করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দ্বিগুণ হওয়া খুব জরুরি। আর এর যোগান পাওয়া সম্ভব আমাদের রোজকার খাবার থেকেই। এমন কিছু খাবার আছে যা দেখতে খুবই সাধারণ হলেও, এর কার্যকারিতা অনেক।



তেমনি অনেকের পছন্দের একটি সবজি হচ্ছে ঢেঁড়স। যা খেতে ভীষণ সুস্বাদু। ঢেঁড়স স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। ঢেঁড়স এমন একটি সবজি যা নানাভাবেই খাওয়া যায়। তবে কখনো ঢেঁড়সে ভেজা পানি খেয়েছেন কি? না খেয়ে থাকলে আজ থেকেই খাওয়া শুরু করুন। সুস্থ থাকতে চাইলে কিংবা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে এই পানীয় জাদুর মতো কাজ করে।



চলুন তবে জেনে নেয়া যাক রোগ প্রতিরোধে ঢেঁড়স পানীয় তৈরির পদ্ধতিটি-



যা যা লাগবে ঢেঁড়স, পানি।



পদ্ধতি
প্রথমে ২টি পরিষ্কার ঢেঁড়স ও ১ গ্লাস পানি নিন। এবার ঢেঁড়সগুলোর ওপর এবং নিচের অংশ কেটে নিন। এক গ্লাস পানির মধ্যে কাঁটা ঢেঁড়স দিয়ে দিন। এভাবে সারা রাত রাখুন। সকালে খালি পেটে পানিটুকু পান করুন।



ভালো ফল পেতে প্রতিদিন নাস্তার আগে খালি পেটে এটি পান করুন। এটি দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে। এছাড়া ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্য করে, কোলেস্টেরল মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, কিডনি সুস্থ রাখে এবং অ্যাজমা প্রতিরোধে সাহায্য করে।



গর্ভাবস্থায় রসুন খেলে যে মারাত্মক বিপদ ঘটতে পারে



গর্ভাবস্থা একজন নারীর জন্য জীবনের একটি বিশেষ মুহূর্ত। এই সময় খাবার খাবার খাওয়া, চলাফেরা সবকিছুতেই নিতে হয় বাড়তি যত্ন।



চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এই সময় যে কোনো খাবার খাওয়া আপনার জন্য অনিরাপদ হতে পারে। এই সময় অনেক খাবার খেতেই নিষেধ করা হয়। গর্ভাবস্থায় রসুন খাওয়া নিয়েও রয়েছে নানা মত। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে এই সময় আপনি রসুন খেতে পারবেন। রসুন শরীরের জন্য একাধিক পুষ্টি, ভিটামিন এবং খনিজ সরবরাহ করে।



এতে থাকা প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল শরীরে র'ক্ত প্রবাহকে স্বাভাবিক করে তোলে। হরমোনের ভারসাম্য ঠিক রাখে। নিয়মিত রসুন খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। এতে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়ায় সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।



গর্ভাবস্থায় রসুন প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে কাজ করবে। এই সময় নারীরা মানসিক চাপ অনুভব করেন, এর থেকে মুক্তি দেবে রসুন। এটি আপনার শরীরে প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়া তৈরি করবে। যা বিভিন্ন রোগ জীবাণু, ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করবে। মনে রাখবেন-



> গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাস রসুন কম খাওয়াই ভালো। বিশেষ করে কাঁচা অবস্থায়। এতে মারাত্মক বিপদও ঘটতে পারে।
> অবশ্যই আপনাকে এই সময় রান্না করা রসুন খেতে হবে।



কোনোভাবেই কাঁচা রসুন খাবেন না।



> অল্প পরিমাণ রসুন প্রতিদিনই রান্নায় ব্যবহার করতে পারেন।
> এই সময় অনেকের স্বাদ এবং গন্ধের সমস্যা হয়। সেক্ষেত্রে রসুনের গন্ধ যদি ভালো না লাগে তবে খাওয়া বাদ দিতে পারেন।
> আপনার এই বিশেষ মুহূর্তে কোনো কিছু নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো কাজ করুন।
সূত্র: টাইমসঅবইন্ডিয়া