করো’নাভাই’রাসের প্রভাবে দীর্ঘদিন নাট’ক-সিনেমা’র শুটিং বন্ধ ছিলো। কিন্তু এর প্রভাবে সবচেয়ে বিপদে পড়েন শোবিজের নিম্ন আয়ের মানুষেরা।



পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুটিং করার অনুমতি দিয়েছেন শোবিজের সংগঠনগুলো। এরপর থেকেই অনেকেই শুটিংয়ে ফিরেছেন। কিন্তু এমন অবস্থায় শুটিংয়ে ফিরবেন না তানজিন তিশা।



জনপ্রিয় এ অ’ভিনেত্রী শুটিংয়ে ফেরার বিষয়টি আপাতত বন্ধ রেখেছেন। নিজের এবং পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি বিবেচনায় করেই নাকি কাজে ফিরছেন না বলে জানিয়েছেন তিশা।



এ অ’ভিনেত্রী গত ১৮ মা’র্চ থেকেই বাসায় আছেন। তবে অ’ভিনয় না করলেও কর্মব্যস্ততা বৃদ্ধি পেয়েছে তার। গত এপ্রিল মাসে নিজের নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলেছেন তিনি।



তানজিন তিশা বলেন, অনেক দিনের ইচ্ছা ইউটিউব চ্যানেল খোলার। যেহেতু অ’ভিনয় করছি না তাই দীর্ঘদিনের মনোবাসনা পূরণ করলাম। শুটিং ব্যস্ততায় সেদিকে সময় দিতে পারিনি। এখন যেহেতু অবসর, তাই এটি নিয়েই কাজ করছি।



তিশা বলেন, ছোট ছোট ভিডিও ক্লিপ তৈরি করে আপলোড করছি। দর্শকের কাছ থেকেও ভালো সাড়া পাচ্ছি। করো’নার প্রভাব কে’টে গেলে তখন বড় পরিসরে চ্যানেলটিতে নিত্যনতুন কনটেন্ট আপলোড করার পরিকল্পনা আছে।



এই সময় তালের শাঁস খে’লেই বিশেষ রোগ থেকে মি’লবে মু’ক্তি!



তালের শাঁস খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। কিন্তু তালের শাঁসে অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে তা আম’রা অনেকেই জানি না। তালের শাঁস যেমন সুস্বাদু, তেমনি রয়েছে পুষ্টি। এই করো’না কালে সবারই উচিত শ’রীরের রো’গ প্র’তিরো’ধ ক্ষ’মতা বাড়ানো। তবে নাকি করো’না কে ঠেকানো সম্ভব, এমনই মত বিশেষজ্ঞদের।



জা’নেন কি? তালের শাঁসে রয়েছে হাজারো পুষ্টিগুণ। এই মৌসুমে তালের শাঁস খেলে বিভিন্ন রো’গ থেকে মু’ক্তি মিলবে। সেই স’ঙ্গে বাড়বে শ’রীরের রো’গ প্র’তিরো’ধ ক্ষ’মতা। শুধু গ্রীষ্মকালেই বাজারে কচি তাল দে’খতে পাওয়া যায়। এর নরম কচি শাঁস খেতে ছোট বড় সবাই পছন্দ করে।



এতে থাকা অনেক খাদ্যশ’ক্তি এবং বিভিন্ন খনিজ উপাদান শ’রীরের বহু রো’গের দাওয়াই। এবার তবে জে’নে নিন তালের শাঁসের পুষ্টিগুণ এবং এর উপকারিতা স’স্পর্কে।



মিষ্টি স্বাদের কচি তালের শাঁস শুধু খেতেই সুস্বাদু নয় বরং পুষ্টিতেও অনেক ভরপুর। প্রতি ১০০ গ্রাম তালের শাঁসে আছে জলীয় অংশ ৮৭ দশমিক ছয় গ্রাম, আমিষ শূন্য দশমিক আট গ্রাম, ফ্যাট শূন্য দশমিক পাঁচ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ১০ দশমিক নয় গ্রাম, খাদ্য আঁশ এক গ্রাম, ক্যালসিয়াম ২৭ মিলিগ্রাম,



ফসফরাস ৩০ মিলিগ্রাম, আয়রন এক মিলিগ্রাম, থায়ামিন শূন্য দশমিক চার গ্রাম, রিবোফাভিন শূন্য দশমিক দুই মিলিগ্রাম, নিয়াসিন শূন্য দশমিক তিন মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি মিলিগ্রাম। এসব উপাদান আমাদের শ’রীরকে নানা রো’গ থেকে র’ক্ষা করাসহ রো’গ প্র’তিরো’ধে সহায়তা করে।



> তালের শাঁসে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় এটি আমাদের রো’গ প্র’তিরো’ধ ক্ষ’মতা বাড়ায়।
> ক্যা’ন্সারের মতো মরণ ব্যাধি রো’গ থেকেও র’ক্ষা করে রসালো এই তালের শাঁস।
> তালের শাঁস আমাদের স্মৃ’তিশ’ক্তি ভালো রাখে এবং শা’রীরিক স্বা’স্থ্য র’ক্ষা করে থাকে।



> বমি ভাব আর মুখের অরুচিও দূ’র ক’রতে খুব গু’রুত্ব পূর্ণ ভূমিকা পা’লন করে।
> তালের শাঁসে ক্যালসিয়াম থাকায় এটি দাঁতের জন্য অনেক ভালো। দাঁতের এনামেল ভালো রাখে এবং দাঁতের ক্ষয় রো’ধ করে।
> তালের শাঁস হাড়কে শ’ক্তিশালী করে তোলে। কচি তালের শাঁস র’ক্তশূন্যতা দূ’রীকরণে দারুণ ভূমিকা রাখে।



> তালে শাঁসে আছে পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, আয়রন, সালফার, সেলেনিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, কপার এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো বেশ কিছু উপকারী উপাদান। যা আমাদের চোখের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এছাড়াও চোখের এলার্জি সহ অন্যান্য চোখের রোগের প্রকোপ কমাতে তাল অনেক কা’র্যকরী।
> অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় এটি খেলে আমাদের শ’রীরের রো’গ প্র’তিরো’ধ ক্ষ’মতা বৃ’দ্ধি পায়। আর এর ফলে আম’রা বিভিন্ন রকম মৌসুমী অসুখ থেকে মু’ক্তি পাই।



> তালের শাঁস খেলে লিভারের স’মস্যা দূ’র হয়। এতে থাকা ভিটামিন সি ও বি কমপ্লেক্স খাবারে রুচি বাড়াতে সাহায্য করে।
> তালে শাঁস র’ক্তচা’প নি’য়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি খেলে শ’রীরে নাইট্রেটের পরিমাণ বেড়ে যায়, যা প্রাকৃতিক উপায়ে আমাদের র’ক্তচা’প নিয়ন্ত্রণ ক’রতে পারে।
> গরমের দিনে তালের শাঁসে থাকা জলীয় অংশ পানিশূন্যতা দূ’র করে। প্রাকৃতিকভাবে দে’হকে রাখে ক্লান্তিহীন।