শরীরে বাড়তি মেদ (Fat) কখনোই কারো কাম্য নয়। তারপরও আমাদের নিজেদের কিছু ভুলেই দেহে মেদ (Fat) জমতে থাকে। শরীরের অন্যান্য অংশের থেকে তল পেটের মেদ সব থেকে বেশি দ্রুত বাড়ে। যা বেশ অস্বস্তিকর একটি বিষয়।



দেখা যায়, পেটের উপরের অংশের মেদ (Fat) সহজেই কমানো যায়। তবে তল পেটের মেদ (Fat) কমানো কঠিন হয়ে পড়ে। এই বাড়তি মেদ (Fat) সৌন্দর্য নষ্ট করার পাশাপাশি আপনার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসও কমিয়ে ফেলে। তাই এই বাড়তি মেদ নিয়ে অনেকে ভীষণ দুশ্চিন্তায় থাকেন। সমস্যার সমাধানে দুশ্চিন্তা ছেড়ে জেনে নিন এমন কিছু সহজ ব্যায়াম (exercise), যা তল পেটের মেদ (Fat) কমাতে খুবই কার্যকরী। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক সেই সহজ ব্যায়ামগুলো সম্পর্কে-



> একটি সমান্তরাল জায়গার ইয়োগা ম্যাট বিছিয়ে চিৎ হয়ে শুয়ে পড়ুন। এবার দুই পা একত্রিত করে ধীরে ধীরে উপরে উঠান। একইভাবে আবার ধীরে ধীরে নামান। এভাবে ১৫ বার করুন। মনে রাখবেন ১৫ বারে এক সেট। এভাবে তিন সেট করতে হবে।



> চিৎ হয়ে শুয়ে এবার সাইকেল চালানোর মতো করে দুই পা ঘোরাতে থাকুন। এভাবে ১৫ বার করে ৩ সেট করতে হবে।
> চিৎ হয়ে শুয়ে এক পা উপরে তুলুন, আরেক পা এই সময় নামানো রাখুন। এভাবে আরেক পা উপরে তুলুন, অন্য পা নামিয়ে ফেলুন। এভাবে ১৫টি করে ৩ সেট পূর্ণ করুন।



নিয়মিত এই ব্যায়ামগুলো করলে খুব দ্রুত তল পেটের মেদ (Fat) কমে যাবে। এছাড়া এই ব্যায়ামগুলো থাই ও কোমরের চর্বি গলাতেও সহায়ক।



দিন দিন মোটা হয়ে যাচ্ছেন? না খেয়েও রোগা হতে পারছেন না? কী করবেন জেনে নিন



সমস্যা। প্রতিদিন সময় মেনে পরিমিত খাবার (food) খেলেই নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে মেদ।না, কোনও একজন ব্যক্তির কথা নয়। আজকাল হামেশাই শোনা যায় এমন কথা। মেদ ঝরাতে তাই নানা কসরত। ব্রেকফাস্ট বাদ, লাঞ্চ-ডিনারে অল্প একটু খাবার(food), উপোস, কত কী ! তাছাড়া ওয়ার্কআউট তো আছেই। কিন্তু তাতেও ঝরছে না মেদ।



কারণটা কী? লাইফস্টাইলেই গলদ। প্রতিদিনের খুবই তুচ্ছ কিছু ভুল অভ্যাস ও অনিয়ম প্রতিনিয়ত মোটা (fat) হওয়ার কারণ হয়ে উঠছে। সকালে ব্রেকফাস্ট বাদ দিলে মেদের পরিমাণ বাড়ে। খাবার(food) না খেলে মেটাবলিজমের মাত্রা কমে যায়। মোটা (fat) হওয়ার কারণ।



খাবার(food) তালিকায় আঁশযুক্ত খাবার(food) বাড়াতে হবে। আমিষ ও চর্বিজাতীয় খাবার(food) কমাতে হবে। মেদ ঝরাতে ভাজাভুজি ও ফাস্টফুড বন্ধ করতেই হবে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। রেড মিট, দোকানের কেনা মিষ্টি, ঘি, ডালডা কম খেতে হবে। মরশুমি ফল ও শাকসবজি বেশি করে খেতে হবে। একেবারে বেশি না খেয়ে অল্প অল্প করে বারে বারে খাওয়ার পরামর্শ (advice) বিশেষজ্ঞদের।



রাতে তাড়াতাড়ি খেয়ে নিতে হবে। খাওয়ার ১ থেকে ২ ঘণ্টা পর শুতে হবে। খাওয়ার সময় পাকস্থলী ভর্তি হল কি না, তা জানতে মস্তিষ্কের সময় লাগে ২০ মিনিট। গবেষকদের দাবি, যারা ধীরে ধীরে খায়, তারা দ্রুতগতিতে খাওয়া ব্যক্তির থেকে প্রতিবার ৬৬ ক্যালরি খাবার (food) কম খায়। ১ বছরে ২০ পাউন্ড ওজন কমিয়ে দিতে পারে।



দিনে শোওয়ার অভ্যাস ছেড়ে রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমোনোর অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। প্রতিদিন ৭ ঘণ্টা ঘুম মাস্ট। নিয়মিত প্রচুর জল খেতেই হবে। লাঞ্চের আগে একগ্লাস জল এবং খাওয়ার শেষে অন্তত ১ বা ২ ঘণ্টা পর জল খেতে হবে। প্রতিদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠতে হবে। সকালে স্কুল, কলেজ, অফিসে যাওয়ার আগে স্নান মাস্ট।



প্রতিদিন সমতল জায়গায় হাঁটতে হবে। নিয়মিত ১ থেকে ২ ঘণ্টা হাঁটার অভ্যাস করতে হবে। বেশি উঁচু তলায় ওঠার দরকার না হলে, লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি ব্যবহার করার পরামর্শ (advice) বিশেষজ্ঞদের। বেশি বা কম খাওয়া নয়।



নিয়মিত ও পরিমিত খেতে হবে। না খেয়ে বা ব্রেকফাস্ট বাদ দিয়ে মেদ ঝরানো যাবে না। ওয়ার্কআউটে কিছুটা কাজ হয় ঠিকই, কিন্তু পুরোটা নয়। মেদ ঝরিয়ে সুন্দর ফিগারের একটাই ফর্মুলা, মেডিক্যাল পরীক্ষা করে চিকিৎসকরা বা ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শে (advice) সঠিক ডায়েট।