ডিজিটাল যুগে এসে জীবনের সব কিছুই যেন এখন অনলাইনভিত্তিক। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে অনলাইনে কেনাবেচা। স্মা’র্টফোনে একটি ছোঁয়াতে দরকারি ভোগ্যপণ্য কেনাবেচা ক’রতে কার না পছন্দ। অপ্রয়োজনীয় বা আপাতত অদরকারি পণ্য অনলাইন মা’র্কে’টের বিভিন্ন সাইটে বিক্রির জন্য বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকেন অনেকেই। কিন্তু তাই বলে নিজে’র স্বামীকে!



ডেইলি মেইল জা’নিয়েছে, অনলাইনে নিজে’র স্বামীকে বিক্রি করে দিতে একটি বিজ্ঞাপন দিয়েছেন জার্মানির হামবুর্গ শহরের এক মহিলা। ৪০ বছর বয়সী সেই মহিলার নাম ডর্তে এল। স্বামীকে বেচে দেয়ার এমন বিজ্ঞাপনের পেছনে দীর্ঘদিনের দাম্পত্যের বির’ক্তিকে কারণ হিসেবে দেখিয়েছেন এ নারী।



একটি প্রসিদ্ধ ই-কমা’র্স সাইট ‘ইবে’-তে বিজ্ঞাপন দিয়ে তিনি লি’খেছেন- দীর্ঘ সাত বছরের বিবাহিত জীবন কাটালেও বর্তমানে আমি আমা’র স্বামীর স’ঙ্গে একাত্মবোধ করছি না। তাই স্বামীকে ছে’ড়ে দিতে চাই।



এর জন্য মাত্র ১৬ পাউন্ড (এক হাজার সাতশ দশ টাকা) দাম ধ’রেছেন তিনি। স্বামীর মূল্য এত কম ধার্য ক’রেছেন কেন, সেই প্রশ্নে ডর্তে জা’নিয়েছেন, ১৬ তার জন্য সৌভাগ্যময় একটি সংখ্যা। তাই ওই দাম ধার্য ক’রেছেন তিনি।



বিজ্ঞাপনটি ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। নেটিজেনদের অনেকের প্রশ্ন- এই রকম বিজ্ঞাপন আদৌ দেয়া উচিত কিনা? ডর্তে জা’নিয়েছেন, বিজ্ঞাপনটি দেয়ার পর থেকে রীতিমতো সাড়া পাচ্ছেন তিনি। যদিও এখন পর্যন্ত কেউ তার স্বামীকে কিনতে আগ্রহ দেখাননি বলে তিনি জা’নিয়েছেন।



ইতিমধ্যে ডর্তের স্বামী সংবাদমাধ্যমে স্ত্রীর এমন অবিশ্বা’স্য কাণ্ডের ব্যাপারটি জে’নেছেন। এমনটি কেন করলেন সেই প্রশ্নে শুধু মজা করার উদ্দেশে অনলাইনে এ বিজ্ঞাপনটি দিয়েছিলেন বলে স্বামীকে জা’নিয়েছেন ডর্তে।



অজা’ন্তেই কি করোনায় আ’ক্রা’ন্ত হয়েছেন, জানাবে এই ল’ক্ষণগুলো



করো’না ভা’ইরাস ম’হামা’রিতে আত’ঙ্কে রয়েছে সবাই। দেশে এরই মধ্যে ৮০ হাজারের বেশি করো’না রো’গী শনা’ক্ত হয়েছে, মৃ’ত্যু হয়েছে এক হাজারের বেশি মানুষের। এই সময়ে কাশি বা সামান্য জ্বর আ’সলেও অনেকেই আত’ঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। তারা ভাবছেন এটা করো’না র কারণে হচ্ছে না তো।



