এই সংবাদের সকল তথ্য ভুক্তভোগী আমাদেরকে লিখে পাঠান আম’রা হুবহু তা তুলে ধ’রলাম। পুরো ঘ’টনা পড়লে ক’ষ্ট লাগে। কি না হয়নাই মা’মলা শালিস সব তাররপর ও এই কুক’র্ম কেন এই মহিলার। ভাল না লাগলে ছেড়ে দেন, আমা’র জন্য অনেক ছেলেই লাইন ধ’রে আছে। স্বামীকে পরকিয়ায় লিপ্ত স্ত্রী’’ আকতিয়া।



২০১৬ সালের ৬ জুন প্রবাসী রাশেদের সাথে ১৫ লাখ টাকা দেনমোহরে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় চট্টগ্রাম ষোলকবহরের জালাল আহম্ম’দ সওদাগর বাড়ির মোহাম্ম’দ আলমগিরের মেয়ে আকতিয়া মুবাস্বিরা আলম কাশমীর (২২)। বিয়ের পর কিছুদিন ভালভাবে সংসার করলেও বিয়ের ৩ মাস পর যখন রাশেদ পুনরায় প্রবাসে চলে যায় তখনি আকতিয়ার আ’সল চেহারা উম্মোচিত হতে থাকে।



বেপরোয়া চলাফেরা রাত জেগে পরপুরুষের সাথে ভিডিও কলে কথা বলা, শ্বশুর শ্বাশুড়ি স্বামী কাউকে কোন কিছু না জানিয়ে যখন তখন ঘরের বাহিরে চলে যাওয়া ও পর পুরুষের সাথে দেখা করা অ’তিষ্ঠ করে তোলে সবাইকে।



বিষয়গুলো আকতিয়ার মা বাবাকে জা’নালে তারাও মেয়ের পক্ষ নিয়ে উল্টো কাবিনের ১৫ লাখ টাকা নগদ দিয়ে তাদের মেয়েকে তালাক দিয়ে দিতে বলে। এত কিছুর পরও পারিবারিক লজ্জা আর আকতিয়ার গর্ভে রাশেদের সন্তানের কথা বিবেচনা করে রাশেদের পরিবার বিষয়গুলো সমাজে’র কারো সাথেই শে’য়ার করেনি কিন্তু আকতিয়াকে অ’ন্তত তার গর্ভের সন্তানের কথা চিন্তা করে হলেও ভাল হয়ে যেতে বলে।



এমতাবস্থায় ২০১৭ সালের মে’র ২৫ তারিখ রাশেদ সিংগাপুর থেকে কাতার ট্রান্সফার হবার দরুন ফিংগার প্রিন্ট ক’রতে দেশে আসে। ফিংগার প্রীন্ট করার পরপরই কোম্পানির পিড়াপিড়িতে তাকে এক সপ্তাহ পর শত অনিচ্ছা স্বত্তেও কাতার চলে যেতে হয়। কিন্তু যাওয়ার আগে বা`চ্চার ডেলিভারীর যাবতিয় সবকিছু ঠিকঠাক করে দিয়ে যায় যাতে তার অনুপস্থিতীতে তার স্ত্রী’’ আকতিয়া ও তার পরিবারের কোন স’মস্যা না হয়। কাতার যাওয়ার একদিন পরই অর্থাৎ ৩রা জুন নির্দিষ্ট ডেলিভারী তারিখের ৭ দিন আগেই তাদের পরিবারে তাদের ছেলে সন্তান মোহাম্ম’দ আবিয়ানের জ’ন্ম হয়।



