Breaking News

আবিষ্কৃত করোনা-ভ্যাকসিনের অগ্রগতির খবর দিলেন গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড

গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের আবিষ্কৃত করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের সফল অগ্রগতির খবর দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা। তাদের দাবি, ভ্যাকসিনটি প্রাথমিক এনিমেল ট্রায়ালে এন্টিবডি তৈরি করতে পেরেছে। বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১২ টার দিকে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে কর্মকর্তারা এ দাবি করেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ভ্যাকসিনটি বর্তমানে দ্বিতীয় ধাপে এনিমেল ট্রায়াল করা হবে। এজন্য ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ সময় লাগবে। এ পর্যায়ে সফল হলে এটি মানব শরীরে ক্লিনিকাল ট্রায়াল করা হবে। তবে এর জন্য সরকারি কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি চাওয়া হবে। অনুমতি পেলে তারা ট্রায়ালে যাবেন।

গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের রিসার্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্টের প্রধান ডা. আসিফ মাহমুদ বলেন, আসলে আমরা কাজ শুরু করার পর প্রাথমিকভাবে এটা নিয়ে সফল হয়েছি। এনিমেল মডেলে এটা সফল হয়েছে। এখন আমরা আশা করি মানবদেহেও এটা সফলভাবে কাজ করবে। আমরা বিষয়টি নিয়ে এখন সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোর কাছে যাব। এরপর তাদের দেয়া গাইডলাইন অনুযায়ী পরবর্তী ধাপগুলো সম্পন্ন করবো।

এর আগে, গতকাল বুধবার প্রতিষ্ঠানটি দাবি করে, তারা পশুর শরীরে এই ভ্যাকসিনের সফলতা পেয়েছেন। মানবদেহেও এর সফলতা পাওয়া সম্ভব বলে আশা করছেন তারা।

এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, এনসিবিআই ভাইরাস ডাটাবেজ অনুযায়ী মঙ্গলবার পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী ৫ হাজার ৭৪৩টি সম্পূর্ণ জিনোম সিকোয়েন্স জমা হয়েছে। যার মধ্যে বাংলাদেশ থেকে জমা হয়েছে ৭৬টি। উক্ত সিকোয়েন্স বায়োইনফরম্যাটিক্স টুলের মাধ্যমে পরীক্ষা করে গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড তাদের টিকার টার্গেট নিশ্চিত করে। যা যৌক্তিকভাবে এই ভৌগলিক অঞ্চলে অধিকতর কার্যকরী হবে বলে আশা করছেন তারা।

হ্যান্ড স্যানিটাইজার কতক্ষণ পর্যন্ত জীবাণু থেকে সুরক্ষিত রাখে?

সারাবিশ্বেই এখন করোনার আতঙ্ক বিরাজ করছে। দিন দিন বাড়ছে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। মৃত্যুর মিছিলে প্রতিনিয়ত যোগ হচ্ছে নতুন নতুন নাম। তাইতো এর থেকে রক্ষা পেতে সবাইকেই সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

করোনাভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার, বিশ সেকেন্ড সময় নিয়ে হাত ধোয়া, আধোয়া হাতের সাহায্যে মুখে হাত দেয়া থেকে বিরত থাকা, জনবহুল এলাকা এড়িয়ে চলা, হ্যান্ডশেক ও কোলাকুলি এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এই সব নির্দেশনার ফলে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবহারও বেড়েছে বহুগুণে।

সবসময় হাত ধোয়া সম্ভব হয় না বলে অনেকেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করাই সবচেয়ে সুবিধাজনক উপায় হিসেবে দেখছেন। তবে এখানে একটি প্রশ্ন থেকেই যায়। হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের পর কতক্ষণ সময় পর্যন্ত সেটার প্রভাব কার্যকর থাকবে?

সমস্যা হলো সাধারণভাবে সবাই যতখানি সময়ের জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজারকে কার্যকরী হিসেবে মনে করছে, তার চেয়ে বহু গুণ কম সময় নিয়ে কার্যকর থাকে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের প্রভাব।

বেশ কিছু গবেষণা ও ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার ফলাফল থেকে দেখা গেছে, অধিকাংশ হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার পর ১ থেকে ২ মিনিট পর্যন্ত থাকে তার কার্যকারিতা। এমন চমকপ্রদ তথ্যটি নিউ ইয়র্ক ডেইলি নিউজের বরাত দিয়ে জানান এনওয়াইইয়ু ল্যাংগন মেডিক্যাল সেন্টারের ক্লিনিক্যাল মাইক্রোবায়োলজি এন্ড ইমিউনলজি বিভাগের ডিরেক্টর ফিলিপ টায়েরন জুনিয়র পিএইচডি।

হ্যাঁ, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের পর মাত্র দুই মিনিট পর্যন্ত জীবাণু থেকে সুরক্ষিত থাকবে হাত। দেখা গেছে যা আমেরিকানদের ধারণার অন্তত ৩০ গুণ কম সময়।

এ বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লেনক্স হিল হসপিটালের ফিজিশিয়ান ও ইন্টার্নিস্ট ডঃ লেন হরভিটজ বলেন, একদম কোনো কিছু ব্যবহার না করার চাইতে অল্প সময়ের জন্য সুরক্ষা পাওয়াও ভালো। বিশেষত আপনি যখন কারোর সঙ্গে হ্যান্ডশেক কিংবা কোনো পেপারে সাইন করতে যাবেন। তবে সবচেয়ে উপকারী ও কার্যকরী জিনিসটি হলো পানি ও সাবানের সাহায্যে সময় নিয়ে হাত ধোয়া।

তাই বলে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার বন্ধ করে দেয়া মোটেও উচিত হবে না। হাঁচি-কাশি, খাবার খাওয়া, কিবোর্ড ব্যবহার, কোনো কিছু লেখা, কারোর সঙ্গে হ্যান্ডশেক করার আগে ও পরের মুহূর্তে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবহার জীবাণু থেকে নিরাপদ রাখতে কাজ করবে খুব ভালোভাবেই। তবে তার কার্যকারিতার সীমিত সময়ের বিষয়টি মাথায় রেখে ব্যবহারের প্রতি সতর্ক হতে হবে।

Check Also

যে কারণে উধাও হলো বগুড়ার সেই পুকুরের মাছ-পানি

দীর্ঘ বছরের পুরোনা পুকুর। হঠাৎ কী এমন হলো যে নিমিষেই পানি ও মাছ শূন্য হয়ে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *