Breaking News

ব্যথা ছাড়াই মুখের অবাঞ্ছিত লোম দূর করার কার্যকরী দুই উপায়!

মুখের অবাঞ্ছিত লোম নিয়ে অনেকেই বিরক্তিকর পরিস্থিতিতে পড়েন। তাছাড়া এখন লকডাউনের কারণে পার্লারে যাওয়াও সম্ভব হচ্ছে না। তবে ঘরোয়াভাবে এই সমস্যা দূর করা সম্ভব।

এক্ষেত্রে দুটি ঘরোয়া পদ্ধতি খুবই কার্যকরী। প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার হয় বলে এই পদ্ধতি ত্বকের জন্য একদম নিরাপদ। এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই। আর এতে ব্যথাও হবে না। চলুন জেনে নেয়া যাক মুখের অবাঞ্ছিত লোমের সমস্যা দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতিগুলো-

৮ থেকে ৯ টেবিল চামচ পানি, দুই চামচ চিনি ও লেবুর রস নিয়ে উপকরণগুলো মিশিয়ে নিন। এরপর বুদবুদ ওঠা পর্যন্ত গরম করে নিন। তারপর ঠাণ্ডা করে ২০ থেকে ২৫ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন। ধোয়ার সময় ঠাণ্ডা পানি দিয়ে বৃত্তাকারে ঘষে ওঠান। এতে একদমই ব্যথা ছাড়া লোম উঠে আসবে।

টমেটো ও লেবুর রস দিয়ে বানানো স্ক্র্যাব আমাদের মুখের লোম দূর করতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে লেবু আর টমেটো মিলিয়ে তৈরি করে নিন এক অসাধারণ স্ক্রাব। এর জন্য টমেটোর রস আর লেবুর রস সমপরিমাণে মিশিয়ে নিন। প্রয়োজনে তাতে ১ চামচ চিনিও মিশিয়ে নিতে পারেন। এবার এ পেস্টটি লোমের অংশে মোটা করে লাগিয়ে নিন। এভাবে ২০ মিনিট মুখে রেখে দিন। তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। সপ্তাহে ২ দিন এটি ব্যবহার করুন। দেখবেন ম্যাজিকের মতোই মুখের অবাঞ্চিত লোম থেকে মুক্তি পাবেন।

মেয়েরা ছেলেদের যে দিকে নজর দেয় তাড়াতাড়ি জানান

প্রথম দর্শন হয়তো কয়েক মুহূর্তের ঘটনা, কিন্তু এতেই নির্ধারিত হয়ে যেতে পারে সম্পর্কের গতিপথ। তাই একজন পুরুষ যদি জানেন যে, নারীরা পুরুষের ঠিক কোন বিষয়গুলো প্রথম দর্শনেই লক্ষ করেন, তা হলে সে বিষয়ে সচেতন থাকতে পারেন তিনি।

অনেক নারীই প্রথম দেখার কয়েক মিনিটেই একজন পুরুষকে মেপে ফেলার চেষ্টা করেন। দর্শনদারির ভিত্তিতেই এই মাপামাপি। উচ্চতা, ওজন এবং সামগ্রিক শারীরিক আকর্ষণীয়তার পাশাপাশি পুরুষের হাসি, রসবোধ ও আত্মবিশ্বাস লক্ষ্য করেন নারী। পুরুষের মনোদৈহিক যে ছয়টি বিষয় নারীরা প্রথম দেখাতেই লক্ষ্য করেন, সেগুলো হল-

শারীরিক আকৃতি: নারী প্রথমেই যা কিছু খেয়াল করেন সে তালিকার প্রথমদিকেই আছে উচ্চতা এবং ওজন। কোনো পুরুষ খুব বেশি লম্বা, মোটা বা খাটো হলে তাঁর এই শারীরিক গঠনের কারণে শুরুতেই তাঁর বিষয়ে একটা সিদ্ধান্তে চলে আসতে পারেন কোনো কোনো নারী। ফলে তাঁর অন্য মানবিক গুণাবলি লক্ষ্য করার বিষয়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারেন একজন নারী। অবশ্য নারী তাঁর নিজের উচ্চতা এবং ওজনের নিরিখেই পুরুষের এই শারীরিক বৈশিষ্ট্যের গ্রহণযোগ্যতা বিচার করেন।