মাত্র একটি দিনের জন্যে সে তার সন্তানকে দেখে যেতে পারেনি তবুও হয়তো মনে কিছুটা শান্তনা ছিল যে ৩ মাস পর ছুটি তে এসে নিজ সন্তানকে কোলে নিবে কিন্তু কে জানতো যে এই একদিনের আফসোস ই তাকে সারাজীবন ক’রতে হবে। সন্তান জ’ন্মের ঠিক ৫ দিন পরই আকতিয়ার পরিবার আক্তিয়াকে তাদের বাড়িতে রেখে দেখাশোনা করবে বলে নিয়ে যায় যা তাদের পূর্বপ’রিকল্পনা ছিল কিন্তু সেখানে গিয়েই আকতিয়া রাশেদ কে প্রবাসে ফোন করে বলে যে সে আর ওখানে যাবে না এবং আকতিয়ার নামে একাউন্ট করে সেখানে রাশেদের সব টাকা পয়সা জমা রাখতে হবে এবং আকতিয়ার কাছেই টাকা পাঠাতে হবে যদি সংসার করার ইচ্ছা থাকে।



আকতিয়ার চরিত্র যেহেতু আগে থেকেই খা’রাপ ছিল তাই প্রবাসী রাশেদ আকতিয়াকে তাদের বাড়িতে কিংবা আ’লাদাভাবে ভাড়া বাসায় রাখতে রাজি হয়নি। তাছাড়া এই অন্যায় আবদার মেনে নিতেও রাশেদ রাজি ছিল না। পরবর্তীতে রাশেদ তাদের এই অন্যায় প্রস্তাবে রাজি না হলে রাশেদ ও তার পরিবারকে মিথ্যা যৌতুকে ও নারী নি’র্যাতন মা’মলা এবং বাকি জীবনে রাশেদের সন্তানের মুখ আর দেখাবে না বলে হু’মকি দিতে থাকে এবং রাশেদকে imo whatsapp messanger সবকিছু থেকে তার স্ত্রী’’ ও শ্বশুর শ্বাশুড়ি ব্লক করে দেয়। এদিকে নিজ সন্তানকে একটু ভিডিও কলে দেখার জন্য প্রবাসী রাশেদ ও তার পিতামাতা প্রতি নিয়ত উদ্বি’গ্ন হয়ে উঠে।



এভাবে দীর্ঘ ২ মাস যাওয়ার পর কোনরকম উপায় না দেখে রাশেদের পিতামাতা বাংলাদেশ মানবাধিকার কমি’শন BHRC বরাবর একটি অ’ভিযোগ দাখিল করেন। BHRC উভয় পক্ষকে ডেকে মেয়ে ও তার পরিবারকে তাদের অন্যায়ের জন্য কড়া ভাবে শাসিয়ে দিলে।



মেয়ে ও তার পরিবার পরবর্তীতে এ ধ’রনের কাজ করবে না ম’র্মে স্বী’কার’ক্তি দিয়ে পুনরায় রাশেদের পরিবারে ফি’রে আসে এবং রাশেদ কে ইমুতে আনব্লক করে বা`চ্চাকে দেখায়। কিন্তু যে খা’রাপ সে যেন কখনোই আর ভাল হয় না। নতুন করে রাশেদের বাসায় ফি’রে আসার পর এই আক্তিয়া যেন আগের চেয়েও বেশি খা’রাপ হয়ে যায়। সারারাত ফোনে পরপুরুষের সাথে উচ্চস্বরে শব্দ করেই কথা বলতে থাকে যেন সবাই বুঝতে পারে যে সে রাতজেগে পরপুরুষের সাথে কথা বলছে।



সন্তান হবার পরও কেন এসব করছে এবং পরকিয়াই যদি করবে তাহলে কেন রাশেদ কে বিয়ে করলো সন্তানই বা কেন নিলো এ সব প্রশ্ন করলে আকতিয়া সরাসরি রাশেদকে বলে ‘ আমা’র যা ইচ্ছা তাই করবো তোমা’র ভাল না লাগলে কাবিনের ১৫ লক্ষ টাকা দিয়ে তালাক দিয়ে দাও, আমা’র জন্য অনেক ছেলেই লাইন ধ’রে আছে’।



