ছোলা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী একটি খাবার। ছোলা সিদ্ধ, ভেজে কিংবা বিভিন্নভাবে রান্না করেও খাওয়া যায়। তবে সুস্থতার কথা বিবেচনা করে অনেকেই সকালে খালি পেটে কাঁচা ছোলা খেয়ে থাকে।



তবে এই কাঁচা ছোলার সঙ্গে আর কী খাওয়া ঠিক কিংবা ঠিক না সে বিষয়টি অনেকেই মাথায় রাখেন না। অথচ এই বিষয়টি খেয়াল রাখা খুব জরুরি। কারণ সঠিক তথ্য না জানার জন্য অনেক সময় হিতে বিপরীত ফলাফল ভোগ করতে হতে পারে। দেখা যাবে ভালো করতে গিয়ে আপনার শরীরের জন্য তা বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই সঠিক তথ্য জানাটা আপনার শরীরের জন্য খুবই জরুরি।



অনেকেই হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি ও খাদ্য পরিপাকের কথা মাথায় রেখে রাতেই ছোলা ভিজিয়ে দেন ও পরের দিন সকালে সেগুলো খান। কাঁচা ছোলা খাওয়া শরীরের জন্য খুবই ভালো, তা যেমন আপনার শরীরের রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি করে, তেমনি আপনাকে ফিটও রাখে। তবে প্রায় সময়ই দেখা যায় ছোলা খাওয়ার কিছুক্ষণ পরই অন্যান্য খাবার খান অনেকেই। যা বিপদ বয়ে আনতে পারে।



বিশেষ করে এই সময় আপনি যদি দুটি জিনিস খান, তাহলে আপনার শরীরে অসুখের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে। আসলে কাঁচা ছোলা খাওয়ার পর এই দুটি জিনিস শরীরে গেলে তা আপনার শরীরের জন্য বিষক্রিয়ার সৃষ্টি করতে পারে। তাতে করে শরীরে বিভিন্ন রকম রোগ দানা বাঁধতে পারে। তাই সকালে ছোলা খাওয়ার পর দুটি জিনিস ভুলেও খাবেন না। চলুন জেনে নেয়া যাক সেই দুটি জিনিস সম্পর্কে-



> সকালে খালি পেটে কাঁচা ছোলা খাওয়ার পর ভুলেও কোনো রকম আচার খাবেন না। আসলে আচারের মধ্যে অনেক সময় ভিনেগার দেয়া হয়, কাঁচা ছোলা খাওয়ার পর যদি আপনার পেটে ভিনেগার যায় তাহলে তা বিষক্রিয়া করতে পারে। এতে করে কাঁচা ছোলা ও আচার একই সঙ্গে আপনার পেটে গেলে তা উপকারের বদলে অপকার করবে এবং আপনার হার্ট অ্যাটাক পর্যন্ত হতে পারে। সেই সঙ্গে সহ্য করতে হবে গলা-বুক জ্বালা ও অম্বলের সমস্যা।



> সকালে খালি পেটে কাঁচা ছোলা খাওয়ার পর কখনোই করলা খাবেন না। কারণ কাঁচা ছোলাতে যে অক্সাইড পাওয়া যায়, সেই অক্সাইড আপনি পাবেন করলাতে। বরং কাঁচা ছোলাতে যে পরিমাণ অক্সাইড পাওয়া যায় করলাতে তার চেয়ে অনেক বেশি মাত্রায় অক্সাইড থাকে।



তাতে করে শরীরের মধ্যে তা প্রবেশ করার পর তা মিলেমিশে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি করে। তবে এই বিষক্রিয়া খুবই ধীরে ধীরে কাজ করে ও পরে তা গভীর অসুখের সৃষ্টি করতে পারে।



সূত্র: এনডিটিভি



আরো পড়ুন



অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল লিভারের জন্য বিপজ্জনক, হতে পারে ক্যান্সারও!



অনেকেই খাবার মুড়িয়ে রাখতে কিংবা রান্নার প্রক্রিয়ায় অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল ব্যবহার করি। এছাড়াও বেকিং ও রোস্ট করার জন্য সারাবিশ্বেই প্রচুর ব্যবহৃত হচ্ছে ফয়েল পেপার। তবে এ প্রক্রিয়াটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বলে মনে করছেন গবেষকরা।
সম্প্রতি মিশরের ইউনিভার্সিটি অব কায়রোর এক গবেষণায় দেখা গেছে, অ্যালুমিনিয়ামে মোড়ানো খাবারে উপকারের চেয়ে ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি। এ বিষয়ে গবেষক অ্যাইন শ্যামস বলেন, খাবার বানানোর প্রক্রিয়ায় অ্যালুমিনিয়ামের ব্যবহার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত মাপকাঠির ওপরে।



খাবার মোড়াতে অ্যালুমিনিয়াম ব্যবহার করা হলে তা খাবারেও প্রবেশ করে। খাবার রাখার পাত্র ও আশপাশে ব্যবহৃত নানা উপাদান সর্বদা খাবারে প্রবেশ করে। আর এ কারণে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলও খাবারে মিশে যেতে পারে।



অতীতে অ্যালুমিনিয়ামের প্রসার ছিল না। সে সময় টিনের ফয়েল ব্যবহার করে অনেকেই খাবার মোড়াতেন।
তবে সে সময় টিনের কারণে খাবারের স্বাদ গন্ধ কিছুটা পরিবর্তিত হয়ে যেত। এরপর টিনের পরিবর্তে অ্যালুমিনিয়াম ব্যবহার শুরু হয়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, অ্যালুমিনিয়াম দেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। দীর্ঘদিন এটি ব্যবহারে শারীরিক নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। জেনে নিন সেগুলো সম্পর্কে-



> কিডনি ও লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। গরম খাবার অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে মুড়িয়ে রাখার ফলে খাবারের সঙ্গে পেটে কিছুটা অ্যালুমিনিয়াম চলে যায়। যা আপনার কিডনি এবং লিভার ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।



> এটি মস্তিষ্কের কোষের বৃদ্ধি কমিয়ে দেয়। মস্তিষ্কের টিস্যুতে অতিরিক্ত অ্যালুমিনিয়াম জমা হলে অ্যালাঝাইমারস-এ আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। এটি মস্তিষ্কের স্মৃতিবিধ্বংসী রোগ।



> এছাড়া হাড়ের কিছু রোগের জন্যও দায়ী অ্যালুমিনিয়াম। শরীরে অ্যালুমিনিয়ামের মাত্রা বেড়ে গেলে হাড়ের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।



> ক্যান্সারের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে। দীর্ঘদিন ধরে খাবার রান্না বা পরিবেশনে আপনি অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল ব্যবহার করছেন। এর ফলে শরীরে ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।



> এটি শ্বাসকষ্টের সমস্যা তৈরি করে। অনেকের শ্বাস- প্রশ্বাসের সমস্যা দেখা দেয় এর ফলে।



খাবার রান্না বা পরিবেশনের জন্য অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল এড়িয়ে চলুন। এর বদলে কাঁচের বা মাটির তৈরি বাসনপত্র ব্যবহার করতে পারেন। যা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।