‘আমি গরিব মানুষ। মোবাইলে এক সঙ্গে ৫০ টাকার উপরে কোনো দিন ফ্লেক্সিলোড করি নাই। কেউ কোনো দিন মোবাইলে টাকাও দেয় নাই। কিন্তু বৃহস্পতিবার (১৪ মে) বিকেলে মোবাইলে একটি ম্যাসেজ আসে। ম্যাসেজ ওপেন করতেই দেখি ২ হাজার ৫৩৬ টাকা পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রথমে যেন বিশ্বা’সই হচ্ছিল না। সত্যি খুব ভালো লাগছে।’



কিছুটা আবেগতাড়িত হয়ে কথাগুলো বলছিলেন রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি সদর ইউনিয়নের ভীমনগর গ্রামের হতদরিদ্র সিরাজুল ইস’লামের ছে’লে শরিফুল মিয়া (২৫)।



শুধু শরিফুল মিয়াই নয়, বালিয়াকান্দি উপজে’লার শালমা’রা গ্রামের আমোদ আলীর ছে’লে কাম’রুল ইস’লামও (২৫) তার মোবাইলে ২ হাজার ৫৩৬ টাকা পেয়েছেন।



মূলত করো’নার প্রাদুর্ভাবে গোটা বিশ্বের মতো বাংলাদেশও স্থবির হয়ে পড়েছে। এতে সবচেয়ে বেশি ক’ষ্টে আছে নিম্ন আয়ের মানুষ। কাজ করতে না পারায় পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে তারা।



এ কারণে তালিকা করে সরকারিভাবে বিভিন্ন স্থানে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। এরপরেও নিম্ন আয়ের মানুষরা যাতে না খেয়ে থাকে সেজন্য সরকার থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।



ইতোমধ্যে হতদরিদ্র ও কর্মহীন ৫০ লাখ পরিবারকে নগদ অর্থ সহায়তা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সহায়তার অর্থ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বিনা খরচে ওই সব পরিবারগুলোতে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।



এই মোবাইল ব্যাংকিংয়ের আওতায় বালিয়াকান্দির দরিদ্র শরিফুল মিয়া ও কাম’রুল ইস’লাম টাকা পেয়েছেন। এদের মধ্যে শরিফুল মিয়া অটোরিকশা ও কাম’রুল ভ্যান চালক।



শরিফুল মিয়া ও কাম’রুল ইস’লাম বলেন, ‘সামনে ঈদ। হাতে টাকা নেই, কাজও নেই। তাই সংসার নিয়ে চিন্তায় ছিলাম। তবে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী আমাদের কাছে টাকা পাঠিয়েছেন। কিন্তু প্রথমে আমাদের বিশ্বা’স হচ্ছিল না।



আম’রা বালিয়াকান্দি উপজে’লা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) একেএম হেদায়েতুল ইস’লামের কাছে আসি। স্যার আমাদের মোবাইল দেখে জানান এ টাকা প্রধানমন্ত্রী পাঠিয়েছেন। সত্যি আম’রা অনেক খুশি হয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর জন্য মন ভরে দোয়া করছি।’



বালিয়াকান্দি উপজে’লা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) একেএম হেদায়েতুল ইস’লাম জানান, প্রধানমন্ত্রীর মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রমের আওতায় বালিয়াকান্দির ৮৫০০ জন অসহায় কর্মহীন মানুষ সুবিধা পাবে। এর মধ্যে আজ দুইজন টাকা পেলেন। বাকিরাও পর্যায়ক্রমে টাকা পাবেন।