করো’নাভাই’রাসে আ’ক্রা’ন্ত হওয়ার পর গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে পাঁচ রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এ নিয়ে বাংলাদেশে মোট ৯২ করো’নারোগী সুস্থ হয়েছেন। বুধবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য তুলে ধ’রা হয়েছে। সুস্থ হওয়ার সংখ্যা কম কেন, এমন ধারণা প্রস”ঙ্গে অধিদফতরের অ’তিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) নাসিমা সুলতানা বলেন, এ রোগে আ’ক্রা’ন্তদের সুস্থ ‘হতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। অনেক সময় উপসর্গ ও লক্ষণ নিয়েই তারা ১৪-১৫ দিন থাকেন, তার পর লক্ষণ কিংবা উপসর্গ কমতে শুরু করে।



অর্থাৎ আ’ক্রা’ন্ত হওয়ার পর একজন রোগীকে সম্পূর্ণ সুস্থ ‘হতে মাসখানেক সময় লেগে যায়। তিনি জানান, একজন ব্যক্তিকে আম’রা তখনই সম্পূর্ণ সুস্থ বলব, যখন তার পর পর দুটি পরীক্ষায় কোভিড-১৯ নেগেটিভ আসবে। এই চিকিৎসক বলেন, করো’নাভাই’রাসে আ’ক্রা’ন্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ১০ জনের মৃ’’ত্যু হয়েছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এই বৈশ্বিক মহা’মা’রীতে মৃ’’ত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১২০ জনে।



‘গত একদিনে দেশে কোভিড-১৯ রোগে আ’ক্রা’ন্ত হয়েছেন ৩৯০ জন। এতে সর্বমোট আ’ক্রা’ন্ত হয়েছেন তিন হাজার ৭৭২ জন।’ তিনি বলেন, এ সময়ে তিন হাজার ৫২টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আগেরও কিছু নমুনা আমা’দের ছিল। সব মিলিয়ে তিন হাজার ৯৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। যার হার গতকালের চেয়ে ৪ দশমিক ১ শতাংশ বেশি।



মৃ’’ত ১০ জনের বিবরণ দিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এই পরিচালক বলেন, তাদের মধ্যে পুরুষ সাতজন, আর নারী তিনজন। আর মৃ’’তদের সাতজন ঢাকার ভেতরে, বাকিরা বিভিন্ন এলাকার। ঢাকার বাইরে তিনজন হলেন ময়মনসিংহ, নারায়ণগঞ্জ ও টা”ঙ্গাইলের। ‘বয়সের বিশ্লেষণে তাদের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব তিনজন, ৫১-৬০ বছর বয়সী দুজন, ৪১-৫০ বছরের তিনজন ও ২১-৩০ বছর বয়সী দুজন মা’রা গেছেন।’



গত ৮ মা’র্চ দেশে প্রথম করো’না রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর ১০ দিন পর ১৮ মা’র্চ প্রথম করো’নায় মৃ’’ত্যুর খবর দেয় আইইডিসিআর। এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর রাজধানীর রাস্তাঘাট অনেকটা ফাঁ’কা হয়ে যায়। ১৮ মা’র্চ থেকে এক-দুই-তিন দিন পর পর মৃ’’ত্যুর খবর দিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর। ৩ এপ্রিল থেকে প্রতিদিন মৃ’’ত্যুর খবর দিয়ে আসছে তারা। এরই মধ্যে ১৭ এপ্রিল ১৫ জনের মৃ’’ত্যুর তথ্য দেয়া হয়। এটি ছিল একদিনে সর্বাধিক মৃ’’ত্যু।



বাংলাদেশে আ’ক্রা’ন্তদের মধ্যে তিন দশমিক ৪ শতাংশ মৃ’’ত্যুর হার। তবে কারও কারও ধারণা, এটি বাস্তব পরিস্থিতি নয়। আ’ক্রা’ন্তদের অনেকেই শনাক্ত হচ্ছেন না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে বৈশ্বিকভাবে মৃ’’ত্যুর হার ৩ শতাংশ। যাদের বয়স বেশি, যারা আগে থেকে অন্য রোগে ভুগছেন, তাদের মৃ’’ত্যুঝুঁ’কি বেশি।



জনস্বাস্থ্যবিদ ও রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পরাম’র্শক মুশতাক হোসেন বলেন, অন্য অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশে আ’ক্রা’ন্ত ব্যক্তিদের মধ্যে মৃ’’ত্যু কিছুটা বেশি দেখা যাচ্ছে। তবে এ বি’ষয়ে চূড়ান্ত কিছু বলার সময় আসেনি। আম’রা শুধু রোগ শনাক্তকরণ পরীক্ষার তথ্যই ব্যবহার করছি। চিকিৎসা’সংশ্লিষ্ট তথ্য ব্যবহার করতে পারছি না।