আমি কথাগুলো ঠিক কোথা থেকে শুরু করবো বুঝতে পারছিনা। আমার জন্মের পর থেকে দেখে আসছি মা আর বাবার ঝ’গড়া আর মা’রামারি। বাবা মায়ের
ঝ’গড়ার কারণে তখন থেকেই আমার মে’জাজ খুব খি’টখিটে হয়ে যায়। বাবার খুব খা’রাপ কাজে হাত আছে, যা দেখার পর আমার মনের অবস্থা আকাশ দুই



ভাগ হয়ে যাওয়ার মতন হয়। আমি তখন ক্লাস ৫/৬ এ পড়ি। আমি আর আমার মামী শুয়ে আছি। হঠাৎ দেখি বাবা এসে মামীকে জড়িয়ে ধরছে। ঐ রাতে আমার প্রচ’ন্ড ক’ষ্ট হচ্ছিলো আর মনে হ’চ্ছিল রাত যেন শেষই হয়না। কয়েক বছর পর আমার ছোট ভাই এক দু’র্ঘ’টনায় মা’রা যায়। সে চলে যাওয়ার পর আমি খুব একা হয়ে গিয়েছিলাম, ধীরে ধীরে জানতে পারি আমি নাকি তাদের আসল স’ন্তান না। এটা জানার পর আমি আরো ভে’ঙ্গে পড়ি।



এসএসসি দেওয়ার পর আমি নিজেকে সামলানোর চে’ষ্টা করি কিন্তু বার বার হেরে যেতে থাকি। ওদিকে মা বাবার ঝ’গড়া আরো বাড়তে থাকে।
আমাদের ঘরে যত কাজের লোক রাখা হত সবার সাথে বাবা (father) মানে ওই জানোয়ারটা দৈ’হিক স’ম্পর্ক স্থা’পন করত। এইচএসসি’র আগে আমি ঘর



থেকে বের হয়ে যাই কিন্তু মা কা’ন্নাকাটি শুরু করলে আবার ফিরে আসি। আমি এই ন’রক থেকে বাঁচতে চাই। আমার পরীক্ষা চলাকালীন সময় মা ছোটেবেলায়
আমাকে যেভাবে এনেছিলো সেভাবে আরেকটি শি’শুকে দত্তক আনে। আমি বুঝে পাই না, যেখানে আমাদের পরিবার ঠিক নেই সেখানে এই নি’ষ্পাপ বা’চ্চাটিকে কেন তিনি এনেছেন।



বা’চ্চাটার প্রতি এখন মায়া জমে গেছে। কিছুদিন আগেও আমরা বাইরে গিয়েছিলাম। এসে শুনি আমাদের কাজের ছেলেকে ঐ জা’নোয়ারটা শা’রীরিকভাবে ব্য’বহার করেছে। শুনে, আমি চিৎ’কার করে ছোটবেলায় দেখা জঘন্য কাজের কথাগুলো বলি। আমার মা আমাকে অ’বাক করে দিয়ে বলেন, সে আমাদের আরো অনেক না’রী আত্মীয়র স’ঙ্গেই এমনটা করেছে।



তার টাকা আছে বলে সবার মুখ ব’ন্ধ করে রাখে। যদিও পরে সব ই জানাজানি হয়। আমি একটা রাত ও ঘুমাতে পারিনা। কাঁ’দতে কাঁ’দতে এখন চোখের জল ও শুকিয়ে গেছে। মায়ের অবস্থাও ভালোনা। দিন দিন অসু’হয়ে যাচ্ছেন। আমি বারবার বলেছি ঘর থেকে বের হয়ে যাই কিন্তু মা রাজী হচ্ছেন না। মা একটি হাসপাতালের না’র্স। চলার মত যথে’ষ্ট টাকাও আছে। তবুও তিনি এখানেই আছেন।



আমি এই ন’রক থেকে মুক্তি চাই। ছোট ভাইটাকে শিক্ষিত করতে চাই। এই বাচ্চাটিকে এই ন’রকে রেখে তার ভবি’ষ্য’ৎ অ’ন্ধকার করতে চাইনা। আমি কী করবো এখন?”নাম প্রকাশে অনি’চ্ছুক একজন জানিয়েছেন নিজের সম’স্যার কথা।পরামর্শ: আপু। খুব ক’ষ্ট লাগল তোমার চি’ঠিটি পড়ে। তুমি লেখোনি যে এই মু’হূর্তে কীসে পরছ বা কী করছ। সেটা বললে উত্তর দিতে সুবিধা হতো আমার। যাই হোক আপু, প্রথম কথা



হচ্ছে তুমি নিজে খুব সা’বধান থাকো। সবচাইতে ভালো হয় হলে বা হোস্টেলে চলে গেলে। যে লোক কাজের ছেলেকেও রে’প করতে পারে, তার জন্য তোমাকে রে’প করা কোন বি’ষয় না। এই মুহূর্তে সেই বাড়িতে তুমিই সবচাইতে রি’স্কে আছো। তাই সবার আগে নিজেকে নি’রাপদ করার চেষ্টা করো। আর যেভাবেই হোক আপু, স্ব’নির্ভর হয়ে উঠতে চেষ্টা করো। লেখাপড়া শেষ না হয়ে থাকলে পার্ট টাইম জব বা টিউশনি করতে পার।