আকর্ষণী ক্ষমতা: চেহারার সৌন্দর্য হচ্ছে সেই গুণের নাম যা জন্মসূত্রে পাওয়া। কিন্তু কেবল সুন্দর হলেই তো হবে না। একজন পুরুষ নিজের কতটা যতআত্তি করেন, সেটা খেয়াল করেন নারী। চুল, নখ থেকে শুরু করে কাপড়চোপড় এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় রাখেন নারীরা। একজন পুরুষ যদি নিজের এইটুকু দেখভাল করতে না পারেন, তা হলে তাঁর অন্য গুণাবলি খুঁজে দেখার জন্য খুব একটা কষ্ট করতে রাজি হবেন না নারী। নিজেকে উপস্থাপনের শিল্পেই আকর্ষণী ক্ষমতা দেখানোর সুযোগ পেতে পারেন একজন পুরুষ।

মুখের হাসি: একনজরে দেখে নিয়ে মেপে ফেলার পর পুরুষের মুখের হাসি দেখার অপেক্ষায় থাকেন নারী। হাসবার ক্ষমতা, বিশেষত দেখা হওয়ার প্রথম কয়েক মিনিটের মধ্যেই পুরুষের হাসি নারীর কাছে একটা স্বাগত বার্তার মতো। অবশ্য হাসবার আগে মাথায় রাখতে হবে নিজের দাঁতের কথাও। অপরিচ্ছন্ন দাঁত নিয়ে কোনো নারীর সামনে হাসলে লাভের চেয়ে লোকসানই বেশি হবে। আর দাঁতের অন্য কোনো সমস্যা থাকলেও সেটা সারাতে দন্ত্য চিকিত্সকের কাছে ঘুরে আসাই ভালো।

রসবোধ: পুরুষের রসবোধ নারীর আরাধ্য। কাউকে হাসিমুখে থাকতে দেখলে অন্যের ভালো লাগবে, এটাই স্বাভাবিক। আর যদি মানুষটি অন্যকে হাসাবার ক্ষমতা রাখেন, তা হলে তো কথাই নেই। সঙ্গীর সঙ্গে মৃদু কৌতুক করা বা কোনোভাবে তাঁকে মজা দেয়াকে অবশ্যই পুরুষের মধ্যে একটি আরাধ্য বিষয় হিসেবে ভাবেন নারীরা। আর যে পুরুষ হাসিমুখেই একটা খারাপ পরিস্থিতিতেও খাপ খাইয়ে নিতে পারেন বা দুর্দশা নিয়েও কৌতুক করতে পারেন, তাঁর জন্য তো মুক্তোর মালা নিয়ে বসে থাকবেন নারী।

আত্মবিশ্বাস: আত্মবিশ্বাসী পুরুষের প্রতিই প্রবল আকর্ষণ অনুভব করেন নারী। দেখার প্রথম কয়েক মিনিটের মধ্যেই একজন পুরুষের আত্মবিশ্বাসের স্তর বোঝার চেষ্টা করেন নারী। পাশাপাশি ওই পুরুষটি তাঁর চারপাশের পরিবেশ পরিস্থিতিতে কতটা প্রভাব ফেলছেন বা কেমনভাবে তা মোকাবিলা করছেন, সেটা বোঝার চেষ্টা করেন নারীরা। তবে পুরুষকে বুঝতে হবে দাপট দেখানো আর আত্মবিশ্বাস এক কথা নয়। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো একজন পুরুষ কতটা স্পষ্ট এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্ষম, তা বিবেচনা করেন নারীরা।

আলাপচারিতা: পুরুষেরা সাফল্যের সঙ্গে সমাজে এমন ধারণা প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন যে তাঁরাই শক্তিশালী এবং তাঁরা কম কথা বলেন। তাই অনেক নারীই হয়তো আশা করেন না যে একজন পুরুষ সারাক্ষণ কথা বলতে থাকবেন। তবে, যেটা লক্ষ রাখা দরকার তা হলো, সঙ্গী পুরুষটি নারীটির মনোযোগ ধরে রাখতে পারছেন কি না। একজন পুরুষ অনেকটা সময় ধরে মনোযোগ ধরে রাখতে পারলে তাঁর প্রতি শারীরিকভাবে আকর্ষণ অনুভব করতে পারেন নারী। তাই কথা বলুন প্রাণ খুলে, নিজেকে নিজের মতো করেই উপস্থাপন করুন আলাপচারিতায়।

Check Also

স্ত্রী হিসেবে মোটা মেয়েরা সবচেয়ে বেশি ভালো! কেন জানেন?

স্ত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে শতকরা ৯০ শতাংশ পুরুষেরই পছন্দের তালিকায় রোগা মেয়েরা থাকে। তাদের মধ্যে ধারণা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *