অর্থ ও মানবপাচারের অভি’যোগে কুয়েতে গ্রে’প্তা’র হওয়া লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহীদুল ইসলাম পাপুলের সহযোগীর সংখ্যা দিন-দিন বাড়ছে বলে জানিয়েছে কুয়েতের আরবী দৈনিক আল কাবাস। তদন্ত কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে
কুয়েতের প্রভাবশালী পত্রিকাটি বলছে, পাপুলসহ মোট তিন সদস্যের একটি বাংলাদেশি চক্র এসব ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। বাকি দুজনের নাম প্রকাশ না করে সংবাদমাধ্যমটির দাবি, গ্রে’প্তা’র হওয়া এমপির সঙ্গে আরেক বাংলাদেশি এমপির যোগসূত্র আছে।
এমপির স্ত্রীও এসব ক’র্মকা’ণ্ডের সঙ্গে যুক্ত। প্রতিবেদনে তাকে সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি হিসেবে পরিচয় করানো হয়েছে। এই নারী এমপি পাপুলেরই স্ত্রী হতে পারেন। কারণ এর আগে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, স্ত্রী সেলিনা (তিনিও সংরক্ষিত নারী
আসনের এমপি) এবং তার কুয়েতে চারটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রতিবেদনের ভাষায়, ‘এই তিনজন তিনটি বড় কোম্পানির গুরুত্বপূর্ণ পদে আছেন। তারা বড় অঙ্কের (আনুমানিক ১৬৩ মিলিয়ন ডলার) ঘুষের বিনিময়ে ২০ হাজার শ্রমিককে বিদেশে পাঠিয়েছেন।’ তদন্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পাপুলের সঙ্গে কুয়েতের কর্মকর্তারাও জড়িত। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মোট ৯ জনের নাম এসেছে।
তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কর্মকর্তারা মামলাটির ওপর খুব গুরুত্ব দিচ্ছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন বলেছেন, ‘কাউকে ফসকে যেতে দেব না। আজ হোক আর কাল হোক সবাইকে গ্রে’প্তা’র করা হবে।’ আল-কাবাসের প্রতিবেদনে বাংলাদেশি শ্রমিকদের বরাত দিয়ে পাপুলকে ‘মাফিয়া বসদের’ সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
শ্রমিকদের অভি’যোগ, টাকা না দিলে নিম্ন আয়ের মানুষদের বিপদে ফেলতেন তিনি। পাপুল জিজ্ঞাসাবাদে অর্থ লেনদেনের কথা স্বীকার করেছেন। জানিয়েছেন, চেকের মাধ্যমে কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তাকে দিয়েছেন ৩.৫৮ মিলিয়ন ডলার। আরেক কর্মকর্তাকে ক্যাশ দিয়েছেন ৩.৩৫ মিলিয়ন ডলার।