Breaking News

করোনার ভ্যাকসিন নেওয়া সেই নারীর ব্যাপারে অবশেষে পাওয়া গেল সুখবর!

করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন ড. এলিসা গ্রানাটো। তিনি বর্তমানে সুস্থ আছেন। অক্সফোর্ডে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের প্রথম পরীক্ষায় সর্বপ্রথম অংশ নিয়েছেন তিনি। আর তিনি মা’রা গেছেন বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় খবর ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু বিবিসি বলছে সোশ্যাল মিডিয়ার ওই সব খবর গু’জব।

করোনার ভ্যাকসিন নেওয়া সেই নারীর ব্যাপারে অবশেষে পাওয়া গেল সুখবর। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিবিসির স্বাস্থ্য বিষয়ক সংবাদদাতা ফারগাস ওয়ালশ। তিনি বলেন, ‘ড. এলিসা গ্রানাটো ভালো আছেন, সুস্থ আছেন।’ ড. গ্রানাটোর সাথে আজ রবিবার সকালে স্কাইপে তার কয়েক মিনিট কথাও হয়। সে সময় ওই ভ্যাকসিন ভলান্টিয়ার, যিনি পেশায় একজন মাইক্রোবায়োলজিস্ট; জানান, তিনি খুবই ভালো আছেন। আজকের সুন্দর রোদ উপভোগ করছেন তিনি।

ড. গ্রানাটো জানান, তিনি তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে অনলাইন গ্রুপচ্যাট করেছেন, এবং তাদের আশ্বস্ত করেছেন যে কোথাও তার মৃ’ত্যুর খবর দেখলে তারা যেন ঘাবড়ে না যান।

শনিবার একটি ওয়েবসাইট থেকে তার মৃ’ত্যুর গুজব ছড়ায়। অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন কর্মসূচির প্রধান প্রফেসর অ্যান্ড্রু পোলার্ড মানবদেহে এই ভ্যাকসিন পরীক্ষায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি বলেন, এই ধরনের গু’জব এই প্যানডেমিক মো’কাবেলায় চেষ্টায় সমস্যা তৈরি করবে। এমন গু’জব ছড়াতে দেওয়া যায় না।

ড. গ্রানাটো ইউরোপে প্রথম ব্যাক্তি, যার দেহে প্রথম পরীক্ষামুলকভাবে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। তাকে টিকা দেওয়া হয় বৃহস্পতিবার বিকালে। আজ রবিবার সকালে ভ্যাকসিন সেন্টারে গবেষকরা তাকে পরীক্ষা করেন এবং তার শরীর থেকে রক্তের নমুনা নিয়েছেন।

নতুন তথ্য একজনের দেহে ঢুকে শক্তি বাড়িয়ে আরেকজনকে ধ’রছে করোনা!

চীনের উহান থেকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাস। কিভাবে ছড়িয়েছে এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর এখনো অজানা। প্রাণঘা’তী এই ভাইরাসটিকে নিয়ে প্রতিনিয়ত চলছে গবেষণা। পাওয়া যাচ্ছে নতুন নতুন তথ্য। এবার চীনে করোনায় আক্রা’ন্ত রো’গীদের নিয়ে করা এক গবেষণায় দাবি করা হচ্ছে, করোনার ৩০ বার মিউটেশনের স’ন্ধা’ন পাওয়া গেছে।

তার মধ্যেই ১৯টি মিউটেশনই নতুন। চীনের ঝেজিয়াং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা এই রোগে আ’ক্রা’ন্ত স্বল্প সংখ্যক রোগী নিয়ে গবেষণা করেছেন। করোনার বেশ কয়েটি মিউটেশন আবিষ্কার করেন। এর মধ্যে ১৯টির চি’হ্ন আগে কখনো দেখা যায়নি।

তাদের দেওয়া তথ্য মতে, কিছু মিউটেশন মানবদেহের কোষে আ’ক্র’মণ করার ক্ষ’মতা বাড়িয়ে তোলে, অন্যান্যগুলো এই রোগটিকে আরো দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে দিতে সহায়তা করে। সেই সঙ্গে একজনের দেহে ঢুকে শ’ক্তি বাড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস। এরপর দ্রুত আরেকজনের শরীরে ছড়িয়ে পড়ছে।

সাউথ চাইনা মর্নিং পোস্ট জানিয়েছে, করোনার সবচেয়ে মা’রা’ত্মক স্ট্রেনগুলো জিনগতভাবে ইউরোপ ও নিউইয়র্কে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসের সঙ্গে মিল রয়েছে। আর দু’র্ব’ল স্ট্রেনগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যেমন ওয়াশিংটন স্টেটের মতো শহরগুলোতে ছড়িয়ে পড়া কারোনার সঙ্গে মিল রয়েছে।

গবেষকরা জনান, ইউরোপ ও নিউইয়র্কের ধ্বং’সা’ত্মক তা’ণ্ডব চালানোর পেছনে অপ্রকাশিত মিউটেশনগুলো রয়েছে। তবে ইউরোপ ও নিউইয়র্কে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাস ও যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য জায়গায় ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসের মধ্যে কেন পার্থক্য রয়েছে সেই বিষয়টি এখনো অজনা।

বিজ্ঞানীরা বলেছেন, ভাইরাসগুলো মানুষের শরীরে রো’গপ্রতিরো’ধ ক্ষ’মতাকে ভেঙে দেওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত চরিত্র বদল করছে। আর তাতেই মৃত্যুর হা’র বাড়ছে। আক্রা’ন্তও হচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। সূত্র: ডেইলি মেইল।

Check Also

এই ছোট্ট মেয়ে পেলেন বিশ্বের সেরা সুন্দরী শিশুর শিরোপা, রইল তার আসল পরিচয়

নীল চোখের ছোট্ট পরী সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। জন্মানোর পর থেকেই তার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *