সর্দি জ্বর, গলা ব্যথা, বা কাশি হউক নিয়ে নিন ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকিৎসাঃ
১) আদা, লেবু, তেজপাতা, এলাচি, লং, দাড়চিনি একটি পরিস্কার পাত্রে পানিতে ১৫ মিনিট ফুটাতে থাকুন। সাথে আস্তা লেবু ২টা।



২) ফুটানো চলাকালে নিরাপদ দূরত্বে থেকে কমপক্ষে ৫ মিনিট গরম বাষ্পনাক দিয়ে লম্বা টেনে মুখ দিয়ে বের করতে হবে। দৈনিক এভাবে ৪ থেকে ৫ বার গ্রহন করুন।



৩) তারপর এই ফুটন্ত আদা, লেবু, তেজপাতা ইত্যাদির মিক্স গরম পানি চায়ের মতো করে ১ ঘন্টা পরপর পান করতে থাকুন।
৪) সাথে খেতে পারেন নাপা এক্সটেন্ড জাতীয় ঔষধ।



৫) ফুসফুসকে ভাল রাখার জন্য বাসায় বা বাসার বারান্দায় বসে মুক্ত বাতাসে শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যয়াম করুন কমপক্ষে দৈনিক দুবার। নাক দিয়ে লম্বা নিশ্বাস গ্রহন করুন যতোবেশী নিতে পারেন নিন তারপর যতোক্ষণ আটকিয়ে রাখতে পারেন রাখুন। তারপর আস্তে আস্তে মুখ দিয়ে দম ছাড়ুন। এভাবে ১০ বার করুন।



৬) প্লেটে আদা কেটে সামান্য লবন দিয়ে রাখুন। মুখে দিন একটু পরপর।
৭) আধা ঘন্টা পর পর গরম চা, গরম দুধ, কফি, গ্রিন টি পান করুন। গলা কোনভাবেই শুষ্ক রাখা যাবেনা।



আপনি বাঁচবেন কি বাঁচবেননা, আপনার ‘কী রোগ হলো’ ভুলেও এসব ভাবনা মাথায় প্রশ্রয় দিবেন না। মনে রাখবেন, আসল কথা হচ্ছে মনোবল। বনের বাঘে খায়না মনের বাঘে খায়। মনোবল হারালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, তাই আপনার যা ভালো লাগে তাই করবেন মনোবল চাংগা রাখার জন্যে।



উপরোক্ত পদ্ধতিতে আপনি ২ দিন চিকিৎসা নিলে এটা পরীক্ষিত সত্য যে তৃতীয় দিনের দিন আপনার করোনাভাইরাস নেগেটিভ হতে বাধ্য। ইনশাআল্লাহ।



আপনি সুস্থ হয়ে অবশ্যই এটি শেয়ার করে অন্যকে সুস্থ হতে সহযোগিতা করুন। আল্লাহ আপনার আমার সবার সহায় হোন। আমিন।
শেয়ার করে বন্ধুদের জানিয়ে দিন। নিজ টাইমলাইনে রেখে দিন। প্রয়োজনে কাজে লাগতে পারে।



লাউয়ের রসে আতঙ্ক, ঘটতে পারে মৃত্যুও!
নিশ্চয়ই জানেন, লাউ স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। গরমে লাউ দেহে আরাম দেয়। শরীর ঠাণ্ডা রাখতে এর জুড়ি নেই। তাছাড়া দেহের নানা রোগ প্রতিরোধে লাউ অতুলনীয়।



অনেককেই দেখা গেছে ওজন কমাতে লাউয়ের রস পান করেন। সম্প্রতি জানা গেছে, লাউয়ের রস স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক, এমনকি মৃত্যুও হতে পারে। নিশ্চয়ই জানতে ইচ্ছে করছে, এমন কি জিনিস আছে যা লাউয়ের রসকে বিষাক্ত বানায়? চলুন জেনে নেয়া যাক এই বিষয়ে বিস্তারিত-



