রাজধানীর নিউ ই’স্কা’টনের দি’লু রোডে পাঁ’চতলা ভবনে অ’গ্নি’কা’ণ্ডের ঘটনায় স’ন্তান, মায়ের পর এবার মা’রা’ গেলেন অ’গ্নিদ’গ্ধ বাবা শহি’দুল কি’রমা’নী। তিনি শেখ হাসিনা জাতীয় বা’র্ন অ্যা’ন্ড প্লা’স্টি’ক সার্জা’রি ইনস্টিটি’উটে চিকিৎসাধীন ছিলেন।



সোমবার (০২ মা’র্চ) ভো’রে তিনি মা’রা’ যান বলে জানিয়েছেন হা’সপা’তা’লের সম’ন্বয়’কারী ড. সামন্ত লাল সেন। আর শহি’দুল মা’রা’ যাওয়ার মাধ্যমে ওই অ’গ্নি’কা’ণ্ডের ঘটনায় মৃ’তে’র সংখ্যা বেড়ে পাঁচ’জ’নে দাঁড়ালো।



গত বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ভোর সা’ড়ে ৪টার দিকে নিউ ই’স্কাটনে’র দিলু রোডের একটি পাঁচ’ত’লা ভবনের গ্যা’রে’জে অ’গ্নি’কা’ণ্ডে’র ঘটনা ঘটে। অ’গ্নি’কা’র ঘটনায় তাদের শি’শু সন্তান রুশ’দিসহ তিনজনের মৃ’ত্যু’ হয়।



আ’গু’নে সে সময় শহি’দুল কি’রমা’নীর ৪৩ শতাংশ ও তার স্ত্রী’ রু’শদি’র মা জান্না’তুলের ৯৫ শতাংশ পু’ড়ে’ যায়। এরপর তারা হাসপাতা’লে চি’কিৎসা’ধীন ছিলেন।



চিকিৎসা’ধীন অব’স্থা’য় রোববার (০১ মা’র্চ) সকাল সা’ড়ে নয়’টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের (ঢামেক) শেখ হাসিনা জাতীয় বা’র্ন ‘অ্যান্ড প্লাস্টিক সা’র্জা’রি ইনস্টিটিউটে জা’ন্নাতু’লের মৃ’ত্যু’ হয়।



আর তার স্বা’মী’ নি’হ’ত রুশদির বাবা শহিদুল কির’মা’নীর শা’রীরি’ক অবস্থা আ’শ’ঙ্কাজ’নক হওয়া তাকে রোব’বার সকালে হাসপা’তা’লের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আই’সিইউ) পা’ঠানো হয়। সেখানে সো’মবার ভোরে তিনি মা’রা’ যান।



কন্যা সন্তান জন্মের ৩৯ দিন পর পুত্র সন্তানের জন্ম দিলেন মা



ময়মনসিংহে এক ব্যতিক্রম ঘটনার জন্ম দিয়েছেন রীতা আক্তার ও আমিনুল ইসলাম দম্পতি। সাড়ে তিন বছরের দাম্পত্য জীবনে নিঃসন্তান ছিলেন তারা। স্বপ্ন ছিল কবে তাদের ঘরে আসবে একটি সন্তান। অবশেষে এ দম্পতির ঘরে একটির পরিবর্তে এলো দুটি ফুটফুটে সন্তান। তাও আবার মাত্র ৩৯ দিনের ব্যবধানে।চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এটি বিরল ঘটনা।



এ দম্পতি একটি সন্তান লাভের আশায় ময়মনসিংহে ডা. শিলা সেনের চিকিৎসা গ্রহণ করেন। চিকিৎসা আর পরামর্শ গ্রহণের পর রীতা গর্ভবতী হন। আলট্রাসনোগ্রাম করার পর রীতার গর্ভে দুটি সন্তানের অস্তিত্ব ধরা পড়ে। গর্ভধারণের পরও তিনি নিয়মিত ডা. শিলা সেনের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা গ্রহণ করতে থাকেন।



গত (১৩ মে) হঠাৎ করে রীতার পেট ব্যথা শুরু হলে তাৎক্ষণিকভাবে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করলে তাকে চেম্বারে আসতে বলেন ডাক্তার শিলা সেন। রীতা আসার পর তাকে ময়মনসিংহের শিলাঙ্গন হাসপাতালে ভর্তি করে লেবার ওটি’তে পাঠানো হয়। ওইদিনই (১৩ মে) রীতা একটি কন্যা সন্তান প্রসব করেন।সন্তানটি ৩১ সপ্তাহে জন্ম নিয়েছিল। ওজনও ছিল মাত্র ১১০০ কি.গ্রাম।



অন্যদিকে, দ্বিতীয় সন্তানটি রীতার গর্ভেই থেকে যায়। প্রথম সন্তান জন্মের পর রীতা শারীরিকভাবে সুস্থতাবোধ করতে থাকলে ৭২ ঘণ্টা পর পরবর্তী চিকিৎসার জন্য তাকে ময়মনসিংহের চূরখাইয়ে অবস্থিত কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর গত ২৩ জুন রীতা গর্ভের দ্বিতীয় পুত্র সন্তান প্রসব করেন।



রীতা আক্তার ও আমিনুল ইসলাম দম্পতির বাড়ি গাজীপুরের কাপাশিয়া উপজেলার বর্মী এলাকার নয়ানগর গ্রামে। রীতা আক্তার জানান, দীর্ঘদিন পেটে সন্তান না আসায় ডা. শিলা সেনের চিকিৎসা গ্রহণ করি। চিকিৎসা আর পরামর্শ গ্রহণের পর আল্লাহর রহমতে গর্ভবতী হই।এক কন্যা সন্তান জন্মের ৩৯ দিন পর ছেলে সন্তানের জন্ম দিয়েছি। আমি একজন গর্বিত মা।



ডা. শিলা সেন জানান, সাধারণত জমজ বাচ্চার প্রসব কয়েক মিনিট বা এক-দুই ঘণ্টার ব্যবধানে হয়ে থাকে। এটি একটি বিরল ঘটনা। এ দম্পতির জন্য আশীর্বাদ রইলো। রীতা ও তার সন্তানরা এখন সুস্থ আছে।