সম্প্রতি ‘টেডি বিয়ার’ নামের নাটকে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভা। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন মনোজ প্রামাণিক। নাটকটিতে স্বামী-স্ত্রী ভূমিকায় দেখা যাবে এ দুজনকে। নাটকের দৃশ্যে একটা সময় দেখা যাবে, প্রেগন্যান্সি টেস্টে ধরা পড়ে প্রভা মা হতে চলছে। এরপরই তাদের সংসারে ঝামেলা শুরু হয় হয়।



নাটকের গল্পে দেখা যাবে, ফাইজা ও জিসান বিয়ে করেছে। ঢাকায় তাদের ছোট্ট একটি সংসার। জিসান একটি প্রাইভেট কম্পানিতে চাকরি করে আর ফাইজা আপাতত গৃহিনীই রয়েছে। তার পেছনেও একটি কারণ আছে। ফাইজা চায় তার ভালোবাসার মানুষকে প্রতিটি মুহূর্ত ভালোবাসায় ভরিয়ে দিতে। প্রণয় থেকে পরিণয়-অল্প সময়ের সংসারটা বেশ ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে।



সদ্য বিবাহিত স্বামী-স্ত্রীর জীবনের মজার সব খুনসুটি যখন চলছিল তখনই একটি সুখবর তাদের দরজায় কড়া নাড়ে। প্রেগন্যান্সি টেস্টে ধরা পড়ে ফাইজা মা হতে যাচ্ছে। ঠিক সেই সময়টাতে জিসান অফিসে। কিন্তু ফাইজা মনে হয় জীবনে কখনো এতোটা খুশি হয়নি। জিসান অফিস থেকে ফেরার আগেই ফাইজা তাদের বাচ্চা নিয়ে অনেক চিন্তা ভাবনা শুরু করে দেয়।



জিসান অফিস থেকে ফেরার পরপরই ফাইজা অতি আগ্রহ নিয়ে তা জিসানকে জানায়। কিন্তু জিসানের মধ্যে ফাইজা তার আগ্রহ দেখতে পায় না। ফাইজাকে জানিয়ে দেয় বাচ্চা নিতে সে এখন প্রস্তুত না। এখন বাচ্চাটা নেয়া তাদের উচিত হবে না। ফাইজাকে বোঝানোর চেষ্টা করে। কিন্তু ফাইজার এক কথা সে বাচ্চা নিবে।



এ নিয়ে তাদের মধ্যে মোটামুটি ভালোই ঝামেলা শুরু হয়। এক কথায় মূহুর্তেই তাদের সুখের সংসার তাসের ঘরের মতো ভাঙনে রুপ নেয়। এরপরই ঘটতে থাকে নানা ঘটনা এমনই গল্প নিয়েই এগিয়েছে ‘টেডি বিয়ার’ নামের নাটকের দৃশ্য। সাদেক সাব্বিরের রচনায় নাটকটি নির্মাণ করেছেন তরুণ নাট্যনির্মাতা আতিফ আসলাম বাবলু।



‘টেডি বিয়ার’ নাটকটিতে প্রভা ও মনোজ কুমার ছাড়াও আরও অভিনয় করেছেন বাসার বাপ্পি, নয়ন খান, পাপিয়া ইসলামসহ অনেকে। নাটকটি প্রযোজনা করেছেন জিয়াউল হক মামুন।নির্মাতা সুত্রে জানা গেছে, আগামী কোরবানি ঈদে দেশের একটি বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশনে ‘টেডি বিয়ার নাটকটি প্রচার হবে।



স্বামীকে নিয়ে ‘বিপত্তিতে’ মোনালি



এবার সমালোচনার মুখে স্বামীকে নিয়ে বিপত্তিতে পড়েছেন মোনালি ঠাকুর। তিন বছর আগে গোপনে বিয়ে করেছিলেন সুইজারল্যান্ডে বাসিন্দা মাইককে। পেশায় হোটেল ব্যবসায়ী মাইকের খবর আসতেই এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মোনালিকে নিয়ে ট্রোল শুরু হয়।



রীতিমতো ভক্তরা তাকে কটাক্ষ করে বলছেন, টাকার লোভেই তিনি ব্যবসায়ীকে বিয়ে করেছেন। কিন্ত মোনালি তা মানতে নারাজ, বিয়ের কারণ হিসেবে ভালোবাসার কথাই বলছেন তিনি।আর এ ট্রোলের জবাব দিতে মাইকের সঙ্গে আংটি বদলের ছবি শেয়ার করে মোনালি বলছেন, যারা ওই সব বলছে, তারা নিজেরাই ব্যক্তিগত জীবনে ব্যর্থ।



শুধু তাই নয়, মোনালি লিখেছেন, এই গোল্ড ডিগার কিন্তু সফল ব্যবসায়ীটির থেকে বেশিই রোজগার করেন। নেটাগরিকদের মতে, নাম না করে নিজের কথাই বলতে চেয়েছেন মোনালি। বাস্তবিক জীবনে তার আয় যে মাইকের থেকে বেশি, সেই ইঙ্গিতই দিলেন এ বাঙালি গায়িকা।



শুধু তাই নয়, মাইককে বিয়ে করার পেছনে অর্থের লোভ নয়, বরং তার জন্য মাইকের ভালবাসা। পাশে থাকার ইচ্ছাই যে ইউএসপি হয়ে উঠেছিল, সে কথাও জানিয়েছেন মোনালি।মোনালি-মাইকের বিয়েটা হয়েছিল অদ্ভুত ভাবে। তিন বছর আগে আলাপ হয় তাদের।



সেখান থেকেই প্রেম। সুইজারল্যান্ড থেকে ভারতে উড়ে এসেছিলেন মাইক বিয়ে করার জন্য। কিন্তু ভিসা ছাড়াই। মাইকের এক শুভাকাঙ্ক্ষীকে নাকি বলেছিলেন, একদিনের জন্য যাচ্ছেন রেজিস্ট্রি ম্যারেজ করতে। মাইকের কাছে জার্মান পাসপোর্ট আছে। ফলে আলাদা করে ভিসা লাগবে না। সেই কথা শুনে মাইক সাতপাঁচ না ভেবেই পা রাখেন ভারতে।



বিমানবন্দরেই আটকে দেয়া হয় তাকে। বেশ কয়েক ঘণ্টা আটকেও রাখা হয়। এদিকে মোনালি বসে রেজিস্ট্রি অফিসে! শেষে মাইকের দেখা না পেয়ে ফোন করতেই জানতে পারেন পুরো ঘটনা। খবর কানে যেতেই বাড়িতে হুলুস্থুল। মোনালি তখন হবু স্বামীকে জেলহাজত থেকে বাঁচাতে চেষ্টা করে চলেছেন। অবশেষে কোনও রকম সাজগোজ ছাড়াই স্নিকার আর গায়ের থেকে বড় মাপের জামা পরেই বিয়ে করেন তারা।