আকতিয়ার এমন বক্তব্যের পর রাশেদ আক্তিয়ার ব্যবহৃত মোবাইলের কল লিস্ট বের করে এবং দে’খতে পায় যে ০১৯৯৫৬৮১৩৩৩ একটি নাম্বারে আক্তিয়া সারারাত কথা বলে যা ওবায়দুর রাহমান আরজুর ব্যবহৃত নাম্বার( পিতা আজিজুর রহমান, মাতা নাসিমা বেগম, ওলি মিয়া রোড, মিয়া খান নগর, পূর্ব বাকলিয়া, চট্টগ্রাম)। এই ওবায়দুর রহমান আরজু নামের আকতিয়ার দূ’র স’ম্পর্কের আত্বীয়র সাথেই আকতিয়ার অ’বৈ’ধ স’ম্পর্ক ছিল। মূলত আকতিয়ার এই দূশ্চরিএের কারনেই আকতিয়ার পিতামাতা তাড়াহুড়া করে আকতিয়াকে বিয়ে দেয়ার সিদ্ধা’ন্ত নেই কিন্তু আকতিয়া বিয়ের পরও যখন পরিবর্তন হচ্ছিলো না তখন আর্থিকভাবে দূ’র্বল আকতিয়ার পিতামাতা আকতিয়াকে দেনমোহরের ১৫ লাখ টাকা নিয়ে রাশেদের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে ঘরজামাই রেখে অন্য্যত্র বিয়ে দেয়ার প’রিকল্পনা করে যা আকতিয়ার মা নিজে’র মুখেই রাশেদের মাকে বলে। কিন্তু আ’ইন স’ম্পর্কে হয়তো তাদের ধারনা ছিল না।



আক্তিয়ার পরিবার যদি জানতো যে আক্তিয়া তালাক দিলেও রাশেদ কে কাবিনের টাকা পরিশোধ ক’রতে হবে দেশের প্রচলিত আ’ইন অনুযায়ি তাহলে হয়তো আকতিয়া ২ দিনও সংসার করতো না কারন কাবিনের মোটা অংশের টাকা’টা আর পরকিয়া টাই আক্তিয়ার কাছে বড় ছিল। কিন্তু লোকলজ্জা আর সন্তানের কথা ভেবে রাশেদ ও তার পরিবার যে বেশি কিছু করবে না এটা খুব ভাল করেই বুঝতে পেরেছিল আক্তিয়া ও তার পরিবার। কারন বারবার অ’প’রাধ করার পরও রাশেদের পরিবার তাদেরকে ক্ষ’মা করে দিয়ে যাচ্ছিল শুধু পরিবারের মান সম্মানের কথা ভেবে।



মুলত আকতিয়া ও তার পরিবার পরবর্তীতে প’রিকল্পনা করেছিল রাশেদের টাকা পয়সা আকতিয়ার নামে করে নেয়া নচেৎ তালাক নিয়ে কাবিনের ১৫ লাখ টাকা আদায় করা কারন দুটোতেই লাভ ছিল। তাছাড়া তারা তাদের দুশ্চরিত্রা মেয়ে আকতিয়াকেও সামলাতে পারছিলো না এবং আকতিয়াকে দ্বিতীয় বার অন্যএ বিয়ে দেয়ার মত আর্থিক প’রিস্থিতিও তাদের ছিল না।



গত ২৩ অক্টোবর ২০১৭ রাশেদের পিতামাতা তাদের গ্রামের বাড়ি হাটহাজা’রির মাদার্শা গ্রামে যেতে চাইলে আক্তিয়া অন্য অজুহাত দেখিয়ে উনাদের সাথে তাদের গ্রামের বাড়ি যায় না। রাশেদের পিতামাতা মাদার্শা গ্রামের বাড়ি গেলে আক্তিয়া ও তার পিতামাতা পুর্ব প’রিকল্পনা মত আবারো আক্তিয়াকে আক্তিয়ার বাড়ি নিয়ে যায় এবং যাওয়ার সময় আক্তিয়ার কাছে রাখা অলংকার সহ রাশেদের মায়ের আলমা’রিতে রাখা অলংকারও নিয়ে চলে যায় বলে রাশেদের পরিবার দা’বি করে। সন্ধ্যায় রাশেদের পিতা মাতা বাসায় ফি’রে আক্তিয়াকে বাসায় না দেখে আকতিয়ার পিতা মোহাম্ম’দ আলামগির কে ফোন করে। আক্তিয়ার পিতা রাশেদের পিতাকে আগের মতই পুনরায় বলে আক্তিয়াকে ভাড়া বাসায় আ’লাদা করে রাখতে হবে এবং টাকা পয়সা আকতিয়ার নামে একাউন্ট করে রাখতে হবে এবং আকতিয়ার কাছেই।



