চীনের উহানে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর করো’না সং’ক্রম’ন শুরু হয়। ক’রো’না সংক্রমনের বেশ কিছুদিন পর উন্নত দেশগুলো করো’না ভ্যা’কসিন নিয়ে কাজ শুরু করে। তবে এখন পর্যন্ত ভ্যাকসিন নিয়ে গ্রহণযোগ্য কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। রাশিয়া তাদের উৎপাদিত স্পুটনিক ভ্যাকসিন সেদেশের জনসাধারণের ওপর প্রয়োগ করলেও; দেখা গেছে স্পুটনিক ভ্যাকসিন নিয়েও অনেকে করো’নায় আ’ক্রা’ন্ত হচ্ছেন।



চীনে উৎপাদিত সিনোভ্যাক ভ্যাকসিন নিয়েও কোন আশা’ব্যাঞ্জক খবর শোনা যাচ্ছে না। জন হপকিন্স, ইউনিভার্সাল এবং অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা বলছেন করো’নার ভ’য়াব’হতা দেখতে বিশ্বের আরও বাকি আছে। করো’না সম্পর্কে যে নতুন তিন তথ্য জানা যাচ্ছে



এক. করো’নায় একাধিকবার আ’ক্রা’ন্ত হওয়ার শস্কা: প্রথমদিকে বিজ্ঞানীরা মনে করেছিলেন করো’নায় একবার আ’ক্রা’ন্ত হলে দ্বিতীয়বার আ’ক্রা’ন্ত হওয়ার ঝুঁকি নেই। কারণ করো’না আ’ক্রা’ন্ত ব্যাক্তির শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে যায়।



কিন্তু ইউরোপে সেকেন্ড ওয়েভ শুরু হওয়ার পর দেখা গেছে অনেকে দ্বিতীয়বার, তৃতীয়বার এমনি চতুর্থবারও করো’নায় আ’ক্রা’ন্ত হয়েছেন। ফ্রান্সের হাসপাতালগুলো বলছে প্রথমবার ক’রোনায় আ’ক্রা’ন্ত ব্যাক্তি এত দু'র্বল হয়ে গেছেন যে দ্বিতীয়বার করো’না সং’ক্রম’নের ঝুঁ’কি সামলাতে পারছেন না।



দুই. ভ্যাকসিন কাজ করছে না: ইউরোপজুড়ে করো’নার সেকেন্ড ওয়েভ শুরু হওয়ার পর দেখা গেছে অনেক ব্যাক্তি একাধিকবার করো’নায় আ’ক্রা’ন্ত হচ্ছেন। তার মানে শরীরে অ্যান্টিবডি কাজ করছে না। শরীরে অ্যান্টিবডি কাজ না করায় ভ্যা’কসিন নিয়ে বিজ্ঞানীরা শস্কায় আছেন।



করো’নার কার্যকর ভ্যাকসিন তৈরি করা গেলেও এই ভ্যাকসিন শরীরে কতোক্ষণ কাজ করবে, কতবার এই ভ্যাকসিন দিতে হবে এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ইতিমধ্যে জনসন অ্যান্ড জনসন এবং অক্সফোর্ড তাদের ভ্যাকসিন ট্রায়াল স্থগিত করেছে।



তিন. করো’নায় অ’ঙ্গহানী: ইউরোপে করো’না সং’ক্রম’নের দ্বিতীয় টেউ শুরু হওয়ার পর দেখা গেছে করো’নায় সং’ক্রম’নের ফলে কারো কারো অঙ্গহানী হয়েছে। কেউ বধির হয়েছেন, কেউ অন্ধ হয়েছেন আবার কারো লিভার ক্ষ’তিগ্র’স্ত হয়েছে। আগে যেমন মনে করা হতো ক’রো’না সংক্রমনের পর একজন ব্যাক্তি ১৪ দিন বা ২১ দিন পর সুস্থ হয়ে যাবেন; বিজ্ঞানীরা এই ধারণা থেকে অনেকটা সরে এসেছেন।



এখন ক’রো’নায় দীর্ঘ’মেয়াদে চিকিৎসার কথা বলা হচ্ছে। জন হপকিন্স, ইউনিভার্সাল এবং অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীদের গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে। বিজ্ঞানীদের আশংকা থেকে ধারণা করা হচ্ছে সহসাই ক’রোনা আমাদের পিছু ছাড়ছেনা।
নিউজটি শেয়ার করার অনুরোধ রইলো