করোনাভাইরাসে আ’ক্রা’ন্ত হয়ে মা’রা গেলেন সাভারে ধসেপড়া সেই রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার বাবা আবদুল খালেক (৬০)। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে তিনি মা’রা যান। সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সায়েমুল হুদা বলেন, আব্দুল খালেকের ক’রোনা ‘পজেটিভ’ ছিল বলে এনাম মেডিকেল কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে।



আব্দুল খালেকের স্বজনেরা জানান, গত রবিবার তার শ্বা’সক’ষ্ট দেখা দিলে চিকিৎসার জন্য সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হা’সপা’তালে নেওয়া হয়।



কিন্তু হা’সপা’তাল কর্তৃপক্ষ তাকে ভর্তি না করে ক’রোনা পরীক্ষার পরামর্শ দেন। গত সোমবার সেখানে তার নমুনা দেওয়া হয়। কিন্তু ফলাফল পাওয়ার আগেই আজ ভোরে তিনি মা’রা যান। তবে পরে রি’পো’র্টে করোনা পজিটিভ আসে। হঠাৎ নদীর পানি র’ক্তবর্ণ, রাশিয়ায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা



হঠাৎ করেই রাশিয়ায় নদীর পানি র’ক্তবর্ণ রূপ ধারণ করায় মানুষের ভেতর আ’ত’ঙ্কের সৃষ্টি হয়। দেশটির উত্তরাংশের শহর নরিলক্সে এমন প’রিস্থি’তির সৃষ্টি হয়েছে। পানির অবস্থা এতটাই খারাপ যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সুমেরু অঞ্চলে জরুরি অবস্থা পর্যন্ত ঘোষণা করেছেন।



ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম জি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নরিলক্সে একটি থার্মাল পাওয়ার স্টেশনে বিশালাকার একটি জ্বালানির ট্যাংকার ফেটে এমন ঘটনা ঘটেছে। রাশিয়ার উত্তরাংশের শহর নরিলক্স সুমেরু বৃত্তের ১৮০ মিটার ওপরে অবস্থিত। খনন কাজের সঙ্গে যুক্ত একটি সংস্থা ডিজেল রেখেছিল বিরাট ট্যাংকে।



সেই ট্যাংক আচমকা ফেটে বেশিরভাগ ডিজেল মিশে যায় নদীতে। তাই মিরশকি দলগ্যানোর জেলার একটি রিসার্ভারেও কিছুটা ডিজেল মিশে গেছে। আম্বার্নোয়া ও দাদিকান নদীতে মিশেছে বেশিরভাগ পেট্রোল। ফলে ওই নদীর পানির রং লাল হয়ে গেছে।



দূষণের পরিমাণ এতটাই ভ’য়াব’হ যে স্যাটেলাইট ছবিতেও ধরা পড়ছে। গুগল ম্যাপ ও ইয়ান্ডেক্স স্যাটেলাইট ছবিতেও নদীর জলের লাল রং ফুটে উঠেছে। ঘটনার পর দুদিন কেটে গেলেও স্থানীয় প্রশাসন বুঝতে পারছে না যে ঠিক কী করা উচিত।



পুতিন ওই অঞ্চলে জরুরি অবস্থা জা’রি করেছেন। দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হলে দূষণ কিছুটা রোধ করা যেত বলে মনে করছেন অনেকে। আর তাই স্থানীয় প্রশাসনের স’মালো’চনা করেছেন পুতিন।’



সৌদির সিংহাসন নিয়ে তুলকালাম কা’ণ্ড



সৌদি যুবরাজ মোহাম্ম’দ বিন সালমান তার কার্যকলাপের জন্য বিশ্বব্যাপী আ’লোচিত। যুবরাজ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই সিংহাসনের একচ্ছত্র ক্ষমতা ধরে রাখতে বেপরোয়া হয়ে ওঠেন তিনি। ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে শুরু করেন ধরপাকড়।



ইতোমধ্যে সৌদি সিংহাসনের অনেক উত্তরাধিকারীকে গ্রে’ফতার করেছেন তিনি। কিন্তু আসলে কী’ হচ্ছে সৌদি সিংহাসনের অন্তরালে? জানা গেছে, যু’ক্তরাষ্ট্রের একটি লবি গ্রুপের প্রচেষ্টা এবং ইউরোপীয় আইনপ্রণেতাদের অনুরোধে সৌদি আরবের



ওপর চাপ তৈরি হচ্ছে একজন প্রিন্সকে মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে। যিনি কোনও অ’ভিযোগ ছাড়াই দুই বছর যাবত আ’ট’ক আছেন। সৌদি প্রিন্সদের ওপর যে ধরপাকড় চলছে তারই অংশ হিসেবে গ্রে’ফতার হয়েছেন প্রিন্স সালমান বিন আবদুল আজিজ। ২০১৮ সাল থেকে তিনি ও তার বাবা গ্রে’ফতার আছেন। সৌদি আরবের কার্যত শাসক ও যুবরাজ মুহাম্ম’দ বিন সালমান তার সিংহাসন দখলের পথে কোনও কা’টাই রাখতে রাজি নয়।



