কিছু ডিসগাস্টিং ওয়াজ দেখলাম। এই ওয়াজের হুজুররাই নেপথ্যে বাংলাদেশ শাসন করছে। এরা চি’ৎকার করে রাজনীতির কথা বলছে, কী’ আইন আনতে হবে দেশে, কীভাবে চলবে দেশ, কোন রাজনীতিককে লা’ত্থি মে’রে বের করে দিতে হবে, মন্ত্রীদের কাকে ফায়ার করতে হবে, কাকে মে’রে ফেলতে হবে।



ইস্কুলের সিলেবাস কী’ হবে। মেয়েদের পোশাক কী’ হবে। রেডিও টেলিভিশানে কী’ শোনাতে হবে সব। ইসলামটা আসলে কোনও ধর্ম নয়। ইসলামটা প্রথম থেকে শেষ অবধি রাজনীতি। ইসলামের রাজনীতি করে একদা ইসলামের নবী ক্ষমতার চূড়ায় উঠেছিলেন।



তাঁর রাজনৈতিক দলের সদস্যরাও দেশে দেশে দখল করতে চায় ক্ষমতা। আল কায়দা,আইসিস ইত্যাদি জ’ঙ্গি গোষ্ঠীগুলো ইসলাম নামের রাজনৈতিক দলের ক্যাডার বাহিনী।



বি’রোধীদের মে’রে ফেলাই তাদের রাজনীতির ধর্ম। ধর্ম বলে শুধু শুধু ইসলামকে অ’পমান করা ঠিক নয়। ইসলাম ধর্ম হতে যাবে কোন দুঃখে। তার কি আর খেয়ে দেয়ে কাজ নেই।



যারা ভাস্কর্যের বিরোধিতা করে তারা মতলববাজ: মতিয়া চৌধুরী



ইরান, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও তুরস্কসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভাস্কর্য আছে জানিয়ে বাংলাদেশে ভাস্কর্যের বিরোধিতাকারীদের মতলববাজ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী।



বুধবার শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার কেন্দুয়াপাড়া মাদরাসা মাঠে শিশু শিক্ষার্থী ও বিশেষ শ্রেণিপেশার মানুষের মাঝে সৌরবাতি বিতরণকালে এ কথা বলেন তিনি।মতিয়া চৌধুরী বলেন, খালেদা জিয়ার খোলা চুলের ব্যাপারে কোনো কথা নেই,



ফিনফিনা শাড়ির ব্যাপারে ফতোয়া নেই। অথচ আমাদের নেত্রী পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। তিনি দিনের শুরুটা করেন আল্লাহর প্রার্থনার মধ্য দিয়ে। কাজেই তর্ক করে বেশি গোমরা পথে যাব না। এ সমস্ত গোমরা পথে যারা নিতে চায় তারা মতলববাজ।



এদিন টিআর ও কাবিখা প্রকল্পের অর্থায়নে উপজেলার ১১ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় দ্বিতীয় শ্রেণির সেরা ২০ শিক্ষার্থীর মাঝে একটি করে মোট ২ হাজার ৯৬০টি এবং পল্লী চিকিৎসক, নরসুন্দর, জেলে ও আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকারী ২ হাজার ৫৮১ জনের



মাঝে সৌরবাতি বিতরণ করেন মতিয়া চৌধুরী। এছাড়া জিআর প্রকল্প থেকে উপজেলার বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে মোট ২৭৫ বান্ডেল ঢেউটিন ও নগদ ৩ হাজার করে টাকা বিতরণ করেন তিনি। দিনব্যাপী তার সঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহ্ফুজুল আলম মাসুম, উপজেলা



পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম, সহকারী পুলিশ সুপার নালিতাবাড়ী সার্কেল জাহাঙ্গীর আলম, নালিতাবাড়ীর ওসি বছির আহমেদ বাদল, আওয়ামী লীগ নেতা ফজলুল হক, আছমত আরা আছমা ও ফারুক আহমেদ বকুল উপস্থিত ছিলেন।
সুত্রঃরিয়েল সিলেট