এফআই মানিক পরিচালিত ‘কোটি টাকার কাবিন’ ছবিতে শাকিব খানের বিপরীতে প্রধান নায়িকা হয়ে অ’ভিনয় করেন অ’পু বিশ্বা’স। ২০০৫ সালে ছবিটি ব্যবসা সফল হয় এবং অ’পু বিশ্বা’স রাতারাতি তারকায় রূপান্তরিত হন। শীর্ষ নায়ক শাকিব খানের সঙ্গে জুটি বেঁধে একের পর এক হিট ছবি উপহার দিতে থাকেন তারা।
পর্দায় যখন তাদের আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা ঠিক তখনই গো’পনে বিয়ে করেন শাকিব-অ’পু। অ’পুর কোলজুড়ে আসে আব্রাম খান জয় নামের একটি সন্তান। কিন্তু এর পরই বাধে বিপত্তি। দুজনের মনোমালিন্য শেষ পর্যন্ত গড়ায় বিবাহবিচ্ছেদে।



ভাগ হয়ে যায় শাকিব-অ’পু ভক্তরাও। এক পক্ষ শাকিবকে সম’র্থন করে, তো আরেক পক্ষ দাঁড়ায় অ’পুর পাশে। সম্প্রতি এর প্রভাব দেখা গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও।



শাকিব খানের অফিশিয়াল পেজে বরাবর অ’পুর অফিশিয়াল পেজের চেয়ে বেশি ফ্যান-ফলোয়ার ছিল। কিন্তু এখন ঘটনা উল্টো। শাকিবের যেখানে ২৯ লাখ ৬৪ হাজারের কিছু বেশি ফলোয়ার, অ’পুর সেখানে ৩১ লাখ ৪৯ হাজারের চেয়ে বেশি।



এমন বিষয়ে উচ্ছ্বসিত অ’পু বিশ্বা’স। তিনি বলেন, আমা’র ভক্ত-ফলোয়াররা খুব অ্যাক্টিভ। যেকোনো স্ট্যাটাস বা ছবি দিলেই হাজার হাজার লাইক, কমেন্টস ও শেয়ার হয়। এমন ভক্ত পেয়ে আমি দারুণ খুশি। সারাজীবন এভাবে সবার ভালোবাসা নিয়ে বাঁচতে চাই।



মেরে ফেলবো, এখনো সময় আছে চুপ চাপ থাকো বেশি বাড় ভালো না..



সানাই মাহবুবের লেখাটি হুবহু তুলে ধরা হলঃ কিছু কথা, আসলে আমি জীবনে খুব অল্প বয়সেই এতো কিছু ফেইস করেছি যে এখন অনেক বড় কিছু ঘটলেও তেমন কিছুই মনে হয় না! সব গা সওয়া হয়ে গেছে! কিছুতেই যেনো কিছুই হয় না! যেমন : এই যে সারাদিন ধরে কিছু গ্রুপ আমাকে হুমকি দিচ্ছে মেরে ফেলবো তোমাকে, তোমাকে উঠায় নিয়ে যাবো হেন তেন আরও কতো কিছু,



এদের কিন্তু কাউকেই আমি ব্যক্তিগত ভাবে চিনি না তারপরও এরা একের পর এক হুমকি দিয়েই যাচ্ছে, “মেরে ফেলবো, এখনো সময় আছে চুপ চাপ থাকো বেশি বাড় ভালো না.. তুমি একটা মেয়ে হয়ে এতো বেশি প্রতিবাদ করো কেন? ” আরও অনেক কিছু.. যারা এগুলা করছে তারা কি অনেক শিক্ষিত বা অষ্কার জিতছে? উত্তর : না, ওরা কি দেশের অনেক বড় কোনো দায়িত্বে আছে? উত্তর : না…



তাহলে? আমাকে এগুলা শেখানোর এরা কে? এই সব গুলো প্রশ্নের সারকথা হল, আসলে আমার ড্রেস নিয়ে ওদের কোনো প্রব্লেম নেই, আমি একটা মেয়ে ১৮ কোটি জনগণের এই জনবহুল দেশে কি পড়লাম, কি করলাম, কি খাইলাম এই ছোট ছোট ব্যাপার গুলো কখনোই কারো মাথা ব্যাথার কারণ হতে পারে না! কখনোই না, ভাবুন তো যারা সারাদিন নিজের জীবিকার তাগিদে ব্যস্ত, নিজেদের সংসার গোছানোর তাগিদে ব্যস্ত, বাচ্চা স্কুলে কি করছে পড়াশোনা করছে কি না..



বাসার বিদ্যুৎ বিল কে দিবে? পানির বিল এ মাসে এতো বেশি কেনো? এগুলা চিন্তা বাদ দিয়ে কি এই ১৮ কোটি জনগণ সানাই কে নিয়ে ব্যস্ত হবে?? সানাই কে? ওদের জীবনে সানাই কেনো সাবজেক্ট হবে? আদতে আমি ওদের জীবনের কোনো সাবজেক্ট, অবজেক্ট কিছুই না, হওয়ার কথাও না এবং এই জনবহুল দেশ কখনোই আমাকে নিয়ে ব্যস্ত না.. আমাকে নিয়ে তারাই ব্যস্ত যারা আমার নাম ভেঙে বিজনেস করে খায়..



এমনি তাদের ফেইসবুক পোস্টে লাইক, কমেন্টস কম পড়ে তাই সানাই নাম টা নিলে মানুষ একটু বেশি দেখে, লাইক দেয় এজন্যই সেই সব আচো* গ্রুপ আমার নাম নেয় এবং যাদের আমার ছবি না দেখলে ঘুম আসে না.. যারা বিকৃত সেক্সে বিশ্বাসী এবং সবচেয়ে বড় কথা হলো যারা আমাকে বিছানায় পেতে চায়, পায় না তাই ২,১ দিন পর পর আমার নাম নিয়ে আজে বাজে পোস্ট করে… এরাই আমাকে নিয়ে ব্যস্ত..



কোনো চাকরিজীবি মানুষ কিংবা যারা খেটে খায় তারা কিন্তু কখনোই আমাকে নিয়ে ব্যস্ত না, হওয়ার কথাও না! দুনিয়ার বেবাক বেকার গুলাই আমাকে নিয়ে ব্যস্ত! আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ আপনারা আমার পোস্ট টি মনোযোগ দিয়ে পড়েন আর একবার.. তাহলেই বুঝবেন আমি কি বলতে চেয়েছি….