বুক ভরা স্বপ্ন আর আশা নিয়ে একমাত্র ছেলেকে লেখাপড়া করাচ্ছিলেন বাবা। ছেলের পড়াশোনা শেষে মানুষের মতো মানুষ হয়ে পরিবারের হাল ধরবে। আগামী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা ছিল তার। পরীক্ষার প্রস্তুতিও নিয়েছিল কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস। বাবার চোখের সামনেই মুহূর্তেই স্বপ্ন যেন দুঃস্বপ্নে পরিণত হলো।



বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুরের পাকুল্লা এলাকায় সড়ক দু’র্ঘট’নায় এইচএসসি পরীক্ষার্থী মো. মাজেদুর রহমান নি’হত হয়েছেন। তিনি টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার বারড়া ইউপির উরাডাব গ্রামের মো. শহীদুল ইসলামের ছেলে ও দেলদুয়ার উপজেলার এলাসিন এলাকায় অবস্থিত মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ডিগ্রি কলেজের ব্যবসায়িক শাখার ছাত্র ছিলেন।



মাজেদুর ইসলামের ভগ্নিপতি সোহেল রানা বলেন, একা হওয়ায় মাজেদুর সবার খুব আদরের ছিল। আমার শ্বশুর শহিদুল ইসলাম তাকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখেছিলেন। আগামী এইচএসসি পরীক্ষা তার অংশ নেয়ার কথা ছিল। কিন্তু এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়া হলো না তার।



বৃহস্পতিবার সকালে ব্যবসায়িক কাজে শহিদুল ইসলামকে মোটরসাইকেলে নিয়ে কোনাবাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন মাজেদুর। কিন্তু সড়ক দু’র্ঘট’নায় তার মৃ’ত্যু হয়। এভাবে তাকে হা’রাতে হবে তা কখনো কল্পনাও করিনি। আমি বাসচালক, হেলপারের শা’স্তি দা’বি করছি।



গোড়াই হাইওয়ে থানার এসআই শহিদুল ইসলাম বলেন, পঞ্চগড় থেকে ছে’ড়ে আসা কনক পরিবহনের একটি বাস ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। মির্জাপুরের পাকুল্লা এলাকায় ওই মোটরসাইকেলটিকে পেছন থেকে ধা’ক্কা দেয়। এ সময় মোটরসাইকেলের চালক মাজেদুর বাসচা’পায় ঘটনাস্থ’লেই নি’হত হন।



এ ঘটনায় মাজেদুর রহমানের বাবা শহিদুল ইসলাম আ’হ’ত হন। বাসটি থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে। মাজেদুরের ম’রদে’হ আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হ’স্তা’ন্তর করা হবে।



সবাইকে অবাক করে বাস ভাড়া বাড়ানো নিয়ে এইমাত্র যে রায় দিলো হাইকোর্ট



মহামারি করোনা কালীন সময়ে বাস ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়িয়ে জারি করা প্রজ্ঞাপনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে, যৌক্তিকভাবে সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বাসভাড়া বাড়ানো হয়েছে



বলেও মন্তব্য করেছেন আদালত। পর্যায়ক্রমে তিনদিন শুনানি করে বৃহস্পতিবার (৪ জুন) হাইকোর্টের বিচারপতি জেবিএম হাসানের নেতৃত্বাধীন ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন



রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস। এর আগে গণপরিবহনে ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধি করে জারি করা সরকারের প্রজ্ঞাপনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হুমায়ুন কবির পল্লব। ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে সোমবার (১ জুন) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে তিনি রিটটি করেন। রিটে সরকারের জারি করা প্রজ্ঞাপনটি স্থগিত চাওয়া হয়।



উল্লে্খ্য, গত ৩১ মে করোনাকালীন গণপরিবহনের ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ৮০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব করলেও তা কমিয়ে ৬০ শতাংশ করে মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, দূরপাল্লার পথে এখন ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ১ টাকা ৪২ পয়সা।



এর সঙ্গে যুক্ত হবে বর্ধিত ৬০ শতাংশ। এ ছাড়া দূরপাল্লার পথে থাকা সড়ক ও সেতুর টোলও মোট ভাড়ার সঙ্গে যুক্ত হবে। ঢাকা ও এর আশপাশে মিনিবাসের কিলোমিটার-প্রতি ভাড়া হার ১ টাকা ৬০ পয়সা। আর বড় বাসের ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ১ টাকা ৭০ পয়সা। মিনিবাসে সর্বনিম্ন ভাড়া ৫ টাকা এবং বড় বাসে ৭ টাকা। সোমবার থেকে এর সঙ্গে ৬০ শতাংশ বাড়তি ভাড়া যোগ হবে।