গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে স্ত্রী পরিচয়ে নেয়া ভাড়া বাসায় অনৈ’তিক কাজের অভিযোগে মানিক চন্দ্র কর্মকার ও এক কলেজ ছাত্রীকে গ্রেফ’তার করেছে পু’লিশ। শুক্রবার বিকেলে গ্রেফ’তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কা’রাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে সুন্দরগঞ্জ পৌর শহরের মাস্টারপাড়ার জনৈক আব্দুল আউয়ালের বাড়ি থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।



গ্রেফতারকৃত মানিক চন্দ্র কর্মকার উপজেলার রামজীবন ইউনিয়নে পূর্ব রামজীবন (নিজপাড়া) গ্রামের মন্টুরাম কর্মকারের পুত্র। মানিক পেশায় দর্জি। সে স্থানীয় ডোমেরহাট বাজারে দর্জির কাজ করেন।



স্থানীয় সূত্র জানায়, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার স্থানীয় ডিডব্লিউ সরকারি কলেজের ওই ছাত্রী মানিক চন্দ্রের দোকানে জামা-কাপড় তৈরি করতে মাঝে মাঝে যেত। এ সময় নানা কৌশলে তাকে অসমা’জিক কাজ করতে বাধ্য করে মানিক।



পরে দীর্ঘদিন ধরে পৌর এলাকার বিভিন্ন মহল্লায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে তারা অনৈ’তিক কাজ করত। তারা ২-১ মাস পরপর ভিন্ন ভিন্ন পরিচয়ে বাসা পরিবর্তন করত। তাদের বয়সের ব্যবধানসহ বিভিন্ন কারণে সন্দেহ হওয়ায় স্বামী-স্ত্রীর প্রমাণ দেখতে চাইলে এলাকাবাসির সঙ্গে ঝগড়া করতো।



পরে জানা যায় মানিক চন্দ্র কর্মকার প্রভাবশালী হওয়ায় ওই ছাত্রীর পরিবার নিরবে সব সহ্য করলেও তাদের পক্ষ থেকে কোনো মামলা করার সাহস পায়নি। মানিক চন্দ্রের স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। সে তিন বছর আগে মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন।



সুন্দরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ- এসএম আব্দুস সোবহান জানান, এ ব্যাপারে থানার এসআই সামছুল হক বাদী হয়ে একটি মা’মলা করেছেন। আ’সমিদের শুক্রবার বিকেলে গাইবান্ধা আ’দালতের মাধ্যমে জে’ল হাজ’তে পাঠানো হয়েছে।
নিউজটি শেয়ার করার অনুরোধ রইলো