ডেস্ক রিপোর্ট ● গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ক’রোনামু’ক্ত হয়েছেন। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত অ্যান্টিজেন কিট দিয়ে পরীক্ষায় তার শরীরে ক’রোনাভা’ইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। ৭৯ বছর বয়সে তিনি করোনা জয় করলেন।



জিকে রেপিড ডট ব্লট কিট প্রকল্পের সমন্বয়কারী অধ্যাপক ডা. মুহিব উল্লাহ খন্দকার জানান, অ্যান্টিজেন ও অ্যান্টিবডি কিট দিয়ে ডা. জাফরুল্লাহর পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষার ফলে তারা নিশ্চিত হয়েছেন তিনি এখন ক’রোনামু’ক্ত।



তিনি সুস্থ হয়ে উঠছেন। তার শরীরে যথেষ্ট অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। তাকে এখন সুস্থ বলা যায়। তবে তার কিডনির সমস্যা এবং গত কিছু দিন যে ধকল গেছে, তাতে আরও কয়েক দিন তাকে হাসপাতালে থাকতে হবে।



তিনি আরও জানান, ডা. জাফরুল্লাহ শনিবার সারাদিন স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিয়েছেন। বাড়তি অক্সিজেন ছাড়াই তিনি প্রায় সারা দিন অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৯৫ শতাংশ রাখতে পেরেছেন।



এর আগে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মামুন মোস্তাফী সাংবাদিকদের জানান, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ফুসফুসের সং’ক্রমণ কমছে। দিনের বেশিরভাগ সময়ই অক্সিজেন ছাড়া থাকছেন। তবে গলার ব্য’থার জন্য কথা বলতে ক’ষ্ট হচ্ছে।



ডা. চৌধুরী বর্তমানে নিজের স্থাপিত প্রতিষ্ঠান গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে অধ্যাপক ডা. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) মামুন মোস্তাফী এবং অধ্যাপক ডা. নাজিব মোহা’ম্মদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন।



জানা গেছে, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে ৩ বার প্লাজমা থেরাপি দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ৩ বার প্লাজমা থেরাপি দেওয়ার ফলে তার শারীরিক অবস্থার আর অবনতি হয়নি। বরং তিনি দিন দিন সুস্থ হয়ে উঠছেন।



প্রসঙ্গত ৭৯ বছর বয়স্ক এ চিকিৎসক মু’ক্তিযো’দ্ধা অনেক দিন থেকে কিডনির অ’সুখে ভুগছেন। তাকে নিয়মিত ডায়ালাইসিস করাতে হয়। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র-উদ্ভাবিত ক’রোনা শ’নাক্তে র্যাপিড টেস্টিং কিট দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে ২৫ মে জাফরুল্লাহ চৌধুরী সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, তিনি ক’রোনাভা’ইরাসে আ’ক্রান্ত। এ ছাড়া বিএসএমএমইউর পরীক্ষা থেকেও ২৮ মে তার ক’রোনা পজিটিভ আসে।



গুলশানের ফাঁ’কা ফ্ল্যাটে ৩ দিন থেকে-খেয়ে গ্রে’ফতার চো’র



ঘ’টনাস্থল গুলশানের ফ্ল্যা’টটির মালিক নর্থ অ্যান্ড কফির ব্যবস্থাপনা পরিচালক যুক্তরাষ্ট্রের রিচার্ড হাবার্ড। দীর্ঘদিন ধরে ক্যাফে বন্ধ থাকায় তিনি যুক্তরাষ্টে যান। ফ্ল্যাটটি খালি থাকলেও এর ভেতরে ছিল সিসিটিভি ক্যামেরা।



‘গুলশানের ঘরটি নিরাপদে আছে কি না’ নিজের মোবাইল ফোন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ঘরে বসেই নিয়মিত সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখতেন রিচার্ড। তবে শনিবারের ফুটেজে হঠাৎ দেখতে পেলেন কেউ তার ঘরে হাঁটাহাঁটি করছে।



ফ্রিজ থেকে খাবার ও ওয়াইন নিয়ে টেবিলে রেখে এক যুবকের নাচের দৃ’শ্য দেখে অবাক তিনি। সঙ্গে সঙ্গে জানালেন তার বাংলাদেশের সহকর্মীকে।



সহকর্মী খবর দিলেন পুলিশে। শনিবার রাতে গুলশান এভিনিউয়ের ৮৯ নম্বর সড়কের ভবনে ঢো”কে পুলিশ। সং’যুক্ত ড্রয়িং ও ডাইনিং টেবিলে অবস্থান নেয় তারা। কাউকে দেখতে না পেলেও টেবিলের ওপর কিছু রান্না করা খাবারভর্তি কড়াই, জুসের প্যাকেট ও ওয়াইনের বোতল দেখতে পান তারা।



পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে লুকিয়ে ছিল সে। কয়েক মিনিটের মধ্যেই একটি বেডরুমের টয়লেট থেকে গ্রে’ফতার করা হয় তাকে। তার নাম মাসুম। সে মা’দকাসক্ত এবং পে’শায় চোর। শনিবার রাতেই তাকে গ্রে’ফতার করে পুলিশ।



গ্রে’ফতারের পর পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি করা হয় মাসুমকে। পুলিশ সূত্র জানায়, চু’রির জন্য এসে বাড়িতে ঢুকে প্রচুর খাবার দেখে সে। চুরির কথা ভুলে তিনদিন থাকে। ঘরের খাবারগুলো খেয়ে এই খালি ফ্ল্যাটে আরও কয়েকদিন থেকে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল।



ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মাসুমকে ধ’রার অভিযানে উপস্থিত থাকা গুলশান থানার ইন্সপেক্টর আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘মাসুমের বি’রুদ্ধে ঢাকার একাধিক থানায় মা’মলা রয়েছে। চু’রির জন্য গ্রে’ফতার হয়েছিল একবার। আচার-আচরণ দেখে ধারণা করা হচ্ছে তার মানসিক সমস্যা থাকতে পারে।



সে ফুটপাথে থাকে, ফ্ল্যাট খালি পেয়ে এখানে থেকে গিয়েছিল। সিসিটিভি ক্যামেরায় আমরা ফ্ল্যাটটিতে তার খাওয়ার দৃ’শ্য দেখতে পাই। সোমবার সকালে গুলশান থানা পুলিশ জানায়, ফ্ল্যাটের মালিক যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক এ ঘটনায় কোনো মামলা বা জিডি করতে রাজি হননি। তাই গত মার্চ মাসে গুলশান থানায় দায়ের করা একটি চু’রির মা’মলায় তাকে গ্রে’ফতার দেখানো হয়।