কিছু মানুষের শরীরে এমন ‘টি সেল’ রয়েছে যার কারণে তারা আর প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হবেন না। সম্প্রতি নতুন এক গবেষণায় এমনটি বলা হয়েছে।



সেল জার্নালে প্রকাশিত ওই গবেষণায় বলা হয়, অন্যকোন ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হওয়ার কারণে ওই সব ব্যক্তির শরীরে ভাইরাসবিরোধী টি সেল তৈরি হয়েছে যেটি করোনা রুখতে পারবে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এই সক্ষমতাকে বলা হয় ‘ক্রস-রিয়েক্টিভিটি’। এছাড়াও বিজ্ঞানীরা দাবি করছেন, যাদের শরীরে মৃদু করোনা ভাইরাসের উপসর্গ ছিল তাদের শরীরেও এমন টি সেল এবং অ্যান্টিবডি তৈরি হতে পারে যেগুলো ভবিষ্যত সংক্রমণ থেকে রক্ষা করবে।



এ বিষয়ে এই গবেষণায় সহকারী লেখক আলেসান্দ্রো সেটে বলেন, টি সেল খুব দ্রুত শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে। ভাইরাস শরীরে ছড়িয়ে পড়ার চেষ্টা করলেও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এটিকে সরিয়ে দেয়।



করোনা শনাক্তে ভারতে নতুন বিশ্বরেকর্ড



প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৯০ হাজার ৬৩২ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এটি বিশ্বে একদিনে করোনা শনাক্তের নতুন রেকর্ড। এনিয়ে দেশটিতে করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৪১ লাখ ১৩ হাজার ৮১১ জনে দাঁড়ালো। রবিবার ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই তথ্য জানিয়েছে।



বিশ্বে করোনায় বিপর্যস্ত দেশ ব্রাজিলের থেকে মাত্র নয় হাজার রোগী কম ভারতে। বর্তমানে শনাক্ত রোগীর সংখ্যায় বিশ্বে ভারতের অবস্থান তৃতীয়।



ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যানে আরো বলা হয়েছে, গত একদিনে দেশটিতে করোনায় আরো এক হাজার ৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭০ হাজার ৬২৬ জন।



আশার খবর, দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩১ লাখ রোগী সুস্থ হয়েছেন। এতে দেশজুড়ে সুস্থতার হার ৭৭ দশমিক দুই এ দাঁড়িয়েছে।



করোনায় দেশটিতে সবচেয়ে নাজেহাল মহারাষ্ট্রের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, অনেকে মাস্ক পড়ছেন না, হাত ধুচ্ছেন না। ঐ রাজ্যের সেবাগ্রামের হাসপাতালের প্রধান চিকিৎসক এসপি কালান্ত্রি জানিয়েছেন, এখন শহরগুলো ছাড়াও গ্রামে করোনার বিস্তার ঘটেছে। করোনার সবচেয়ে ভয়াবহতা এখনো আসেনি।



ভারতেই এই রাজ্যেই শনাক্ত রোগী প্রায় ৯ লাখের কাছাকাছি। মারা গেছে ২৬ হাজারের বেশি জন।
সূত্র : এনডিটিভি, আল জাজিরা