টাকা পাঠাতে হবে। এমন প’রিস্থিতিতে রাশেদের পিতা কোন উপায় না দেখে আবারও মানবাধিকার কমি’শন বরাবর ফোন দিয়ে ঘ’টনাটি জা’নালে ততক্ষণাৎ বাংলাদেশ মানবাধিকার কমি’শন থেকে সাত সদস্যের একটি টীম রাশেদের বাসায় আসে এবং ঘ’টনার সত্যতা পেয়ে একটি ত’দন্ত রিপোর্ট পেশ করে যার ভিত্তিতে রাশেদের পরিবার আ’দালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৪ ধারায় একটি সাধারন ডায়েরি করে।
বিগত ২৩/৪/২০১৭ আক্তিয়া ও তার পরিবার রাশেদ ও তার পরিবারের বি’রুদ্ধে (৪ ধারায়) একটি মিথ্যা যৌতুকের মা’মলা দায়ের করে ( সিআর ২০৪/১৮)।



মা’মলার এজাহারে দেখানো হয় এপ্রিলের ১৮ তারিখ ২০১৮ সালে রাশেদ আক্তিয়াকে ৩ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য রাশেদের নিজ কক্ষে প্রচন্ড মা’রধ’র করে পরবর্তীতে আক্তিয়ার পিতা আক্তিয়াকে তাদের বাড়ি নিয়ে চলে যায়। অথচ রাশেদ তখন দেশেই ছিলো না।সেই মিথ্যা মা’মলায় কোন ধ’রনের ত’দন্ত ছাড়াই রাশেদের বি’রুদ্ধে গ্রে’প্তারি পরয়ানা জা’রি করা হয় এরপর রাশেদ ১৫ জুলাই ২০১৮ দেশে আসে এবং ১৬ জুলাই সরাসরি আ’দালতে গিয়ে তার পাসপোর্ট টিকেট বোর্ডিং পাস দেখায় যে সে দেশেই ছিলো না এবং তার বি’রুদ্ধে মিথ্যা মা’মলা দায়ের করা হয়েছে।আ’দালত রাশেদের উপযুক্ত প্রমানের ভিওিতে তাকে এই মিথ্যা মা’মলা থেকে অস্থায়ী জা’মিন প্রদান করে।



কিন্তু এই অস্থায়ী জা’মিনের কারনে পরবর্তীতে রাশেদ কে প্রতি মাসে দেশে এসে মা’মলায় হাজিরা দিতে হয় যেটা একটা প্রবাসীর জন্যে আ’সলেই অসম্ভব ব্যপার। রাশেদের জা’মিন ও দেশে আসার খবর জা’না মাত্রই আক্তিয়া ও তার পরিবার গত ৩০শে জুলাই ২০১৮ সালে রাশেদের কাছে তালাক নামা পাঠিয়ে দেয় যেখানে লিখা থাকে ২রা জুন ২০১৭ রাশেদ যৌতুকের জন্য আক্তিয়া কে ক্লিনিকে রেখেই কাতার চলে যায় এবং আক্তিয়ার পিতামাতাই আক্তিয়ার যাবতিয় খরচ পাতি বহন করে আর তার পর থেকেই অর্থাৎ ৩রা জুন ২০১৭ থেকেই আক্তিয়া তার বাবার বাড়ি আছে যা তার করা যৌতুকের মা’মলার সাথে বিন্দূমাত্রও মিল নেই। কারন যৌতুকের মা’মলায় বলা হয়েছে ১৮ এপ্রিল ২০১৮ সালে রাশেদ আকতিয়াকে যৌতুকের জন্য তার নিজ কক্ষে মা’রধ’র করে আর তালাক নামায় উল্লেখ আছে সন্তান জ’ন্মের পর অর্থাৎ ৩ রা জুন ২০১৭ সাল থেকেই সে তার বাবার বাড়ি।



