মসজিদে জুমার খুতবা পড়ার সময় কালেমা পড়তে পড়তে ইন্তেকাল করেছেন আবুল আজম ত্বহা নামের একজন ইমাম। ঘটনাটি ঘটেছে মিসরের আল-ওয়ারাক জেলার মসজিদে হাবিবে।



আলজাজিরা আরবির খবরে জানা গেছে, খতিব ত্বহা কালেমা পড়তে পড়তে মিম্বর থেকেই নিচে পড়ে যান। তিনি এ মসজিদে দীর্ঘদিন ধরে খতিবের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।



৬৪ বছর বয়সী এ আলেম প্রায় ৪০ বছর ধরে মিসরের বিভিন্ন অঞ্চলে ইসলামের দায়ী হিসেবে কাজ করে গেছেন। সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তাও পেয়েছিলেন তিনি।



তার মৃত্যুর সময়ের সেই ভিডিও সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে এবং এটিকে সৌভাগ্যের মৃত্যু বলে আখ্যায়িত করেন নেটিজেনরা।
মুসল্লিরা জানান, খুতবা শুরু করে তিনি হামদ ও ছানার পরই কালিমা পড়া শুরু করেন। তখন তার কণ্ঠ রুদ্ধ হয়ে আসে। উপস্থিত মুসল্লিদের সামনেই খুতবার মিম্বর থেকে নিচে পড়ে যান তিনি।



এই ইমামের পরিবারের তথ্যমতে, ওই দিন পর্যন্ত তিনি পরিপূর্ণ সুস্থ ছিলেন। প্রতিদিনের অভ্যাস মতো খুব ভোরে ঘুম থেকে জেগে তাহাজ্জুদ আদায় করেন তিনি। ফজর আদায় করার পর তিন পারা কোরআন তিলাওয়াত করে পরিবারের সবার সঙ্গে সকালের খাবার খান।



জুমার প্রস্তুতির জন্য গোসল করে বাসা থেকে মসজিদে আসেন। শুক্রবার বাদ আসর অসংখ্য লোকের উপস্থিতিতে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।



নিজেদের ভুলে গেল ১৯ ইরানি নাবিকের প্রাণ



ইরানের নৌবাহিনীর মিসাইল পরীক্ষার ভুলে প্রাণ গেল ১৯ নাবিকের। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৫ জন। রোববার হরমুজ প্রণালীর কাছে ওমান উপসাগরে প্রশিক্ষণ চলাকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।



ইরানের নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে সোমবার এক বিবৃতিতে বলা হয়, রোববার সন্ধ্যায় বন্দর-ই জাস্ক ও চাবাহারের জলসীমায় সামরিক প্রশিক্ষণ চলাকালে দুর্ঘটনাটি ঘটে। মূলত জাহাজ কোনারেক একটি প্রশিক্ষণ লক্ষ্যবস্তুকে সেখানে আনে। কিন্তু কোনারেক ওই লক্ষ্যবস্তুর সঙ্গে যথেষ্ট দূরত্ব তৈরি না করায় এমন দুর্ঘটনাটি ঘটে।



এদিকে ইরানি নৌবাহিনীর পেশাদারিত্ব নিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নের সৃষ্টি করছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজকে কূলে ডকে রাখা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।



কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ হরমুজ প্রণালীতে ইরানি নৌবাহিনীর নিয়মিত মহড়া চলে থাকে। এ জলপথ দিয়ে বিশ্বের প্রায় এক পঞ্চমাংশ জ্বালানি তেল পরিবহন করা হয়।