বিশ্বব্যাপী মহা’মা’রি রূপ নেয়া করো’নাভাইরাসে প্রতিদিনই বাড়ছে আ’ক্রা’’ন্ত ও মৃ’’’তের সংখ্যা। বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক ৬৪১ জন করো’না আ’ক্রা’’’ন্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে মোট আ’ক্রা’’’ন্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৭১০৩ জনে। এছাড়া আরও ৮ জনের মৃ’’’ত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃ’’’তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৬৩ জনে।



বুধ বার (২৯ এপ্রিল) করো’না ভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদ’’প্ত রের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা মিরজাদি সাবরিনা ফ্লোরা ।



কি’শোরগঞ্জে করো’না থেকে মুক্তি পেলেন পু’লিশ কর্মক’র্তা- কি’শোরগঞ্জে এবার তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে করো’না ভাই’রাসমুক্ত হয়েছেন এক পু’লিশ কর্মক’র্তা।



ম”ঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে ঢাকা কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল থেকে তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।বি’ষয়টি নিশ্চিত করেছেন কি’শোরগঞ্জ পু’লিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ।



মো. চাঁন মিয়া নামের ওই পু’লিশ কর্মক’র্তা কি’শোরগঞ্জের ভৈরব থা’নার পু’লিশের এসআই (নিঃ) পদে কর্ম’রত আছেন। তিনি ময়মনসিংহ জে’লার মুক্তাগাছা থা’নার নন্দীবাড়ি গ্রামের মো. নায়েব আলীর ছে’লে।



পু’লিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ জানান, চাঁন মিয়ার প্রথম দিকে জ্বর হলে ভৈরবের স্থানীয় একটি ফার্মেমি থেকে ওষুধ কিনেন। এরপর গত (৯ এপ্রিল) হঠাৎ শ্বা’সক’ষ্ট অনুভব করলে তাকে ভৈরব উপজে’লা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য গেলে তার নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হয়।



গত (১০ এপ্রিল) তার শরীরে কোভিড-১৯ পজেটিভ ধ’রা পড়ে। তারপর ওইদিন বিকেলেই আইসোলেশনের জন্য ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতা’লে পাঠানো হয়। তবে ধারণা করা হচ্ছে, যে ফার্মেসি থেকে তিনি ওষুধ কিনেছিলেন সেখান থেকেই তার শরীরে করো’নাভাই’রাসের সংক্রমণ শুরু হয়।



পু’লিশ সুপার আরো জানান, চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় পরপর দুটি নমুনা পরীক্ষায় চাঁন মিয়ার কোভিড-১৯ নেগেটিভ আসায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের স”ঙ্গে আলোচনা করে তাকে হাসপাতাল থেকে ১০ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিয়ে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।



তাছাড়া, ভৈরবে করো’নাভাই’রাসে আ’ক্রা’ন্ত অন্যান্য পু’লিশ সদস্যরাও চাঁন মিয়ার মাধ্যমে সংক্রমিত হয়েছেন। পু’লিশের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক তাদের খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। তাদের মধ্যে অনেকের শারীরিক অবস্থা বর্তমানে উন্নতির দিকে।



আশা করা যাচ্ছে, খুব শীগগিরি আরো কয়েকজন করো’নাভাই’রাস মুক্ত হয়ে নিজ কর্মস্থলে ফিরে আসবেন।উল্লেখ্য, এর আগে গত শনিবার (২৫ এপ্রিল) ও সোমবার (২৭ এপ্রিল) কি’শোরগঞ্জে আরো দুইজন করো’নাভাই’রাস থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।



এছাড়া, শ’হীদ সৈয়দ নজরুল ইস’লাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতা’লের আইসোলেশন ওয়ার্ডে বর্তমানে ২৬ জন কোভিড-১৯ পজেটিভ রোগী ভর্তি রয়েছেন।