তাহলে কোন টা সত্য? ২০১৭ থেকে যদি আকতিয়া তার বাবার বাড়ি থাকে তাহলে ২০১৮ তে রাশেদ তাকে কিভাবে মা’রলো? এদিকে সন্তান জ’ন্ম দানের যাবতীয় খরচ পাতির কোন প্রমান ও তারা দিতে পারে নি, দেয়াটাও সম্ভব না কারন সবি মিথ্যা ও তাদের সাজানো নাট’ক। যার প্রমান হিসেবে চট্টগ্রাম সার্জি স্কোপ ক্লিনিকে বিল পরিশোধের পর রাশেদের পিতার দস্তখত সহ সেই মানি রিসিট যেখানে রাশেদের সন্তান আবিয়ানের জ’ন্ম হয়, একই তারিখে প্রাইম ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন’র ট্রানজেকশন ডিটেইলস সবকিছুই আছে রাশেদের কাছে।



দিনের পর দিন এভাবে মা’নসিক নি’র্যাতনের পর শেষমেশ রাশেদের মা বাধ্য হয়ে পূর্বের সেই সাধারন ডায়েরির ভিত্তিতে আক্তিয়ার পরকিয়া ও অলংকার আৎসাতের জন্য ৪০৬/৪২০/১০৯ ধারায় একটি মা’মলা দায়ের করে বিজ্ঞ আ’দালতে। আ’দালত মা’মলা’টির সুষ্ঠ ত’দন্তের জন্য চট্টগ্রাম পিবিআই বরাবর হস্তান্তর করে। পিবিয়াই অফিসার মোহাম্ম’দ আলি দুই পক্ষকে পিবিআই অফিসে হাজির করে এবং সেখানে আক্তিয়া তার ওবায়দুর রাহমান আরজুর (২৭)সাথে অ’বৈ’ধ স’ম্পর্কের বিষয়টি ও ১০ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যাওয়ার কথা নিজ মুখে স্বী’কার করে।



পরবর্তীতে পিবিআই অফিসার তার ত’দন্তের ভিওিতে
আকতিয়ার পরকিয়ার স্বী’কার’ক্তি অনুযায়ি মা’মলা’টি ৪০৬/৪২০/১০৯ ধারা থেকে ৩২৩/৫২০ ধারায় ত’দন্ত রিপোর্ট প্রদান করে। পরকিয়া একটি জঘন্য ও ঘৃন্যতম কাজ যা স্ত্রী’’ কিংবা স্বামী যেই করুক না কেন। অথচ এত বড় অ’প’রাধ হবার পরও আক্তিয়া, মিতুর মত মেয়েরা নির্দিধায় এ ঘৃন্যতম কাজটি করে যাচ্ছে শুধুমাত্র দেশের প্রচলিত আ’ইনে স্ত্রী’’র কোন শা’স্তির বিধান না থাকার কারনে।



আক্তিয়ার পরকিয়ার শা’স্তি রাশেদ ও তার পরিবারই বা কেন পাচ্ছে? কেন পরকিয়ার উপযুক্ত প্রমান থাকার পরও এবং নিজ মুখে আক্তিয়া তার পরকিয়া স্বী’কার করার পরও তাকে দেনমোহরের টাকা দিতে হবে? স্বামী সন্তান থাকার পরও যে সব মেয়েরা পরকিয়ায় লিপ্ত থাকে শুধুমাত্র নিজে’র শারিরীক চাহি’দার জন্য তাদের কাছে সন্তানই বা কতটুকু নি’রাপদে থাকতে পারে? এমন অনেক মেয়েকেইতো এখন দেখা যাচ্ছে যে পরকিয়ার নে’শায় নিজ সন্তানকেই হ’ত্যা করছে, তাহলে পরকিয়ায় লিপ্ত আক্তিয়ার কাছে রাশেদের সন্তান আবিয়ানই বা কতটুকু নি’রাপদে আছে?



