চলমান একাদশ জাতীয় সংসদের আসন্ন বাজেট অধিবেশন (২০২০-২১ অর্থবছরের) উপলক্ষে সংসদ ভবন এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি হচ্ছে। এর মাধ্যমে সংসদ ভবন ও আশপাশের এলাকায় যে কোনো ধরনের সভা-সমা’বেশ, মিছি’ল, শোভাযাত্রা ও বি’ক্ষোভ



প্রদর্শনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। ১০ জুন অধিবেশন শুরুর তিন দিন আগে থেকে এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ হবে। আজ বৃহস্পতিবার (৪ জুন) সংসদ ভবনে বাজেট অধিবেশনের প্রস্তুতিমূলক বৈঠকে এ তথ্য জানানো



হয়। করোনাভাইরাস মোকাবিলা ও নিরাপত্তা বিষয়ক আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে করণীয় ঠিক করতে সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খানের সভাপতিত্ব বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ডিএমপির প্রতিনিধি, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি, সংসদের সার্জেন্ট অ্যাট আর্মস, ফায়ার সার্ভিস, বিদুৎ, গণপূর্ত বিভাগের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।



বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ১৪৪ ধারা জারির সিদ্ধান্তের পাশাপাশি বাজেট অধিবেশনে মন্ত্রী-এমপিদের সঙ্গে পিএস বা এপিএসকে না নিয়ে আসা কিংবা কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যক্তিকে গাড়িতে বহন না করার জন্য অনুরোধ জানানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আগামী ১০ জুন (বুধবার) থেকে বাজেট অধিবেশন শুরু হচ্ছে। অধিবেশন শুরুর পরের দিন অর্থাৎ ১১ জুন বৃহস্পতিবার ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন হবে। এটি পাস হবে ৩০ জুন।



এ অধিবেশনটি এমন সময় শুরু হচ্ছে যখন দেশে করোনা সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে। সংক্রমণের ঝুঁকি থাকার কারণে যত সম্ভব স্বল্প উপস্থিতি নিয়েই অধিবেশন শুরু ও শেষ করা যায় কি-না, সে বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। তাছাড়া মন্ত্রী এবং এমপিদের পিএস বা এপিএস না নিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করার কথা ওঠে বৈঠকে। সেই সাথে ড্রাইভারদের মাধ্যমে যেন করোনা সংক্রমণ না



ছড়াতে পারে সেজন্য তাদের বাসস্থান, গতিবিধি ইত্যাদি সম্পর্কে সচিবালয়কে জ্ঞাত করা ও করোনা টেস্ট করানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়া রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সাহচর্যে যারা থাকবেন তাদের বাধ্যতামূলক করোনা টেস্ট করানো হবে এবং বাজেট চলাকালীন দিনগুলো কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে বলেও নির্দেশনা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।



এক ডিভোর্সেই বিশ্বের সবচেয়ে ধনীর তালিকায় এই যুবতী



এশিয়ার মহার্ঘতম বিবাহ বিচ্ছে’দের ফলে বিশ্বের মহিলা ধনকুবেরদের তালিকায় যুক্ত হল নতুন এক নাম, য়ুয়ান লিপিং। তিনি এখন এশিয়ার ধনীতম মহিলা। য়ুয়ানের সাবেক স্বামী দু ওয়েইমেইন শিল্পপতি। তিনি শেনঝেন কাংতাই বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্টস কো-এর চেয়ারম্যান।



তিনি সম্প্রতি বিবাহ বিচ্ছে’দের শ’র্ত হিসেবে তিনি তার প্রতিষে’ধক প্রস্তুতকারী সংস্থার ১৬১.৩ মিলিয়ন শেয়ার দিয়েছেন সাবেক স্ত্রীকে। সোমবার শেয়ার বাজার বন্ধ হওয়ার সময় অবধি এই স্টকের আর্থিক অঙ্কের পরিমাণ ছিল ৩২০ কোটি ডলারেরও বেশি। আদতে কানাডার নাগরিক য়ুয়ান বর্তমানে চিনের শেনঝেন প্রদেশে থাকেন।



