তিন অভ্যাসে করোনা জয়!
করোনা ভাইরাসের ভয়াল থাবায় বিশ্ব আজ থমকে গেছে। হারিয়েছে তার নিজস্ব গতি। বিশ্ব সভ্যতা আজ এক চরম পরীক্ষায়! এখন পর্যন্ত বিশ্বের দুই শতাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এ ভাইরাস। ইতালিত, স্পেন, বেলজিয়াম, যুক্তরাষ্ট্রে, সারা বিশ্বে মৃত্যুর সংখ্যা অনেক আগেই পৌনে ২ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। মৃত্যু আর লাশ ছাড়া অন্য কিছু নেই সারা বিশ্বে। কীভাবে বাঁচবো- এটাই এখন প্রধান বিষয়।
তবে করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সতর্কতাও জারি করেছে। এরইমধ্যে বাংলাদেশে ৩ হাজার ছাড়িয়েছে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। তাই পুরো বাংলাদেশেই ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে।
ভাইরাসটি শক্তিশালী হলেও সেটিকে প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ)। করোনা থেকে বাঁচতে সংগঠনটি পরামর্শও দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে কারোনার আক্রমণ থেকে বাঁচা এবং ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধ করার জন্য প্রতিদিনের জরুরি স্বাস্থ্যগত অভ্যাসগুলো জানা থাকা জরুরি। তবে জানেন কি, মাত্র তিনটি অভ্যাসেই করোনাভাইরাসকে জব্দ করা সম্ভব। চলুন জেনে নেয়া যাক সেই অভ্যাসগুলো-
# নিজের হাত দুটো সবসময় পরিষ্কার রাখুন।
# কাশি বা হাঁচি দেয়ার সময় অবশ্যই রুমাল ব্যবহার করুন।
# হাতদুটো মুখমণ্ডল থেকে দূরে রাখুন। কোনোভাবেই হাত না ধুয়ে মুখে স্পর্শ করবেন না।
এই তিনটি প্রধান অভ্যাস রপ্ত করতে পারলেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া ও ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
নতুন তথ্য একজনের দেহে ঢুকে শক্তি বাড়িয়ে আরেকজনকে ধ’রছে করোনা!
চীনের উহান থেকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাস। কিভাবে ছড়িয়েছে এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর এখনো অজানা। প্রাণঘা’তী এই ভাইরাসটিকে নিয়ে প্রতিনিয়ত চলছে গবেষণা। পাওয়া যাচ্ছে নতুন নতুন তথ্য। এবার চীনে করোনায় আক্রা’ন্ত রো’গীদের নিয়ে করা এক গবেষণায় দাবি করা হচ্ছে, করোনার ৩০ বার মিউটেশনের স’ন্ধা’ন পাওয়া গেছে।
তার মধ্যেই ১৯টি মিউটেশনই নতুন। চীনের ঝেজিয়াং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা এই রোগে আ’ক্রা’ন্ত স্বল্প সংখ্যক রোগী নিয়ে গবেষণা করেছেন। করোনার বেশ কয়েটি মিউটেশন আবিষ্কার করেন। এর মধ্যে ১৯টির চি’হ্ন আগে কখনো দেখা যায়নি।
তাদের দেওয়া তথ্য মতে, কিছু মিউটেশন মানবদেহের কোষে আ’ক্র’মণ করার ক্ষ’মতা বাড়িয়ে তোলে, অন্যান্যগুলো এই রোগটিকে আরো দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে দিতে সহায়তা করে। সেই সঙ্গে একজনের দেহে ঢুকে শ’ক্তি বাড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস। এরপর দ্রুত আরেকজনের শরীরে ছড়িয়ে পড়ছে।
সাউথ চাইনা মর্নিং পোস্ট জানিয়েছে, করোনার সবচেয়ে মা’রা’ত্মক স্ট্রেনগুলো জিনগতভাবে ইউরোপ ও নিউইয়র্কে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসের সঙ্গে মিল রয়েছে। আর দু’র্ব’ল স্ট্রেনগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যেমন ওয়াশিংটন স্টেটের মতো শহরগুলোতে ছড়িয়ে পড়া কারোনার সঙ্গে মিল রয়েছে।
গবেষকরা জনান, ইউরোপ ও নিউইয়র্কের ধ্বং’সা’ত্মক তা’ণ্ডব চালানোর পেছনে অপ্রকাশিত মিউটেশনগুলো রয়েছে। তবে ইউরোপ ও নিউইয়র্কে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাস ও যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য জায়গায় ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসের মধ্যে কেন পার্থক্য রয়েছে সেই বিষয়টি এখনো অজনা।
বিজ্ঞানীরা বলেছেন, ভাইরাসগুলো মানুষের শরীরে রো’গপ্রতিরো’ধ ক্ষ’মতাকে ভেঙে দেওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত চরিত্র বদল করছে। আর তাতেই মৃত্যুর হা’র বাড়ছে। আক্রা’ন্তও হচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। সূত্র: ডেইলি মেইল।