পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে একের পর এক বিশাল আকৃতির গ্রহাণু। জানা যাচ্ছে, অন্তত পাঁচটি গ্রহাণু বৃহস্পতিবার পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে। এমনটা জানিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।



তবে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি গ্রহাণু একেবারে পৃথিবীর গা ঘেঁষে বেরিয়ে গেছে। নাসার বরাত দিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম জানায়, বুধবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ২.৪৩ মিনিটে ১০৮ ফুট চওড়া ২০২০ কেকে গ্রহাণু পৃথিবীর পাশ দিয়ে উড়ে গেছে।



এরপর সন্ধ্যা ৬.৪৭ মিনিট নাগাদ ঘণ্টায় ১২,০০০ মাইল বেগে পৃথিবীর পাশ দিয়ে উড়ে গেছে ১১৫ ফুট চওড়া ২০২০ কেডি ৪ গ্রহাণু। এটি পৃথিবীর আড়াই মিলিয়ন মাইল দূর দিয়ে বেরিয়ে গেছে।



এখানেই শেষ নয়, সবচেয়ে বড় গ্রহাণু ১৪৪ ফুট ব্যাসের ২০২০ কেএফ ঘণ্টায় ২৪ হাজার মাইল গতিবেগে উড়ে যাবে। এর পরের গ্রহাণুটি প্রায় ১০৫ ফুট চওড়া। এর নাম ২০২০ কেজেআই।



বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩.৫৭ মিনিট নাগাদ এটি ঘণ্টায় ১১ হাজার মাইল বেগে পৃথিবীর পাশ ঘেঁ’ষে বেরিয়ে যাবে। পৃথিবীর কাছ থেকে এর ন্যূনতম দূরত্ব থাকবে ১.৩ মিলিয়ন মাইল। =



সেই রানা প্লাজার মালিকের বাবা করোনা আ’ক্রান্ত হয়ে মৃ’ত্যু



করোনাভাইরাসে আ’ক্রা’ন্ত হয়ে মা’রা গেলেন সাভারে ধসেপড়া সেই রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার বাবা আবদুল খালেক (৬০)। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে তিনি মা’রা যান। সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সায়েমুল হুদা বলেন, আব্দুল খালেকের ক’রোনা ‘পজেটিভ’ ছিল বলে এনাম মেডিকেল কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে।



আব্দুল খালেকের স্বজনেরা জানান, গত রবিবার তার শ্বা’সক’ষ্ট দেখা দিলে চিকিৎসার জন্য সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হা’সপা’তালে নেওয়া হয়।



কিন্তু হা’সপা’তাল কর্তৃপক্ষ তাকে ভর্তি না করে ক’রোনা পরীক্ষার পরামর্শ দেন। গত সোমবার সেখানে তার নমুনা দেওয়া হয়। কিন্তু ফলাফল পাওয়ার আগেই আজ ভোরে তিনি মা’রা যান। তবে পরে রি’পো’র্টে করোনা পজিটিভ আসে।



হঠাৎ নদীর পানি র’ক্তবর্ণ, রাশিয়ায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা



হঠাৎ করেই রাশিয়ায় নদীর পানি র’ক্তবর্ণ রূপ ধারণ করায় মানুষের ভেতর আ’ত’ঙ্কের সৃষ্টি হয়। দেশটির উত্তরাংশের শহর নরিলক্সে এমন প’রিস্থি’তির সৃষ্টি হয়েছে। পানির অবস্থা এতটাই খারাপ যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সুমেরু অঞ্চলে জরুরি অবস্থা পর্যন্ত ঘোষণা করেছেন।



ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম জি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নরিলক্সে একটি থার্মাল পাওয়ার স্টেশনে বিশালাকার একটি জ্বালানির ট্যাংকার ফেটে এমন ঘটনা ঘটেছে। রাশিয়ার উত্তরাংশের শহর নরিলক্স সুমেরু বৃত্তের ১৮০ মিটার ওপরে অবস্থিত। খনন কাজের সঙ্গে যুক্ত একটি সংস্থা ডিজেল রেখেছিল বিরাট ট্যাংকে।



সেই ট্যাংক আচমকা ফেটে বেশিরভাগ ডিজেল মিশে যায় নদীতে। তাই মিরশকি দলগ্যানোর জেলার একটি রিসার্ভারেও কিছুটা ডিজেল মিশে গেছে। আম্বার্নোয়া ও দাদিকান নদীতে মিশেছে বেশিরভাগ পেট্রোল। ফলে ওই নদীর পানির রং লাল হয়ে গেছে।



দূষণের পরিমাণ এতটাই ভ’য়াব’হ যে স্যাটেলাইট ছবিতেও ধরা পড়ছে। গুগল ম্যাপ ও ইয়ান্ডেক্স স্যাটেলাইট ছবিতেও নদীর জলের লাল রং ফুটে উঠেছে। ঘটনার পর দুদিন কেটে গেলেও স্থানীয় প্রশাসন বুঝতে পারছে না যে ঠিক কী করা উচিত।



পুতিন ওই অঞ্চলে জরুরি অবস্থা জা’রি করেছেন। দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হলে দূষণ কিছুটা রোধ করা যেত বলে মনে করছেন অনেকে। আর তাই স্থানীয় প্রশাসনের স’মালো’চনা করেছেন পুতিন।’