এক জন বিরাট ধনী তার বাগান, বাড়ির পেছনের পুকুরে কুমির পুষতেন। একদিন তিনি তার বাড়িতে বিশাল এক পার্টি দিলেন। নানা জায়গা থেকে বহু লোক এলো সেই পার্টিতে। প্রচুর মদ্যপান আর খাওয়া দাওয়ার পরে পুরাতন কালের মহারাজদের স্টাইলে ধনী লোকটি ঘোষণা করলেন, যে সাহস করে কুমির ভর্তি পুকুরটি সাঁতরে পার হতে পারবে তাকে তিনি হয় এক কোটি টাকা দেবেন না হয় তিনি তার কাছে তার সুন্দরী কন্যাকে সমর্পণ করবেন।



কথাটি শেষ না হতেই ঝপাং করে একটি শব্দ। দেখা গেল এক জন লোক প্রান পণে সাঁতরাচ্ছে আর তার পিছনে তিনটা কুমির তাড়া করছে। সবাই পাড় থেকে লোকটা কে অজস্র উৎসাহ জুগিয়ে চলল।লোকটা অবশ্যই ভালই সাঁতার কাটে তার উপর প্রাণের মায়া। কোন মতে হাঁপাতে হাঁপাতে অক্ষত অবস্থায় অন্য পাড়ে উঠলো।ধনী লোকটি এগিয়ে এসে লোকটির হাত ধরে বললেন, আমি বিশ্বাস করতে পারিনি এত সাহস দেখানোর মত ক্ষমতা কারও থাকতে পারে। ইয়ং ম্যান তুমি কি চাও?আমার কন্যা, -না এক কোটি টাকা?



লোকটি তখনও হাঁপাচ্ছে। হাঁপাতে হাঁপাতে বলল, আমি আপনার কন্যাকেও চাইনা,আপনার এক কোটি টাকাও পেতে চাই না।
আমি শুধু জানতে চাই কোন শালায় আমারে, ধাক্কা মারছে.



আমরা স্মার্টফোন ব্যাবহার করতে গিয়ে যেসব ভুল গুলি হামেশাই করে থাকি…



স্মার্টফোন এখন আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে গেছে ঠিক যেন বন্ধুর মতোই। সকাল থেকে রাত্রিতে শো আগে পর্যন্ত আমাদের নিত্যসঙ্গী জিনিসটা সবসময় থাকে। মাত্রাতি চাপ দিলে একটি ফোন কখনোই দীর্ঘস্থায়ী হয় না। আর একবার নষ্ট হয়ে গেলে তারপর কিছু করারও থাকে না। প্রতিদিনই ফোনে আমরা এমন অনেক কিছু করি যা করা উচিত নয়। কত জনই বা বোঝেন ঠিক-ভুলের সঠিক তথ্য৷ প্রত্যেকেই কম-বেশি কিছু না কিছু ভুল করে বসেন৷ যেমন-



১) বেশিরভাগ স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের মধ্যেই সিকিউরিটি সফটওয়্যার নিয়ে উদাসীনতা দেখা যায়৷ কাজ তো চলছে, এই মনোভাবই অনেকে পোষণ করেন৷ কিন্তু, এতেই স্মার্টফোনের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়৷



২) স্মার্টফোনের আপডেটের মেসেজ আসলেই সঙ্গে সঙ্গে তা করে নেওয়া উচিত৷ না হলে ফোন তো স্লো হয়ে যায়, ডিভাইসেও নানা সমস্যা দেখা দেয়৷



৩) প্রায় সবগুলি অ্যাপের সাথেই ইদানিং পুশ নোটিফিকেশনের অপশনটি আসে। নতুন কোনো অ্যাপ ইন্সটলের সময় ভেবে নিন, অ্যাপটির কাছ থেকে নোটিফিকেশন পাবার প্রয়োজন আপনার আসলেই আছে নাকি। প্রয়োজন না হলে সেই অ্যাপটির জন্যে পুশ নোটিফিকেশন বন্ধ করে রাখুন। কারণ নোটিফিকেশন দেবার জন্যে অ্যাপটিকে বারবার ব্যাকগ্রাউন্ডে চালু হতে হয়। আর এজন্যে আপনার অগোচরেই ফোনের চার্জ নষ্ট করে অ্যাপটি। পাশাপাশি অতিরিক্ত নোটিফিকেশন অনেকসময়ই বির'ক্তির কারণ হয়।



৪) বেশিরভাগ সমস্যার সমাধান পাওয়া যায় ফোনটি একবার বন্ধ করে চালু করলেই! ফোনে সমস্যা হোক বা না হোক, অন্তত সপ্তাহে একটিবার করে হলেও ফোনটিকে রিস্টার্ট করুন।



৫) নিজের মোবাইল ডেটা বাঁচিয়ে ইন্টারনেট সার্ফিং কে না করতে চায়? তাই অনেকের মধ্যেই ফ্রি ওয়াই-ফাই ব্যবহার করার প্রবণতা দেখা যায়৷ কিন্তু, এই বিনামূল্যের ওয়াই-ফাই থেকেই আপনার স্মার্টফোনে আধিপত্য বিস্তার করতে পারে হ্যাকাররা৷



৬) ফোন সারারাত চার্জে রাখা খুবই বাজে একটা অভ্যাস। এতে করে ব্যাটারির উপর বাড়তি চাপ পরে এবং ব্যাটারি লাইফ কমে যায়। ফোনের চার্জ ১০০% হবার আগে চার্জার থেকে খুলে ফেললেই বরং সেটা ব্যাটারির জন্যে ভালো হয়। অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, ফোন সবচেয়ে ভালো কাজ করে যখন চার্জ ২০% থেকে ৮০% এর মধ্যে থাকে।



৭) সকল স্মার্টফোনের ক্ষেত্রেই আমাদের উচিত কেবলমাত্র ঐ প্রতিষ্ঠানের তৈরি আসল চার্জার ব্যবহার করা। বাজারে অসংখ্য কমদামী চার্জারের ব্যবহারে ক্ষতিগ্রস্থ হয় ডিভাইস। আর সেটা যদি আইফোন হয় তাহলেতো কথাই নেই! ফোনে আ'গুন ধরে যাবার বা বিস্ফোরণ হবার মত ঘটনাও ঘটতে পারে কেবলমাত্র কমদামী নকল চার্জার ব্যবহারে। তাই চার্জারের ব্যাপারে সতর্ক হোন!



ছোট ছোট ভুল বড় মাশুলের কারণ হতে পারে৷ তাই আগে থেকে সাবধান হন৷ আপনার স্মার্টফোনকে নিরাপদ রাখুন৷
ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই শেয়ার করুন।