ইন্ডিয়ান জার্নাল অব মেডিকেল রিসার্চের এক গবেষণার মতে, লাউয়ে থাকে কুকুর্বিটাসিন্স। যার জন্য লাউয়ের তেতো স্বাদ আসে। শাক-সবজি আজকাল অনেক কঠিন পরিস্থিতে চাষ করা হয়। যেমন- বেশি তাপমাত্রা, অল্প পানি ইত্যাদি। তাই তেতো লাউয়ের রস খেলে মৃত্যুও হতে পারে। এমনকি পেটে ব্যথা আর বমিও হয় যদি তেতো স্বাদের লাউয়ের রস পান করা হয়।



কনসালটেন্ট পুষ্টিবিজ্ঞানী ডাক্তার রুপালি দত্ত বলেন, লাউয়ের রস ক্ষতিকারক কি না সেটা এখনো প্রমাণ হয়নি। তবে লাউ বিষাক্ত হতেই পারে কেননা এত রকমের কেমিক্যাল ও কীটনাশক ব্যবহার করা হয় লাউ চাষে।



তাই তেতো স্বাদের লাউ বা তার রস পান করবেন না। চেষ্টা করবেন কেমিক্যাল ও কীটনাশক ব্যবহার করা হয় না এমন লাউ খেতে ও তার রস পান করতে।



সূত্র: এনডিটিভি



আরো পড়ুন



শিশুর বুকে জমে থাকা কফ গলানোর দারুণ কৌশল



ঋতুর পরিবর্তনের কারণে সব থেকে বেশি রোগে আক্রান্ত হয় শিশুরা। হঠাৎ বৃষ্টি, রোদ, ঠাণ্ডা বাতাস এবং শীত শীত আবহাওয়ায় শরীরও ঠাণ্ডা জ্বর বা বুকে কফ জমাতে আক্রান্ত হয়।



শিশুদের বুকে কফ জমে গেলে শিশুর সঙ্গে সঙ্গে ভুগতে হয় মা-বাবাকেও। তাছাড়া এই কফ থেকে শিশুর শ্বাসকষ্টও হয়। যা থেকে একসময় নিউমোনিয়া পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। তাই কষ্ট কমাতে ও বিপদ এড়াতে জেনে নিন শিশুর বুকে জমে থাকা কফ গলানোর কৌশল-



> ২টি রসুনের কোয়া ও ১ টেবিল চামচ মৈরি ভাল করে ভেজে বেটে নিন। এবার এই মিশ্রনটি একটি পরিষ্কার কাপড়ে বেধে পুটলি তৈরি করে শিশুর ঘুমানোর স্থানে রেখে দিন। এটি গরম হয়ে এর থেকে বের হওয়া বাষ্প শিশুর বন্ধ নাক খুলে দেবে। এটি শিশুর ঠান্ডা দূর করতে সাহায্য করে।



> বাচ্চাকে ঠান্ডায় টমেটো এবং রসুনের স্যুপ খাওয়াতে পারেন। এটি শরীরে পানির চাহিদা পূরণ করার সঙ্গে সঙ্গে কফ গলিয়ে আরাম দেবে।



> গরম পানির সঙ্গে এক চামচ মধু এবং লেবুর রস মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন। এটিও আপনার শিশুটিকে আরাম দিবে।



> শিশুর সর্দি কাশি হলে প্রতিদিন বাচ্চাকে কুসুম গরম পানিতে শিশুটিকে গোসল করাতে হবে। এতে সর্দি বুকে বসতে পারেনা।



> রোগ জীবাণুর কারণে আপনার শিশুটি ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়। এতে সে দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই এসময় শিশুর পর্যাপ্ত বিশ্রামের প্রয়োজন। এটি শরীরের ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি যোগায়।



> একটি পাত্রে গরম পানি নিয়ে সেটি শিশুটিকে ভাপ দিন। এভাবে শিশুটিকে কিছুক্ষণ রাখুন। গরম পানির ভাব শিশুর নাকের ছিদ্র পরিষ্কার করে দেয়।



> সর্দি কাশিতে দ্রুত আরাম পেতে শিশুটিকে নাকের ড্রপ দেয়া যেতে পারে।