এটি সত্য যে করো’না য় আক্রা’ন্তদের একটি বড় অংশের তেমন কোনো লক্ষণ দেখা দেয় না বা হালকা লক্ষণ দেখা দেয়। সুতরাং এটি সম্ভব হতে পারে যে কিছু মানুষ এরই মধ্যে করো’না য় আক্রা’ন্ত হয়েছেন এবং তারা সু’স্থ হয়ে গিয়েছেন, তবে এটি তারা জা’নেন না।



তারপরও যাদের করো’না র লক্ষণ দেখা দেয় তারা জা’না না থাকার কারণে সেটি শনা’ক্ত ক’রতে পারেন না। এখানে এমন কয়েকটি করো’না র লক্ষণের কথা উল্লেখ করা হলো যেগুলো সম্ভাব্য করো’না র সংক্রমেণের দিকে নির্দে’শ করে।



ভারী সর্দি ও জ্বরে ভু’গছেন ?
ঋতু পরিবর্তনের সময় সর্দি বা নাকের স’মস্যা এবং অ্যালার্জির কারণে চুলকানি হওয়া খুবই সাধারণ বিষয়। তারপরও করো’না র এই সময়ে প্রতিটি লক্ষণই গু’রুত্ব দিয়ে দেখা উচিত। এসময় লক্ষণগুলোকে ভালোভাবে পর্যালোচনা ক’রতে হবে। যদি সর্দির স’ঙ্গে শ’রীরের তাপমাত্রা হ’ঠাৎ করে বেড়ে যায় তাহলে এটি নিয়মিত ফ্লু হতে পারে। তবে এগুলো করো’না র লক্ষণও হতে পারে।



গন্ধ অনুভূতি কমে যাওয়া
গন্ধ বা স্বাদ হ্রাস তখন ঘ’টে যখন কোনও ব্য’ক্তি গন্ধ সনাক্ত ক’রতে অক্ষম হয়। এটি সাধারণত এমন সময় হয় যখন কোনো ব্য’ক্তির সর্দির কারণে নাক ব’ন্ধ থাকে। তবে এটিকে করো’না ভা’ইরাসেরও অন্যতম একটি উ’পসর্গ হিসেবে চি’হ্নিত ক’রেছেন বিজ্ঞানীরা। তবে করো’না র ক্ষেত্রে স্বাদ গন্ধ হা’রানোর লক্ষণটি ভিন্ন। এক্ষেত্রে সর্দি বা নাক ব’ন্ধ না থাকলেও গন্ধ অনুভূতি হারিয়ে ফে’লে ন করো’না আক্রা’ন্তরা। বিজ্ঞানীরার এও জা’নিয়েছেন যে, যখন করো’না ভা’ইরাস নাকের মধ্যে অব’স্থান করে তখন এমনটি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।



মাথা ব্যাথা
ঠান্ডা লাগলে মাথা ব্যাথা একটি সাধারণ প’রিণতি। তবে মাথা ও কপালের সবখানে প্রচ’ণ্ড ব্যাথা করো’না র লক্ষণ হতে পারে। করো’না য় আক্রা’ন্ত হলে তীব্র মাথাব্যাথা হতে পারে, এটা সাধারণত ভাইরাল আ’ক্রমণের প্র’তিরো’ধ ব্যব’স্থা প্র’স্তুত হওয়ার স’ঙ্গে স’ঙ্গে ঘটতে পারে।



শ্বা’সকষ্ট অ’নুভব করছেন?
করো’না র অন্যতম প্রধান লক্ষণ শ্বা’সকষ্ট। ভা’ইরাস আপনার শ্বা’সযন্ত্রে আ’ক্রমণ করে এবং ফু’সফুসের চারপাশে ক্ষ’তি করে যার কারণে তীব্র শ্বা’সকষ্ট দেখা দেয়। এছাড়া এর ফলে শুষ্ক কাশি, ও হার্ট বিট বাড়িয়ে দেয়।



