‘লেবু’র পানিতে মহান আল্লাহ তায়ালা মানুষের জন্য অনেক উপকারিতা রেখেছেন। আর লেবু পানিতে আল্লাহ তায়ালা সুস্বাদও দান করেছেন,আলহামদুলিল্লাহ । লেবু’র পানির শরবত তৈরিতে টাটকা লেবু নিন।



সেটি কেটে একটি অংশের রস হালকা গরম কিংবা স্বাভাবিক পানিতে মেশান। স্বাস্থ্যকর পানীয় তৈরির জন্য ফিল্টারের পানি এবং প্রাকৃতিক লেবু ব্যবহার করুন। লেবু পানি খাওয়ার একাধিক উপকারিতা রয়েছে,সেখান থেকে আজকে কয়েকটিমাত্র তুলে ধরা হল। বাকিগুলো আগামীতে তুলে ধরবো, ইনশাআল্লাহ।



শরীর আর্দ্র রাখে : শরীর আর্দ্র রাখার সবেচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে পানি পান করা। কিন্তু অনেকের পানি পানে অনীহা রয়েছে। তাদের জন্য পরামর্শ হলো- পানির সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারেন। এতে পর্যাপ্ত পানি পান করা হবে এবং শরীর আর্দ্র থাকবে।



ভিটামিন সি’র ভালো উৎস : লেবুতে প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের কোষগুলোকে ফ্রি রেডিকেলের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। ভিটামিন সি ঠান্ডা ও সর্দি থেকে মুক্তি দেয়। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের দিনে ভিটামিন সি এর চাহিদা ৬৫ থেকে ৯০ মিলিগ্রাম। একটি লেবু থেকে ১৮ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি পাওয়া যায়।



ওজন কমায় : গবেষণায় দেখা গেছে যে, পলিফেনল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর ভালো উৎস লেবু। এটি ওজন বাড়তে দেয় না এবং স্থ‚লতা কমাতে সাহায্য করে।



ত্বক সুরক্ষা করে : লেবুতে থাকা ভিটামিন সি ত্বকে দাগ পড়তে দেয় না। সূর্যের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না।



হজমে সহায়ক : প্রতিদিন সকালে কুসুম গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে। গরম বা উষ্ণ লেবু পানি পান করলে হজম প্রক্রিয়াকে চাঙ্গা করতে সাহায্য করে।



নিশ্বাসে সজীবতা আনে : খাওয়ার পর অনেক সময় মসলা- পেঁয়াজ, রসুন বা মাছের গন্ধ মুখে লেগে থাকে। মুখের দুর্গন্ধ বা নিশ্বাসের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পেতে খাওয়ার পর এক গ্লাস লেবুর পানি পান করতে পারেন। বা সকালে পান করলেও ফল পাওয়া যায়।



কিডনিতে পাথর প্রতিরোধ : লেবুতে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড কিডনিতে পাথর জমতে প্রতিরোধ করে। লেবু পানিতে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড কিডনিতে পাথর প্রতিরোধের পাশাপাশি জমে থাকা পাথর বের করতেও সাহায্য করে।