দাঁত বের করে হাসি দিতে অনেকেই লজ্জ্বা লাগে। এর কারণ হলো দাঁতের দুরাবস্থা। দাঁতের দুরাবস্থা দূর করতে দরকার নিয়মিত যত্ন। কারো দাঁতের ফাঁকে ফাঁকে বিশ্রী দেখতে আস্তরণ, দাঁতের ওপর স্পট, সুন্দর হাসিকেই নষ্ট করে দেয়।



যার ভয়ে খোলা মনের হাসি প্রাণ থেকে আসে বটে কিন্তু ঠোঁটের ব্যারিকেড থেকে আর বেরোতে পারে না।এক চামচ বেকিং সোডা আর তাতে লেবু এবং পানি দিয়ে ঝটপট তৈরি করে নিন একটা মিশ্রণ। ততক্ষণ পর্যন্ত ভাল করে ফেটিয়ে, যতক্ষণ না তা পেস্টের মত হচ্ছে।



এরপর ব্রাশে সেই বেকিং সোডা ও লেমনের পেস্ট লাগিয়ে দাঁত মাজুন অন্তত পক্ষে এক মিনিট। তারপর কুলকুচি করে নিন। দাঁতে কোনও রকম খারাপ প্রভাব পড়বে না, উল্টে দাঁত হবে ঝকঝকে ও সুন্দর।



এই গ্রামে পুরুষদের প্রবেশ নিষেধ, তবু’ও মা হচ্ছেন নারীরা!



গ্রামটিতে কোনো রকম পুরুষের প্রবেশ নিষেধ। ১৫ জন নারী থেকে আজ সংখ্যাটা এসে দাঁড়িয়েছে ২৫০ জনে। অল্প বয়সে বিয়ে হয়ে যাওয়া, গার্হস্থ্য হিংসা আর নি’র্যাত’নে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া কিংবা ধ’র্ষণে’র শিকার হয়েছেন এমন নারীদের ঠাঁই হয়েছে এই গ্রামে।



নারীরা মনে করেন তাদের সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয় এই গ্রাম। আর অসহায় নারীদের জন্য এই গ্রামের দরজা সবসময় খুলে রেখেছেন বাকিরা। গ্রামটির নাম উমোজা। এটি দক্ষিণ কেনিয়ার ছোট একটি জনপদ। ২৭ বছর ধরে এখানে শুধু নারীদের বাস।



কাঁটাতারে ঘেরা এই গ্রামে ছেলেদের প্রবেশ নিষেধ। কেন? তাহলে ফিরে যেতে হবে ১৯৯০ সালে। সেই সময় ব্রিটিশদের হাতে গণ’ধর্ষ’ণের শিকার হন এখানকার ১৫ নারী। এরপর তারা ঠিক করেন গ্রামের একপ্রান্তে নিজেদের মতো জনপদ তৈরি করে থাকবেন।



শুধু মেয়েরাই নন, তাদের সন্তানরাও রয়েছেন সঙ্গে। এবার প্রশ্ন হলো- যে গ্রামে পুরুষের প্রবেশ নিষেধ সেখানে নারীরা কীভাবে পুরুষের সাহায্য ছাড়াই সন্তানের জন্ম দিচ্ছেন। গ্রামে যেহেতু পুরুষের প্রবেশ নিষেধ তাই পছন্দের পুরুষের সঙ্গে যৌ’নমিল’নের জন্য রাতের বেলা অন্য গ্রামে যান নারীরা।



তবে বাইরের কোনো অতিথির সঙ্গে যৌ’নমিল’ন করতে পারবেন না তারা এমনও নিয়ম রয়েছে। তারা তাদের গ্রাম সাম্বুরুতে নিজেরাই গড়ে তুলেছেন স্কুল, কালচারাল সেন্টার এবং সাম্বুরু ন্যাশনাল পার্ক।তাদের নিজস্ব একটি ওয়েবসাইটও রয়েছে।



নিজেরা গয়না এবং ঘরসাজানোর নানা দ্রব্য বানিয়ে তা যেমন অনলাইনে বিক্রি করেন তেমনই পর্যটকদের কাছেও বিক্রি করেন। বহু পর্যটক আসেন এই গ্রাম ঘুরতে। তাদের জঙ্গলসাফারি, মিউজিয়াম ঘুরে দেখানোর দায়িত্বও থাকে নারীদের হাতে।



আসার আগে অনলাইনে বুকিং করতে হয়।উমোজায় প্রবেশের আগেই সেই টিকিট এবং প্রবেশমূল্য জমা দিলে তবেই মেলে গ্রামে ঢোকার ছাড়পত্র। সেই সঙ্গে তাদের প্রাথমিক বিদ্যালয়, জীবনযাত্রা আর সংস্কৃতির সঙ্গেও পরিচয় করান নারীরা।



উমোজায় নারীদের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। নিজেদের মতো করে রাজত্ব তারা গড়ে নিয়েছেন। আর সবাই খুশি এমন সুন্দরভাবে জীবন উপভোগ করতে পেরে। সেই সঙ্গে হিংসা নামক শব্দটিকেও তারা ভুলতে পেরেছেন জীবন থেকে।