কভিড টয়েস
করো’না য় আক্রা’ন্ত শি’শুদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারে। এসময় পায়ের আঙ্গুলে ক্ষ’ত দেখা যায়। তুষারে মানুষের যেমন আঙ্গুল ক্ষ’তি করে এটির চিহ্নও অনেকটা সেরকম। এটি বড়দের ক্ষেত্রেও দেখা দিতে পারে। ভা’ইরাস আ’ক্রমণের পর র’ক্তপ্রবাহে বা’ধা সৃষ্টি হলে বা র’ক্ত জমাট বাঁধলে ত্বকে এমন ক্ষ’তের সৃষ্টি হয়। কখনো কখনো এটির ফলে পায়ের পাতা ও পা ফুলে যায়। এমন লক্ষণ দেখা দিলে তা উপেক্ষা করা উচিত নয়।



মাথা ঘোরা
করো’না ভা’ইরাস নিউরোলজিকাল লক্ষণগু’লিও প্রদ’র্শন ক’রতে পারে এবং আপনাকে দু’র্বল করে দিতে পারে। অস্বস্তি বোধ করা, ক্লান্তি বা হালকা মাথাব্যাথা অনুভূত হতে পারে যখন শ’রীর ডিহাইড্রেট হয় বা পুষ্টির কম থাকে। তবে এগুলো করো’না ভা’ইরাসের কারণেও হতে পারে এজন্য এমন লক্ষণ দেখা দিয়ে তা এড়ানো উচিত নয়।



গোলাপী চোখ
ভা’ইরাসটি কেবল শ্বা’সকষ্টের ফোঁটাগু’লির মাধ্যমে ছড়িয়ে যেতে পারে না তবে চোখের তরল হয়েও চোখকে প্র’ভাবিত করে। করো’না পজিটিভ হিসাবে পাওয়া লোকদের মধ্যে গোলাপী চোখ লক্ষ্য করা যায়। একটি সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, কোনো রো’গী গোলাপী চোখের মধ্যে ভুগতে পারে, তার অবস্থা আরও মা’রাত্মক।



ঠান্ডা-জ্বরের স’ঙ্গে গ্যাসট্রিকের স’মস্যা
যদিও ঠান্ডা, কাশি, জ্বর, দু’র্বলতা এবং ক্লান্তি- এগুলো সাধারণ ফ্লুর লক্ষণ তবে করো’না ও এমন প্র’ভাব ফেলতে পারে। তবে কোষ্ঠকাঠিন্য বমিভাব বা ডায়রিয়া অ’নুভব করা এবং গ্যাসট্রিকের স’মস্যা মোটামুটি সাধারণ বিষয়।



পেশীতে ব্য’থা
সেন্টার অফ ডিজিজ ক’ন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এর মতে, করোনভা’ইরাস শ’রীরকে একের চেয়ে বেশি উপায়ে প্র’ভাবিত করে এবং একাধিক লক্ষণ একই সাথে আপনাকে আঘা’ত করলে এটি শ’ক্তি হ্রাস ক’রতে পারে। অতএব, র’ক্ত প্রবাহ হ্রাসজনিত কারণে পেশীতে ব্য’থা অনুভূত হতে পারে। এটি করো’না র সাধারণ লক্ষণ হতে পারে।



ত্বকে ফুসকুড়ি
ত্বকে লাল, গোঁড়া ফুসকুড়িকে করো’না র অন্যতম স্বীকৃত লক্ষণ হিসাবেও অভিহিত করা হয়। হামের মতো এমন ফুসকুড়ি করো’না র লক্ষণ হতে পারে।



তীব্র শীত অনুভূত হওয়া
অকারণে শীত অনুভূত হওয়া এবং তীব্র কাঁপুনি করো’না লক্ষণ হিসেবে চি’হ্নিত করা হয়েছে। শ’রীরে অক্সিজে’নের মাত্রা কম হওয়ার স’ঙ্গে স’ঙ্গে তীব্র শীত অনুভূত হতে পারে। এছাড়া ঠোঁট ও ত্বক নীল হয়ে যেতে পারে।