তালাকের পর আবিয়ানকে দেখার ও নি’রাপত্তার জন্য রাশেদ বাদী হয়ে একটি মা’মলা দায়ের করে আ’দালতে। দেশ বিদেশ থেকে ক্রয় করা আবিয়ানের জন্য সমস্ত জিনিসপত্রই রাশেদের বাসায় পড়ে আছে। আকতিয়ার পরিবারকে ফোন করে এসব দিতে চাইলে আকতিয়ার মা কাম’রুন নাহার বলে ‘ ওগুলা ওখানে রেখে দেন, আবিয়ানের জন্য টাকা পাঠান আম’রা কিনে দেব।



একটা মাসুম বা`চ্চাকে জি’ম্মি করে তার পিতাকে রীতিমত ব্লাকমেইল করছে। কিন্তু আ’ইনের ধ’রাবাঁ’ধা নিয়মের কাছে অসহায় হয়ে পড়ে আছে এই হতভাগা পিতা রাশেদ। এখন শুধু এই অ’পেক্ষাতেই আছে কবে আ’দালত তাকে তার সন্তান আবিয়ান কে দেখার সুযোগ করে দিবে, আবিয়ান তার সমস্ত জিনিসপত্র নিজেই তার বাবার হাত থেকে তুলে নিবে, আবিয়ান আর তার বাবার কোন কিছু থেকেই ব’ঞ্চিত হবে না।



রাশেদ এমনই এক হতভাগা পিতা যে নিজ সন্তান আবিয়ানকে জ’ন্মের পর হতে দেখেছে শুধুমাত্র ১ বার তাও আবিয়ানের জ’ন্মের ১৯ মাস পর যখন পিবিআই অফিসে ত’দন্তের জন্য দুই পরিবারকে ডা’কা হয়েছিলো তখন তা না হলে হয়তো এখনো নিজ সন্তান আবিয়ান কে দেখা হত না তার। সেদিন কখনো না দেখা বাবাকে চিনতে না পেরে আবিয়ান রাশেদের কোলে পর্যন্ত যেতে চাইছিল না। এ সব কিসের শা’স্তি রাশেদের? কি অ’প’রাধ রাশেদের? বিয়ে করাটাই কি তাহলে পাপ ছিল? এসব প্রস্নের উত্তর না পেয়েই হয়তো আকাশের মত ছেলেরা সবশেষে আত্বহ’ত্যার মত ক’ঠিন পথ বেছে নিচ্ছে। রাশেদ হয়তো আকাশের মত আত্বহ’ত্যা করেনি কিন্তু বেঁ’চে থেকেও তো ম’রে আছে সে।



সন্তানের নি’রাপত্তা নিয়ে সংকিত রাশেদ সবসময় আতংকের মধ্যে থেকে প্রবাসে দিন যাপন করছে অ’ন্তত এতটুকু বিশ্বা’স নিয়ে যে দেশের আ’ইন হয়তো একদিন আক্তিয়ার পরকিয়ার উপযুক্ত বিচার করে তার সন্তান আবিয়ান কে তার কাছে ফিরিয়ে দেবে। এ ছাড়া আর কিছুই তার চাওয়ার নেই।
পরিশেষে, এ সব আকতিয়া, মিতুর পরকিয়ার বিচার যদি না হয় তাহলে সামনে আরো লাখো আকতিয়া, মিতুর জ’ন্ম হবে এ দেশে। আরো লাখো আবিয়ান এতিম হবে এবং হয়তো আরো ঝরে যাবে ডাঃ আকাশের মত আরো তরতা’জা প্রা*ণ।