ওজন বাড়ার স’ঙ্গে নাকি প্রেমের এক অদ্ভুত স’স্পর্ক রয়েছে। প্রেম করলেই নাকি বাড়ে শ’রীরের ওজন। অস্ট্রেলিয়ার ‘সেন্ট্রাল কুইনসল্যান্ড ইউনিভারসিটি’-তে স’ম্প্রতি এমনই তথ্য দেয়া হয়েছে যে, প্রেমে পড়লে ওজন বাড়তেই পারে। প্রায় এক দশক ধ’রে ১৫ হাজার অংশগ্রহণকারীর ওপর করা গবেষণার ফলাফলে এমনটা দেখেছেন গবেষকরা।



ফলাফল অংশগ্রহণ করা নারী ও পুরুষের বডি ম্যাস ইন্ডেক্সের (বিএমআই) স’ঙ্গে তুলনা করে প্র’কাশ করা হয়। একক বা দম্পতিদের নিজেদের পছন্দ মতো খাদ্যাভ্যাস এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। প্রেমে পড়লে ওজন বাড়ার কয়েকটি কারণ জা’নিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া। আসুন জে’নে নিই কারণগুলো কী কী-



আক’র্ষণীয় দেখানোর ইচ্ছা কমে যায়: গবেষকরা প্রেমে পড়লে ওজন বাড়ার স’ঙ্গে স’স্পর্কিত কয়েকটি কারণ খুঁজে পেয়েছেন। যেমন সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে চ’মক দেওয়া প্রয়োজন প’ড়ে না বলে ওজন বাড়ে। এটা খুবই যুক্তিসঙ্গত কারণ যখন কেউ তার সঙ্গী খুঁজে পায় তখন সে নিজেকে ভালো দেখাতে হবে এমন কোনো চা’পের মধ্যে থাকে না। আর এই অজা’না কারণেই ওজন বাড়তে পারে।



ঘরে বেশিরভাগ সময় কাটানো: প্রেমিক দম্পতিরা ঘরেই সুন্দর সময় কাটাতে পছন্দ করেন- এ নিয়ে কোনো দ্বিমত নেই। তারা ব্যায়ামাগার বা শ’রীরচর্চার বদলে একে অপরের স’ঙ্গে আরাম করে সময় কাটাতে বেশি আনন্দ পান। বেশি অবসর সময় কাটানো ওজন বাড়ার অন্যতম কারণ।



সঙ্গীর অস্বা’স্থ্যকর অভ্যাস: অন্য আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, একজনের ওজন কমানোর অনিচ্ছা বা স্বা’স্থ্যকর জীবন অন্যজনের উপর প্র’ভাব রাখে। একে বলা হয় ‘তরঙ্গ প্র’ভাব’, মূলত এ কারণেই একক ব্য’ক্তিদের তুলনায় দম্পতিদের বিএমআই বৃ’দ্ধি পায়।



এছাড়াও দায়ী যখন হরমোন: প্রেমে পড়লে শ’রীরে ‘হ্যাপি হরমোন’র সৃষ্টি হয় যেমন-অক্সিটোসিন ও ডোপামিন। এই হরমোনগুলো চকোলেট, ক্যালোরিবহুল খাবারের চাহি’দা বৃ’দ্ধি করে, ফলাফল ওজন বৃ’দ্ধি।



যে কোনও মেয়ের মন জয় করতে সক্ষম এই ধরনের পুরুষ



প্রেমের ক্ষেত্রে কে সফল হবেন, আর কে ব্যর্থ হবেন, তা অনেকটাই নির্ভর করে ব্যক্তির স্বভাব-চরিত্র ও ব্যক্তিত্বের উপর। কিন্তু কোনও কোনও পুরুষ (Men) কখনওই প্রেমের খেলায় পরাজিত বা ব্যর্থ হন না— এমনটাই বলে গিয়েছেন সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের পরামর্শদাতা দার্শনিক অর্থনীতিবিদ চাণক্য বা কৌটিল্য।



‘চাণক্যনীতি’ গ্রন্থে চাণক্য জানিয়েছেন, চার ধরনের পুরুষ (Men) কোনও ভাবেই প্রেমে ব্যর্থ হবেন না। কারা তারা?…
ভালোবাসার মানুষকে খুশি করার উপায়



১. যে পুরুষ নিজের স্ত্রী বা সঙ্গিনীকে (Companion) সম্মান করেন: স্ত্রী বা প্রেমিকাকে যিনি সম্মান করেন, তার কথা, বিচারবুদ্ধি এবং রুচিকে মর্যাদা দেন, নিজের মত সঙ্গিনীর (Companion) উপরে চাপিয়ে দেন না, তিনি কখনও প্রেমেরর জগতে ব্যর্থ হন না।



২. যে পুরুষ পরস্ত্রীকে স্পর্শ মাত্র করেন না: নিজের স্ত্রী বা সঙ্গিনী (Companion) ব্যতীত অন্য নারী বা পরস্ত্রীকে কখনও কামনা করেন না যে পুরুষ, অথবা উপযুক্ত সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তাকে দৈহিক ভাবে স্পর্শ করেন না যিনি, তার প্রেমজীবনে সুখের রাজত্ব অটুট থাকে।



৩. যিনি নিজের সঙ্গিনীকে (Companion) সুরক্ষার আশ্বাস দিতে পারেন: যে পুরুষ তার স্ত্রী অথবা প্রেমিকাকে জাগতিক সুখ ও মানসিক স্বাচ্ছন্দ্যের আশ্বাস দিতে পারেন, তার সঙ্গে নিজেকে সুরক্ষিত মনে করেন মেয়েরা (girls) । সেই ধরনের পুরুষের সঙ্গ ত্যাগ করতে চান না তাঁরা।



৪. যিনি নিজের সঙ্গিনীকে (Companion) শারীরিক তৃপ্তি দিতে পারেন: শারীরিক সুখ প্রেমের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। ফলে যে পুরুষ তার প্রেমিকা অথবা স্ত্রীকে শারীরিক ভাবে তৃপ্ত করতে সক্ষম যে পুরুষ, তার প্রতি আলাদা দুর্বলতা থাকে মেয়েদের। এই ধরনের পুরুষ কখনও ব্যর্থ হন না প্রেমের ক্ষেত্রে।