তাই সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বীই শুধু নয়, যাকেই তিনি ক্ষমতা দখলে চ্যালেঞ্জ ভাবছেন তাকেই কারারুদ্ধ করছেন। যুবরাজের বিপজ্জনক এ খেলায় দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন কারারুদ্ধ এক যুবরাজের সাবেক সহকারী ও ঊর্ধ্বতন এক গোয়েন্দা কর্মক’র্তা সাদ আলজাবেরি। কিন্তু তার দুই সন্তান ও ভাইকে বন্দী করে রাখা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, বর্তমানে কানাডায় থাকা এ কর্মক’র্তার কাছে রাষ্ট্রীয় অনেক গো’পন তথ্য আছে। যুবরাজের ধরপাকড়ের অন্যতম টার্গেট প্রিন্স সালমান।



প্যারিসে লেখাপড়া করা এ রাজপুত্র অনেকটাই রাজনীতিবিমুখ ছিলেন। তিনি দরিদ্র দেশগুলোতে অর্থায়নে ইতোমধ্যে খ্যাতি অর্জন করেছেন দানশীল হিসেবে। প্রিন্স সালমানের একজন সহকারী বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘এটা শুধু অন্যায্য গ্রে’ফতারই নয়, প্রকাশ্য দিবালোকে অ’পহ’রণ, এটা বলপূর্বক গু’ম।’ কয়েকটি সূত্র এএফপিকে জানায়, একবছর তাকে কাররুদ্ধ করে রাখার পর প্রিন্সকে একটি বিচ্ছিন্ন বাড়িতে তার বাবার সঙ্গে সাক্ষাত করতে দেওয়া হয়,



তারপর একটি গো’পন বন্দী খানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে মা’র্চে। র’হস্যজনকভাবে ওই বাড়িতে গত সপ্তাহে আবারও তার বাবার সঙ্গে তাকে সাক্ষাত করানো হয়েছে। তাকে কেন গো’পন স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এটি অস্পষ্ট। পরিবারের কাছে তিনি ফোন দিতে পারলেও সেটি মনিটরিং করে গোয়েন্দা কর্মক’র্তারা। তবে তাকে রিয়াদের পার্শ্ববর্তী জে’লখানা থেকে বের করে আনা ইঙ্গিত দেয় এ প্রিন্সকে মুক্ত করতে আন্তর্জাতিক চাপে রয়েছে সৌদি। যদিও এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। গত ফেব্রুয়ারিতে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের এক প্রতিনিধি দল রিয়াদ সফরে গেলে তারা প্রিন্স সালমানকে মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে সৌদি কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানায়। এটি সৌদি-ইউরোপ স’ম্পর্কের ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলবে বলে এক চিঠিতে বলা হয়।



অন্যদিকে যু’ক্তরাষ্ট্রের জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের একটি সূত্র থেকে এএফপি জানায়, গত মে মাসে ওয়াশিংটনভিত্তিক শীর্ষ লবি প্রতিষ্ঠান রবার্ট স্ট্রিক এর সনোরান পলিসি গ্রুপ প্রিন্স সালমানের মুক্তির ব্যাপারে কাজ করতে ২০ লাখ ডলারের চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছে। তারা যু’ক্তরাষ্ট্র, যু’ক্তরাজ্য ও ফ্রান্স সরকারের সঙ্গে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে কাজ করবে। স্ট্রিক এর সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রা’ম্প প্রশাসনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ আছে বলে জানা যায়।



চুক্তিটি করেছে প্রিন্স সালমানের সাবেক অর্থনৈতিক উপদেষ্টা হাশিম মোগল। প্রিন্সকে মুক্ত করার জন্য ২০ লাখ ডলার তিনি যোগাড় করেন। যুবরাজ মুহাম্ম’দ বিন সালমানের সিংহাসন দখলের এ ল’ড়াইয়ে বহু প্রিন্সই এখন কারাগারে আছে। গত মা’র্চ মাসে গ্রে’ফতার করা হয় সৌদি বাদশাহ সালমানের ভাই প্রিন্স আহমেদ এবং ভাতিজা প্রিন্স মোহাম্ম’দ বিন নায়েফকে। ক্ষমতার উত্তরাধিকারী হওয়ার দাবিদার তারাও। কিন্তু তাদের ২০১৭ সালে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।



যুবরাজ মুহাম্ম’দ বিন সালমান তার ক্ষমতার প্রতিদ্বন্দ্বীদের আপাতত সরিয়ে দিলেও করো’না সংকট ও তেলের দরপতনকে ঘিরে বড় ধরনের অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে সৌদি আরব। সেই সঙ্গে যুবরাজের ইয়েমেন হা’মলার ব্যর্থতা তো রয়েছেই। সেখানে প্রতিবছর বিপুল অংকের অর্থ ব্যয় হচ্ছে সাম’রিক বাহিনী ও অ’স্ত্রের পেছনে। ফলে সামনে কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকলেও যুবরাজের ক্ষমতায় আরোহণ কতটুকু সহ’জ হবে তা অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বলে দেবে।