চলতি বছরের দ্বিতীয় চন্দ্রগ্রহণ হবে শুক্রবার। এটি দেখা যাবে ইউরোপ, এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকা ও অ্যান্টার্কটিকা থেকে। বাংলাদেশ থেকেও এটি খালি চোখে দেখা যাবে। এবারের চন্দ্রগ্রহণটি পৃথিবীর প্রধান ছায়া চাঁদের ওপরে পড়বে না।



রাত ১১টা ১৫ মিনিটে শুরু হবে চন্দ্রগ্রহণ। তবে বাংলাদেশ থেকে দেখা যাবে ১২টা ৫৪ মিনিটের পর। গ্রহণ থাকবে ৩ ঘণ্টা ১৮ মিনিট অর্থাৎ রাত ২টা ৩৪ মিনিট পর্যন্ত।



বিজ্ঞানীরা এই চন্দ্রগ্রহণকে বলছেন উপচ্ছায়া গ্রহণ। এক্ষেত্রে চাঁদ পুরোটাই দেখা যাবে, তার আকারের কোনো পরিবর্তন হবে না। গ্রহণের কারণে শুধুমাত্র চাঁদ কিছুটা ফ্যাকাসে দেখাবে। তবে আলো থাকবে প্রায় পূর্ণিমার চাঁদের মতো।



পৃথিবী যখন পরিভ্রমণরত অবস্থায় কিছু সময়ের জন্য চাঁদ ও সূর্যের মাঝখানে এসে পড়ে; তখন পৃথিবী, চাঁদ ও সূর্য একই সরলরেখায় অবস্থান করে। পৃথিবীর কোনো দর্শকের কাছে চাঁদ আংশিক বা সম্পূর্ণ রূপে কিছু সময়ের জন্য অদৃশ্য হয়ে যায়। এই ঘটনাকে চন্দ্রগ্রহণ বলা হয়। এবছর প্রথম চন্দ্রগ্রহণটি হয়েছিল ১০ জানুয়ারি। শুক্রবারের ফের চন্দ্রগ্রহণ হবে ২৯ নভেম্বর।



সবাইকে অবাক করে বাস ভাড়া বাড়ানো নিয়ে এইমাত্র যে রায় দিলো হাইকোর্ট



মহামারি করোনা কালীন সময়ে বাস ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়িয়ে জারি করা প্রজ্ঞাপনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে, যৌক্তিকভাবে সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বাসভাড়া বাড়ানো হয়েছে



বলেও মন্তব্য করেছেন আদালত। পর্যায়ক্রমে তিনদিন শুনানি করে বৃহস্পতিবার (৪ জুন) হাইকোর্টের বিচারপতি জেবিএম হাসানের নেতৃত্বাধীন ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন



রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস। এর আগে গণপরিবহনে ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধি করে জারি করা সরকারের প্রজ্ঞাপনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হুমায়ুন কবির পল্লব। ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে সোমবার (১ জুন) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে তিনি রিটটি করেন। রিটে সরকারের জারি করা প্রজ্ঞাপনটি স্থগিত চাওয়া হয়।



উল্লে্খ্য, গত ৩১ মে করোনাকালীন গণপরিবহনের ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ৮০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব করলেও তা কমিয়ে ৬০ শতাংশ করে মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, দূরপাল্লার পথে এখন ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ১ টাকা ৪২ পয়সা।



এর সঙ্গে যুক্ত হবে বর্ধিত ৬০ শতাংশ। এ ছাড়া দূরপাল্লার পথে থাকা সড়ক ও সেতুর টোলও মোট ভাড়ার সঙ্গে যুক্ত হবে। ঢাকা ও এর আশপাশে মিনিবাসের কিলোমিটার-প্রতি ভাড়া হার ১ টাকা ৬০ পয়সা। আর বড় বাসের ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ১ টাকা ৭০ পয়সা। মিনিবাসে সর্বনিম্ন ভাড়া ৫ টাকা এবং বড় বাসে ৭ টাকা। সোমবার থেকে এর সঙ্গে ৬০ শতাংশ বাড়তি ভাড়া যোগ হবে।