসাবে, গ্রহাণুটি প্রতি সেকেন্ডে ৮ দশমিক ৭ কিলোমিটার বেগে (ঘণ্টায় ৩১ হাজার ৩২০ কিলোমিটার) পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে। এই গতিতে আসতে থাকলে ২০২৯ সালের এপ্রিলে পৃথিবীর সংস্প’র্শে আসবে বিশাল পাথরখণ্ডটি।



জ্যোর্তিবিজ্ঞানীদের মতে, মানবসভ্যতা ধ্বং’স করার মতো ক্ষমতাসম্পন্ন গ্রহাণু প্রতি ১০০ বছরে ৫০ হাজারবারের মধ্যে একবার পৃথিবীতে আ’ঘা’ত করার সম্ভাবনা রয়েছে।



জ্যোর্তিবিজ্ঞানী ড. ব্রুস বেটস বলেন, কয়েক মিটার আকারের ছোট ছোট গ্রহাণু প্রতিনিয়ত আসছে, সেগু’লো বায়মণ্ডলেই পুড়ে যায় এবং ক্ষয়ক্ষ’তি খুবই কম করে। চেলায়াবিনস্ক (রুশ শহর) আকারের গ্রহাণু- আকার ২০ মিটারের মতো, ২০১৩ সালে আ’ঘা’ত করেছিল। এতে শকওয়েভ তৈরি হয়, যাতে জানালা টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছিল এবং মানুষ ‘হতা”হত হয়েছিল।



‘টু”ঙ্গু’সকা আকার- প্রায় ৪০ মিটারের গ্রহাণুটি ১৯০৮ সালে সাইবেরিয়ায় আ’ঘা’ত করেছিল। এটি গোটা একটা শহর ধ্বং’স করা বা সুনামি তৈরি করতে পারতো।



বৃ’হত্তর গ্রহাণু, যা অনেকটা কমই আ’ঘা’ত করে, সেগু’লো আঞ্চলিক ধ্বং’সযজ্ঞের কারণ ‘হতে পারে। এমনকি আরও কম আ’ঘা’ত করা বড় গ্রহাণুগু’লো বৈশ্বিক বিপর্যয় ঘটাতে পারে।’



২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি কাউন্সিলের এক প্রতিবেদনেও এ ধরনের প্রকা’ণ্ড গ্রহাণুর ক্ষমতা স’ম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছে।



সিএনইওএসের প্রস্তুতি বি’ষয়ক পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, এক কিলোমিটারের কাছাকাছি বা এর চেয়ে বড় বস্তুগু’লো বিশ্বব্যাপী ধ্বং’সযজ্ঞ চালাতে পারে। এগু’লো ভূমিকম্প, সুনামি এবং এলাকায় তাৎক্ষণিক প্রভাবের চেয়েও বহুদূর বিস্তৃত দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রভাব ফেলতে পারে।



বিজ্ঞানীদের মতে, প্রায় সাড়ে ছয় কোটি বছর আগে ১০ কিলোমিটার আকারের একটি গ্রহাণুর আ’ঘা’তেই পৃথিবী থেকে ডাইনোসর বিলু’প্ত হয়েছিল।