তিনি কাংতাই বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্টস কো-র ডিরেক্টর ছিলেন ২০১১ সালের মে থেকে ২০১৮ সালের আগস্ট অবধি। বর্তমানে য়ুয়ান অন্য একটি সংস্থার ভাইস জেনারেল ম্যানেজার পদে কর্মরত। ৪৯ বছর বয়সি এই ধনীতম এশিয়াবাসী মহিলা বেজিংয়ের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস অ্যান্ড ইকনমিক্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক।



কাংতাই বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্টস-এর শেয়ার গত কয়েক মাস ধরেই ঊর্ধ্বমুখী। গত ফেব্রুয়ারিতে সংস্থার তরফে জানানো হয়, তারা করোনা ভাইরাসে প্রতিষে’ধক আবিষ্কার করার পরিকল্পনা করেছে। এরপরেই বাজারে তাদের শেয়ারের চাহিদা হু হু করে বেড়ে যায়। কিন্তু সংস্থার কর্ণধারের বিচ্ছেদ ঘোষণার পরে শেয়ারবাজারে ধাক্কা খায় এই সংস্থা।



প্রভাব পড়েছে দু-এর ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে। ৬৫০ কোটি ডলার থেকে তা নেমে গিয়েছে ৩১০ কোটি ডলারে। ৫৬ বছর বয়সি দু-য়ের জন্ম চিনের জিয়াংঝি প্রদেশের এক কৃষক পরিবারে। কলেজে রসায়ন নিয়ে পড়ার পরে ১৯৮৭ সালে তিনি একটি ক্লিনিকে চাকরি করতে শুরু করেন। ১৯৯৫ সালে তিনি একটি বায়োটেক সংস্থার সেলস ম্যানেজার হন।



অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে ২০০৯ সালে নিজের প্রথম সংস্থা ‘মিনহাই’ শুরু করেন তিনি। ফোর্বস পত্রিকার সাম্প্রতিক তালিকা অনুযায়ী বিচ্ছে’দের আগে তিনি বিশ্বের ৩২০ নম্বর ধনকুবের ছিলেন। চিনের অর্থনৈতিক উত্থানের সাম্প্রতিক ইতিহাসে মহার্ঘ বিচ্ছে’দের ন’জির বিরল নয়। ২০১২ সালে চিনের ধনীতম মহিলা ছিলেন উ য়াজুন। তিনি বিবাহবিচ্ছে’দের সময় তার প্রাক্তন স্বামী কাই কুই-কে ২৩০ কোটি ডলার দিয়েছিলেন।



তার অনলাইন গেমিং সংস্থার মালিক ধনকুবের ঝোউ ইয়াহুই-কে তার প্রাক্তন স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে দিতে হয়েছিল ১১০ কোটি ডলার। জীবনে বিদায় বা বিচ্ছে’দও অনেক সময়েই মূল্যবান হয়ে দেখা দেয়। দক্ষিণ কোরিয়ার শিল্পপতি শে তাই ওন-এর স্ত্রী বিচ্ছেদের সময় তার স্বামীর সংস্থার ৪২.৩ শতাংশ শেয়ার পেয়েছিলেন। তার আর্থিক মূল্য ছিল ১২০ কোটি।



তবে এখনও অবধি বিশ্বে বিবাহ বিচ্ছে’দের ইতিহাসে মহার্ঘতম হল জেফ ও ম্যাকেঞ্জি বেজোসের বিচ্ছে’দ। অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বিচ্ছেদের শ’র্তস্বরূপ প্রাক্তন স্ত্রীকে অনলাইন রিটেলারের ৪ শতাংশ দিয়েছিলেন। এর ফলে ম্যাকেঞ্জির সম্পত্তির পরিমাণ পৌঁছায় ৪৮ কোটি ডলারে। বর্তমানে তিনি বিশ্বের চতুর্থ ধনীতম মহিলা। সূত্র : এবিপি