করো’না ভা’ইরাস সংক্র’মণ এড়াতে দেশের বিভিন্ন স্থানে দোকান-পাট ব’ন্ধ করে দেয়া হয়েছে। লোকজন চলাচলও সীমিত করে দেয়া হয়েছে। ফলে নিম্ন আয়ের মানুষদের ক’র্মসংস্থান কমে গেছে।



এতে দিনমজুর-ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের আয় নেই বললেই চলে। এমন প’রিস্থিতিতেও বিভিন্ন স্থানে চলছে এনজিওর ঋণ আদায় কার্যক্রম। এতে এনজিওর ঋণ গ্রহণকারী দরি’দ্র মানুষ এখন বি’পাকে। তাদের দা’বি প’রিস্থিতি স্বা’ভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ঋণ আদায় স্থগিত করার।



এদিকে নাটোর, রায়পুর, রামগঞ্জ, কলাপাড়া ও অভ’য়নগরে ঋণের কিস্তি আদায় স্থগিত রাখার নির্দে’শ দিয়েছে প্রশা’সন।



ভূঞাপুরে এনজিওর কিস্তি দিতে হিমশিম খাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ। করো’না ভা’ইরাস আত’ঙ্কে হাট-বাজারে মানুষ নেই। এতে নিম্ন আয়ের মানুষের আয় নেই। খেটে খাওয়া মানুষেরা হয়ে পড়ছেন বেকার। এমতাবস্থায় এনজিওর সাপ্তাহিক ও মাসিক কিস্তির টাকা জোগাড় দূ’রের কথা খাবার কেনার টাকা জোগাড়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।



উপজে’লায় শতাধিক এনজিও নিয়মিত ঋণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এসব এনজিও থেকে কয়েক হাজার মানুষ ঋণ সংগ্রহ ক’রেছেন। এতে ঋণগ্রহীতারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।



ভুক্তভোগীরা জা’নায়, কিস্তির টাকা না দিলে ক’র্মী রা জন্য রাত অবধি বসে থাকেন, গালমন্দ করেন, হু’মকি দেন।করো’না ভা’ইরাসের কারণে এলাকাজুড়ে আত’ঙ্ক বিরাজ করায় মানুষ ঘর থেকে কম বের হন। সারা দিনে ভ্যান চালিয়ে যে উপার্জন হয় তাতে সংসারই হয় না আবার কিস্তি দেব কোথায় থেকে।



ফলদা বাজার হাটের মুদি দোকানদার হাসান জা’নান, হাটে লোকজন প্রয়োজন ছাড়া আ’সছে না। বেচাকেনা খুবই কম। ইভাবে চললে সংসার চালান খুবই ক’ঠিন।



আমার স্ত্রী প্রাইমারি স্কুলের টিচার, একদিন রাতে ডিনারের শেষে !



আমার স্ত্রী প্রাইমারি স্কুলের টিচার। একদিন রাতে ডিনারের শেষে আমার স্ত্রী ক্লাস ওয়ানের খাতা দেখছিলো। খাতা দেখতে দেখতে আমার মিসেসের চোখ দুটো ছলছল করে করে উঠেছে।আমি কাছেই বসে টিভি দেখছিলাম। মিসেসের দিকে নজর যাওয়াতে দেখি আমার স্ত্রী চোখের জল মুছছে। আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম কি হয়েছে কাঁদছো কেনো!!! আমার মিসেস বললো.. ক্লাস ওয়ানের পরীক্ষায়
এক রচনা এসেছে। “my wish”–তো কাঁদার কি হলো!!–সব খাতা গুলো দেখলাম। সবাই ভালো লিখেছে। –তো?–একজনের খাতা দেখে আর নিজেকে সামলাতে পারলাম না। চোখ দুটো জলে ভরে উঠলো।



আচ্ছা বলো কি লিখেছে ওই বেবি।মিসেস রচনা পড়তে শুরু করলো…..আমার ইচ্ছা আমি স্মার্টফোন হবো। আমার বাবা মা স্মার্টফোন খুব ভালোবাসে। কিন্তু আমায় ভালোবাসে না।যেখানে যায় আমার বাবা তার স্মার্টফোন সঙ্গে করে নিয়ে যায়।



কিন্তু আমায় সঙ্গে করে নিয়ে যায় না। ফোন এলে আমার মা তাড়াতাড়ি গিয়ে ফোন ধরে। কিন্তু আমি কান্না করলেও আমার কাছে আসে না মা। আমার বাবা স্মার্টফোনে গেম খেলে। কিন্তু আমার সাথে খেলে না। আমি বাবাকে বলি আমায় একটু কোলে নাও না বাবা।



কিন্তু বাবা আমায় কোলে নেয় না। স্মার্টফোনটাই সব সময় বাবার কোলে থাকে। মা কে গিয়ে বলি, মা মা চলো না আমার সাথে একটু খেলবে। কিন্তু আমার মা আমার উপর রেগে গিয়ে বলে, দেখতে পাচ্ছিস না আমি এখন তোর মামার সাথে চ্যাটে কথা বলছি।



আমার বাবা মা রোজ স্মার্টফোন টাকে যত্ন করে মোছামুছি করে। কিন্তু আমায় একটুও আদর করে না। আমার মা যখন বাবার সাথে ফোনে কথা বলে তখন মা স্মার্টফোনে বাবাকে পাপ্পি দেয়। কিন্তু আমায় একদিনও পাপ্পি দেয়নি মা। আমার বাবা মাথার কাছে স্মার্টফোন নিয়ে ঘুমায়।



কিন্তু আমায় কোনোদিনও জড়িয়ে ধরে ঘুমায় না। আমার মা রোজ চার পাঁচবার স্মার্টফোন টিকে চার্জ দেয়। কিন্তু মাঝে মাঝে আমায় খাবার দিতে ভুলে যায় মা। কিন্তু স্মার্টফোন টিকে চার্জ দিতে ভুলে না আমার মা। তাই আমি স্মার্টফোন হবো। আমার ইচ্ছা স্মার্টফোন হয়ে বাবা মায়ের সাথে



সবসময় থাকতে চাই। স্ত্রীর মুখে লেখাটি শোনার পর আমি খুব ইমোশনাল হয়ে স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলাম–কে লিখেছে এই রচনাটি? আমাদের সন্তান। আমি স্তব্ধ হয়ে বসে রইলাম কিছুক্ষন। অনেক কিছুই ভেবে চলেছি। আমার আর আমার স্ত্রীর চোখে তখন জলের ধারা নামতে শুরু করেছে!