Breaking News

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে মুলা!

শীতকালীন সবজি মূলা। তবে বাণিজ্যিক কারণে চাষিরা সারাবছরই মুলা উৎপাদন করেন। মুলার প্রকৃত স্বাদ শীতকালেই পাওয়া যায়। এই সবজিটি কিন্তু পুষ্টিগুণে ভরপুর। মুলা সবজি ছাড়াও সালাড হিসেবে খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। অনেকে এর হালকা গন্ধের জন্য পছন্দ করেন না। কিন্তু পুষ্টিবিদদের মতে, শরীর সুস্থ রাখার সব উপাদানই রয়েছে মুলায়।

মুলা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টেও ভরপুর। ১০০ গ্রাম মূলাতে শক্তি রয়েছে ১৬ ক্যালরি, শর্করা ৩.৪ গ্রাম, ফাইবার ১.৬ গ্রাম, প্রোটিন ০.৬৮ গ্রাম, ভিটামিন সি ১৪.৮ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ২৫ গ্রাম, পটাশিয়াম ২৩৩ গ্রাম। আরও আছে ফসফরাস ও জিঙ্ক। যকৃৎ ও পাকস্থলী পরিষ্কারে মুলার জুড়ি মেলা ভার। রোগ প্রতিরোধেও ভূমিকা রাখে মুলা।

অনেকের মধ্যে মুলা নিয়ে একটি ভুল ধারণা রয়েছে। তাহলো আলুর মতো মাটির নীচে মুলা জন্মায় বলে এটি ডায়াবেটিস রোগীদের খাবার থেকে এটি বাদ দেন। যা একদমই ঠিক নয়। ডায়াবেটিস হাসপাতালের গাইড বইতেও মুলা খেতে বাঁধা নেই বলা আছে। এর কারণ মুলার মধ্যে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খুব কম। এছাড়া রক্তে শর্করা মিশে যেতেও সাহায্য করে এই মুলা। এই কারণে মুলা খেলে কখনই রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পাবে না। বরং রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় রেখে শরীরকে সুস্থ রাখে মুলা।

এছাড়া মুলা খেলে অনেক জটিল রোগ থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। এবার সে সম্পর্কে জানা যাক…

প্রস্রাবের সমস্যা দূর
মুলা প্রস্রাবের পরিমাণ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। আসলে মুলা প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীরের বিষাক্ত উপাদান তরল বর্জ্য হিসাবে বের করে দিতে পারে। এর ফলে কিডনি সুস্থ থাকে, মুত্রথলির প্রদাহ জনিত সমস্যা এবং প্রসাবের সময় জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

ওজন কমায়
মুলা এমন একটি সবজি, যা খেলে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে। ফলে অন্য খাবার কম হলে চলে। এতে অতিরিক্ত ক্যালরি শরীরে প্রবেশ করতে পারে না। তখন শরীরের ওজন বাড়ার সম্ভাবনা থাকে না। এছাড়া মুলার মধ্যে জলীয় উপাদান ও ফাইবারের পরিমাণ খুবই বেশি। যার ফলে যারা ওজন কমাতে ইচ্ছুক, তাদের জন্য মুলা খুবই কার্যকরি একটি উপাদান।

ক্যান্সার রোধ করে
মুলায় আছে অ্যান্থোকায়োনিন, ভিটামিন সি এবং ফলিক অ্যাসিড। এই উপাদানগুলো কোলোন ক্যান্সার, অন্ত্র, পেট এবং মুখের ক্যান্সার রোধ করতে উপযোগী। এছাড়া মুলার মধ্যে যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে তা ক্যান্সারের কোষ গড়ে ওঠা প্রতিহত এবং ভাল কোষ তৈরি হতে সাহায্য করে।

হজম শক্তি বাড়ায়
প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় পাকস্থলীর হজম প্রক্রিয়া সুদৃঢ় হয়। যার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে লিভার এবং গলব্ল্যাডারকে ভাল রাখতে সাহায্য করে মুলা।

শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা দূর করে
ঠাণ্ডা লেগে যাওয়া, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া বা সর্দি লাগা, গলা ব্যাথা বা ফুলে যাওয়া, ফুসফুসে সংক্রমণ, নানা রকম অ্যালার্জি থেকে শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হতে পারে। মুলার মধ্যে যে প্রচুর ভিটামিন রয়েছে তা এই ধরনের সমস্যাগুলো সহজেই দূর করতে পারে। তাই মুলা খেলে শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে
পটাশিয়ামের মূল কাজ হল রক্তচাপকে স্বাভাবিক রাখা। মুলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। তাই মুলা খেলে শরীরের রক্তনালীর কাজ সুচারুভাবে এগিয়ে যাবে এবং রক্ত স্বাভাবিকভাবে প্রবাহিত হতে থাকবে।

ত্বক ভাল রাখে
মুলায় থাকা ভিটামিন সি, ফসফরাস, জিঙ্ক এবং ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। তাই মুলা ফেসপ্যাক হিসাবে ব্যবহার করতে পারলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া, ব্রণ, ত্বক ফেটে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা থেকে দূরে থাকা যাবে।

ঠাণ্ডার প্রবণতা কমায়
শীতকালে অনেকে ঠাণ্ডার সমস্যায় ভোগেন। এই ঠাণ্ডা থেকে জ্বর ও সর্দি-কাশি দেখা দেয়। এ ধরনের সমস্যায় মুলার রস বিট লবণ দিয়ে পান করতে পারলে সর্দি-কাশির সঙ্গে জ্বরও পালাবে।

Check Also

স্ত্রী হিসেবে মোটা মেয়েরা সবচেয়ে বেশি ভালো! কেন জানেন?

স্ত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে শতকরা ৯০ শতাংশ পুরুষেরই পছন্দের তালিকায় রোগা মেয়েরা থাকে। তাদের মধ্যে ধারণা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *