পড়নে লাল শাড়ী গোমটা দেওয়া কনের সাথে পাজামা-পাঞ্জাবী পড়া ও হাতে রুমাল নিয়ে লাজুক ভঙ্গিতে বর।গতকাল শনিবার সকালে এ দৃশ্য চোখে পড়ে। জানতে চাইলে ডিউটি অফিসার আমেনা বেগম জানান, গত শুক্রবার গভীর রাতে



৯৯৯-এ ফোন পেয়ে বরে-কনেকে আটক করে আনা হয়েছে। বি’য়ের কথা জানতে চাইলে কনে শিশু বলে, ‘এর লাইগ্যা (বি’য়ে) কি অইছে, আমি আবার আম্মা’র কাছে যাইয়ামগা নে’। পু’লিশ ও বর-কনের পরিবার সূত্রে জানা যায়, বর



হচ্ছেন ঈশ্বরগঞ্জ উপজে’লার মগটুলা ইউনিয়নের গালাহার গ্রামের আব্দুল মন্নানের ছেলে মো. নাঈম (১৭)। তিরি রাজমিস্ত্রির সহকারী হিসেবে কাজ করেন। গত শুক্রবার তাঁর বি’য়ের দিন তারিখ ছিল পাশের নান্দাইল উপজে’লার খারুয়া



ইউনিয়নের খরিয়া গ্রামের নবী হোসেনের মেয়ে তাসলিমা আক্তারের (১২) সাথে। রাত আটটার পর বর আসেন কনের বাড়িতে। অতিগোপনে খাওয়া-দাওয়ার পর স্থানীয় এক হুজুর দিয়ে দোয়া পড়িয়ে বি’য়ে কাজটি সম্পন্ন করে রাত সাড়ে বারোটার দিকে কনেকে উ’ঠিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছিল। এ সময় ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে নান্দাইল থা’না পু’লিশ ঘট’নাস্থলে গিয়ে বর-কনেকে আটক করে থা’নায় আনে।



রা’তভ’র থা’নায় অবস্থানকালে গতকাল শনিবার দুপুরে ইউএনও কার্যালয়ে নিয়ে বি’য়ে নিব’ন্ধন করাবে না মর্মে দুই পরিবারের পক্ষে মুচলেখা দিয়ে ছাড়া পায়। বরিশালে লকডাউনে থেকে ৫ দিনে ৩ বার খাট ভাঙল নব দম্পতি :



ক’রো’নার প্রভা’বে সবাই জর্জরিত। সারা বিশ্বে মহামা’রীর আকার ধারন করেছে ক’রো’না ভাই’রাস। ক’রো’না ভাই’রাসের মা’রণ থাবা বহু মানুষের প্রা’ণ কেড়ে নিয়েছে।



আ’ক্রান্তের সংখ্যা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। সারা বিশ্বে এখনও পর্যন্ত ক’রো’না আ’ক্রান্তের সংখ্যা ৭ লক্ষ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে মৃ’ত্যু হয়েছে ৩৪ হা’জারের। বিশ্বের বাকি দেশগুলোর মত ভা’রতেও দিনে দিনে বেড়ে চলেছে ক’রো’না আ’ক্রান্তের সংখ্যা।



এই পরিস্থিতিতে সারা দেশ জুড়ে জারি করা হয়েছে লকডাউন। ভা’রত সহ সমস্ত দেশেই লকডাউন জারি হয়েছে ক’রো’না রুখতে। সমস্ত গণপরিবহন ব্যবস্থা ব’ন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। স্কুল কলেজ থেকে শুরু করে অফিস সবই ব’ন্ধ রয়েছে।



বিনোদন জগতও বাদ যায়নি এই লকডাউনের থেকে। সেলিব্রেটি থেকে সাধারন মানুষ সবাই এখন চরম সং’কটে দিন কা’টাচ্ছে। অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষ’তির সম্মুখীন সকলেই।



লকডাউনের ফলে সকলেই গৃহবন্দী। কাজকর্ম বাড়ি থেকেই চলছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা স্তব্ধ হয়ে গেছে। এখন যোগাযোগের মাধ্যম শুধু ইন্টারনেট। সকলেই হোম কোয়ারাইন্টিনে দিন কা’টাচ্ছে। এই হোম কোয়ারাইন্টিন বিনোদনের নতুন খোড়াক হয়ে দাঁড়িয়েছে এক নব দম্পতির কাছে।



লকডাউনে সবই ব’ন্ধ, সিরিয়ালের শুটিং থেকে শুরু করে সিনেমা হল ব’ন্ধ। ঘরে বসে সবাই বি’ধ্বস্ত, যেন সময় কাটছেই না কারন নেই সিরিয়ালের নতুন এপিসোড, চারিদিকে শুধু ক’রো’না নিয়েই খবর , এই পরিস্থিতিতে বরিশালের নব দম্পতির বিনোদনের খোঁড়াক একটু আলাদা।



সাইমুন ও মিম বরিশালের নব দম্পতি, সদ্য বি’য়ে হয়েছে হানিমুনের সুযোগ হয়নি কারন ক’রো’না , সব লকডাউন। তার উপর সাইমুন প্রবাসী সেই কারনে একপ্রকার বাধ্য হয়েই তাকে হোম কোয়ারাইন্টিনে থাকতে হচ্ছে।