হজ পালন করতে গিয়ে এবার কেউ করোনাভাইরাসের আক্রান্ত হয়নি। শনিবার হজের চতুর্থ দিন জামারাত ব্রিজ থেকে ফেরার পর পর্যন্ত কোনো হাজি করোনায় আ’ক্রান্ত হননি।



সৌদি আরবের স্বাস্থ্য মন্ত্রণায়ল জানিয়েছে, হজযাত্রীদের স্বাস্থ্যের অবস্থা সন্তোশজনক এবং হজের কারণে জনস্বাস্থ্যের কোনো সমস্যা হয়নি। হজ্বের তৃতীয় দিন হজযাত্রীদের তাওয়াফ আল-ইফাদের পরে গ্র্যান্ড মসজিদটিকে জীবাণুমুক্ত করা হয়েছিল। এছাড়া মহামারী সংকট চলাকালীন প্রতিদিন ১০বার মসজিদটি পরিস্কার করা হয়েছে।



চলতি বছর হজে অংশগ্রহণকারীদের স্বাস্থ্য পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করেছেন ডা. আমানী আল-সাদি। তিনি বলেন, হজযাত্রীদের আবাসন ত্যাগ করার সময় থেকে দিন শেষে ফিরে না আসা পর্যন্ত তাদের স্বাস্হ্যের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। প্রত্যেক



হজযাত্রীর অন্যের সাথে যোগাযোগের সুযোগ সীমিত করা হয়ে ছিল। বাসে যাতায়াতের সময় আসনগুলো পূর্ব নির্ধারিত ছিল। প্রত্যেক আবাসিক কমপ্লেক্সে একটি ক্লিনিক ছিল, যেখানে চিকিতসকরা হজযাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছিলেন এবং প্রয়োজনীয ওষুধ সরবরাহ



করেছিলেন। এই বছর হজ পালনের সুযোগ পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ছিলেন ইন্দোনেশিয়ার ফরিদা। তিনি বলেন, হজের জন্য নির্বাচিত হওয়াটাই ‘অবিশ্বাস্য এবং অতুলনীয়’ এক ব্যাপার। আজীবন সন্তুষ্টি ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের মাধ্যমে আমার দায়িত্ব পালন করে যাব। তিনি বলেন, এটা ছিল আমার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে আশীর্বাদ, আর অবশ্যই এরকম সুন্দর একটি আয়োজনের জন্য সৌদি আরবকে ধন্যবাদ দিতে হবে। কারণ এটি ছিল খুব সুসংহত।



এখন পর্যন্ত কোনো হাজি ক’রোনা আ’ক্রা’ন্ত হননি



শেষ হওয়ার পথে পবিত্র হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা বা কার্যক্রম। ভালো খবর হচ্ছে এখনও পর্যন্ত কোনো হাজি করোনায় সংক্রমিত হননি। শনিবার (০১ আগস্ট) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।



মন্ত্রণালয়ের সহকারী মন্ত্রী ডা. মুহাম্মদ আল-আবদালি জানান, হাজিদের করোনায় আক্রান্তের কোনো ঘটনা ঘটেনি। জনস্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলতে এমন রোগেও কেউ সংক্রমিত হননি।



স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লেফটেনেন্ট কর্নেল তালাল আল-শালহুব জানিয়েছেন, হাজিরা আরাফাত ময়দানে দাঁড়ানো থেকে শুরু করে মুজদালিফায় অবস্থান পর্যন্ত সব কিছু নিরাপদে, সুরক্ষিত অবস্থায় এবং প্রশান্তির সঙ্গে সব আনুষ্ঠানিকতা পালন করেছেন।



হজ মন্ত্রীর প্রধান পরিকল্পনা ও নীতি নির্ধারণী বিষয়ক উপদেষ্টা ড. ওমর আল-মাদ্দাহ জানিয়েছেন, ইদুল আজহার প্রথম দিন সকাল পর্যন্ত হাজিরা মুজদালিফায় অবস্থান করেছিলেন।



এর আগের দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তারা সেখানে পৌঁছে মাগরিক ও ইশার নামাজ একসঙ্গে আদায় করেন। ভোর ৫টায় তারা মুজদালিফা থেকে জামারত ব্রিজে শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করতে যান। এটি শেষ করে হাজিরা মসজিদুল হারামে সকাল ৭টায় তাওয়াফ আল-ইফাদাহ করতে প্রবেশ করেন।